পুষ্টিগুনে ভরা সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত কিনোয়া। ইউটিউবে ভিডিও দেখে ভাগ্য বদলের আশায় প্রথমবারের মতো পরিক্ষামূলক ভাবে “কিনোয়া” চাষ করেছেন, দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার কৃষক রেজাউল করিম রাজু।
জানাগেছে, সবচেয়ে বেশি চাষ হয় উত্তর আমেরিকাতে। ওষুধি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এই শস্যদানা। ফলে এই শস্যদানা নিয়ে এ অ লের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ধান বা সবজির চেয়ে বেশি দাম হলেও চিন্তিত এর বাজার ব্যবস্থা নিয়ে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, কিনোয়া আবাদে কৃষকের ভাগ্য পাল্টে যাবে।
পাতা দেখতে শাকের মতো আর শস্যদানা দেখতে অনেকটাই কাউনের মতো হলেও হাই প্রোটিন সম্পন্ন একটি দানাদার খাদ্য কিনোয়া। এই ফসলের শস্য দানার রং তিন ধরনের হয়ে থাকে লাল, সাদা ও কালো। রয়েছে উচ্চমাত্রার হজমযোগ্য প্রোটিন। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। অধিক পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ কিনোয়াকে বলা হয় সুপার ফুড। খরা প্রবণ ও লবণাক্ত দুই ধরনের জমিতেই কিনোয়া চাষ সম্ভব। নভেম্বরের মাঝামাঝি এ ফসল চাষ করে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঝামাঝি সময় ফলন ঘরে তোলা যায়। এই ফসলটি ধান ও ভুট্টা চাষের থেকেও লাভজন। কম খরচে বেশি লাভ। ইউটিউবে ভিডিও দেখে পুষ্টি সমৃদ্ধ সুপার ফুড কিনোয়া চাষে উদ্বুদ্ধু হন হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম ফকিরপাড়া এলাকার কৃষক রেজাউল করিম সরকার রাজু। তিনি বলেন, কিনোয়া সম্পর্কে আমার আগে কোনো ধারণা ছিল না। ইউটিউবে ভিডিও দেখে এবারই প্রথম আমার ৭০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে কিনোয়া চাষ করেছি। তবে এই অ লের মানুষের কাছে ফসলটি নতুন। তাই প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে লোকজন দেখতে আসছে। ফলনও ভালো হয়েছে। বাংলাদেশে কিনোয়ার মার্কেট তৈরি হলে কৃষক কিনোয়া চাষ করে লাভবান হতে পারবেন। উৎপাদিত কিনোয়া বিদেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে। এলাকাবাসী বলেন, কিনোয়া সম্পর্কে আগে কোন ধারণা আছিল না। এবারই প্রথম কিনোয়া চাষ সম্পর্কে জানলাম অন্য ফসলের তুলনায় যদি ভাল লাভ হয় তাহলে আগামী বছর আমরাও কিনোয়া চাষ করবো।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন মিয়া বলেন, এই প্রথম হাতীবান্ধা উপজেলায় কিনোয়া চাষ হয়েছে। কিনোয়া পুষ্টিগুনে ভরা সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। কিনোয়া আবাদে কৃষকের ভাগ্য পাল্টে যাবে। আশা করি আগামীতে এ উপজেলায় কিনোয়া চাষ বাড়বে।
আরও পড়ুন>>এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন ঘোষণা
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন/কাজী শাহ আলম