ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, ৮ মাস পর ফের অপারেশন

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৬:১০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ২৪৩ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

হবিগঞ্জে স্মৃতি সূত্রধর নামে এক প্রসূতি নারীর পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দিয়েছিলেন এক চিকিৎসক। ঘটনার পর দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়া ওই নারীকে সিজারের প্রায় ৮ মাস পরে ফের অপারেশন করতে হয়েছে ভারতে। গত শনিবার ভারতের একটি হাসপাতালে পুনরায় অপারেশনের পর পেটের ভেতর থেকে বের করা হয় রক্ত পরিষ্কার করা গজ কাপড়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী স্বপন সূত্রধর।
এদিকে, সোমবার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হলে মুহূর্তের মধ্যেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অনেকেই এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তিরও দাবি জানান। স্মৃতি সূত্রধর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর প্রসব ব্যথা নিয়ে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় অবস্থিত সূর্যমুখী জেনারেল হাসপাতালে যান ওই প্রসূতি নারী। সেখানে ওই দিনই সিজার করান প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন মো. আরশেদ আলী। সিজারের কিছুদিন পরই ওই নারী তার পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। পরে আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে জানা যায় তার পেটে বাড়তি কিছু একটা জিনিস রয়েছে। আর সেটার জন্য তাকে ফের অপারেশন করতে হবে। পরে বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই নারীকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঘটনার প্রায় ৮ মাস পর তার ফের অপারেশন হয়।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী স্বপন সূত্রধর জানান, আমার স্ত্রীর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ডাক্তার মো. আরশেদ আলী জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা ওই রোগীর সাথে যোগাযোগ করি। কিন্তু তারা আমাদের এখানে না এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ফের অপারেশনের ব্যবস্থা করতাম। হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ বিজয়/মো‍ঃ নজরুল ইসলাম

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ১ মে ২০২৪

প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, ৮ মাস পর ফের অপারেশন

প্রকাশিত সময় :- ০৬:১০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

হবিগঞ্জে স্মৃতি সূত্রধর নামে এক প্রসূতি নারীর পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দিয়েছিলেন এক চিকিৎসক। ঘটনার পর দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়া ওই নারীকে সিজারের প্রায় ৮ মাস পরে ফের অপারেশন করতে হয়েছে ভারতে। গত শনিবার ভারতের একটি হাসপাতালে পুনরায় অপারেশনের পর পেটের ভেতর থেকে বের করা হয় রক্ত পরিষ্কার করা গজ কাপড়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী স্বপন সূত্রধর।
এদিকে, সোমবার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হলে মুহূর্তের মধ্যেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অনেকেই এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তিরও দাবি জানান। স্মৃতি সূত্রধর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর প্রসব ব্যথা নিয়ে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় অবস্থিত সূর্যমুখী জেনারেল হাসপাতালে যান ওই প্রসূতি নারী। সেখানে ওই দিনই সিজার করান প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন মো. আরশেদ আলী। সিজারের কিছুদিন পরই ওই নারী তার পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। পরে আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে জানা যায় তার পেটে বাড়তি কিছু একটা জিনিস রয়েছে। আর সেটার জন্য তাকে ফের অপারেশন করতে হবে। পরে বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই নারীকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঘটনার প্রায় ৮ মাস পর তার ফের অপারেশন হয়।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী স্বপন সূত্রধর জানান, আমার স্ত্রীর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ডাক্তার মো. আরশেদ আলী জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা ওই রোগীর সাথে যোগাযোগ করি। কিন্তু তারা আমাদের এখানে না এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ফের অপারেশনের ব্যবস্থা করতাম। হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ বিজয়/মো‍ঃ নজরুল ইসলাম