হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কমেছে কেজিতে ৬০ টাকা। বাজারে দেশীয় নতুন রসুনের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারে প্রতি দোকানেই রসুনের ভালো সরবরাহ রয়েছে। বিক্রেতারা জানান, বেচাকেনাও বেড়েছে মসলাজাত পণ্যটির। বর্তমানে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১২০-১৪০ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৮০-২০০ টাকা।
রমজান ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। একই সময়ে রসুনের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে। হিলি বাজারে রসুন কিনতে আসা সিদ্দিক হোসেন বলেন, পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে ফলে আদা-রসুন-পেঁয়াজসহ অন্যান্য মসলা কিনতে এসেছি। সবকিছুর বাড়তি দাম। তবে রসুনের দাম কমেছে।’
শিউলি আকতার নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী। তার ওপর রমজান ঘিরে উত্তাপ আরো বেড়েছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে কিছুটা স্বস্তি রসুনের দামে। আগের সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৬০ টাকা কমেছে। রসুনের সঙ্গে অন্যান্য পণ্যের দামও যেন কমে, সে দাবি জানাচ্ছি।’
হিলি বাজারের রসুন বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় পণ্যটির সরবরাহ কমেছিল, ফলে দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তাছাড়া বাজারে শুধু নাটোর অঞ্চলের রসুনের সরবরাহ ছিল। ফলে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ কম থাকায় দাম ছিল বেশি। বর্তমানে নাটোর ছাড়াও নওগাঁ, দিনাজপুর, পাংশা, রানীরবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের রসুন উঠতে শুরু করেছে। এতে বাজারে সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে দাম কমতির দিকে।’ বর্তমানে দেশীয় রসুনের পুরো মৌসুম চলছে। যত দিন যাবে বাজারে পণ্যটির সরবরাহ আরো বাড়বে। ফলে দামও কমে আসবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন>>উলিপুরে যানজট নিরসন ও বাজার মনিটরিং এ মাঠে নেমেছে ম্যাজিস্ট্রেট
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন