ঢাকা ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১১:১৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ৩১৩ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫২টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান (সহকারী শিক্ষক) শিক্ষক দিয়ে চলছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলো অনেকটাই অভিভাবকশূন্য হয়ে আছে। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। মানসম্মত পাঠদান না হওয়ায় অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলায় নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলিয়ে ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ১৫২জন প্রধান শিক্ষকের এবং ৭৭৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৫২টি বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এ ছাড়া উপজেলার মোট ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। ১৫২টি বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী রয়েছে ২২ হাজার ৩৩৬জন। তাদের মধ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী (প্রতিবন্ধী) রয়েছে ৫১জন।

উপজেলায় বেসরকারিভাবে ৭৬টি বিদ্যালয় রয়েছে। কেজি, এনজিও এবং চা বাগান পরিচালিত এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯ হাজার ৬৮৭জন। তাদের মধ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ১১জন।

‘প্রধান শিক্ষক শূন্যতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান ধরে রাখা সম্ভব হয় না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পাঠদানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ, শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ, সভা-সেমিনারে অংশ নেয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। ফলে পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক সংকট লেগেই আছে।’

অন্যদিকে অফিসের বিভিন্ন নিদের্শনা অনুযায়ী ভারপ্রাপ্তদের অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হয়। এতে বিদ্যালয়ে পাঠদানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সেগুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদানের জন্য সহকারী শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে কার্যক্রম চলমান। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব শূন্য পদ পূরণ করা হবে।’

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইতিহাসের এই দিনে: ১৯শে মে.২০২৪

৫২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

প্রকাশিত সময় :- ১১:১৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫২টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান (সহকারী শিক্ষক) শিক্ষক দিয়ে চলছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলো অনেকটাই অভিভাবকশূন্য হয়ে আছে। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। মানসম্মত পাঠদান না হওয়ায় অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলায় নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলিয়ে ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ১৫২জন প্রধান শিক্ষকের এবং ৭৭৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৫২টি বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এ ছাড়া উপজেলার মোট ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। ১৫২টি বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী রয়েছে ২২ হাজার ৩৩৬জন। তাদের মধ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী (প্রতিবন্ধী) রয়েছে ৫১জন।

উপজেলায় বেসরকারিভাবে ৭৬টি বিদ্যালয় রয়েছে। কেজি, এনজিও এবং চা বাগান পরিচালিত এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯ হাজার ৬৮৭জন। তাদের মধ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ১১জন।

‘প্রধান শিক্ষক শূন্যতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান ধরে রাখা সম্ভব হয় না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পাঠদানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ, শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ, সভা-সেমিনারে অংশ নেয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। ফলে পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক সংকট লেগেই আছে।’

অন্যদিকে অফিসের বিভিন্ন নিদের্শনা অনুযায়ী ভারপ্রাপ্তদের অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হয়। এতে বিদ্যালয়ে পাঠদানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সেগুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদানের জন্য সহকারী শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে কার্যক্রম চলমান। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব শূন্য পদ পূরণ করা হবে।’

নিউজবিজয়/এফএইচএন