ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০০৭ সালের মামলায় গ্রেপ্তার মির্জা আব্বাস

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৩:৫১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • ২৫২ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস । ফাইল ছবি

২০০৭ সালে করা দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম আখন্দের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালে ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন মির্জা আব্বাস। তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেন।

শাহজাহানপুর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম এক আবেদনে আদালতকে জানান, মির্জা আব্বাস শাহজাহানপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হোক। পরে আদালত গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন এবং ওই দিন মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা নির্দেশ দেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার আদালতে হাজির না হওয়ায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত। আজ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

তিনি জানান, এর আগে বিভিন্ন তারিখে এ মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আগামী ৫ নভেম্বর তারিখ ধার্য করা হয়েছে ওই দিন মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করলে যুক্তিতর্ক শুনানি হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ১৪ মে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৬ জুন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে দুজনই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এ দিকে মির্জা আব্বাস তাঁর অংশটুকু বাতিল করার জন্য আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল খারিজ হয়। মির্জা আব্বাস আবার রিভিউ আবেদন করেন। এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন খারিজ হয়। এরপর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শাহজাহানপুরে নাশকতার ঘটনা ও পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত সোমবার রাতে শহীদবাগ এলাকা থেকে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

২০০৭ সালের মামলায় গ্রেপ্তার মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত সময় :- ০৩:৫১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

২০০৭ সালে করা দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম আখন্দের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালে ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন মির্জা আব্বাস। তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেন।

শাহজাহানপুর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম এক আবেদনে আদালতকে জানান, মির্জা আব্বাস শাহজাহানপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হোক। পরে আদালত গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন এবং ওই দিন মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা নির্দেশ দেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার আদালতে হাজির না হওয়ায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত। আজ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

তিনি জানান, এর আগে বিভিন্ন তারিখে এ মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আগামী ৫ নভেম্বর তারিখ ধার্য করা হয়েছে ওই দিন মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করলে যুক্তিতর্ক শুনানি হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ১৪ মে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৬ জুন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে দুজনই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এ দিকে মির্জা আব্বাস তাঁর অংশটুকু বাতিল করার জন্য আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল খারিজ হয়। মির্জা আব্বাস আবার রিভিউ আবেদন করেন। এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন খারিজ হয়। এরপর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শাহজাহানপুরে নাশকতার ঘটনা ও পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত সোমবার রাতে শহীদবাগ এলাকা থেকে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন