দিনাজপুরের হিলিতে ১ মাসের ব্যবধানে সব ধরনের শুঁটকির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ৬০০ টাকা কেজি দামের মলা মাছের শুঁটকি ৪০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। কাচকি মাছের ৬০০ টাকা কেজি দরে শুটকি ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮ ০০ টাকায়। এভাবে প্রতিটি শুঁটকির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় দ্বিগুণ হারে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তেরা। ক্রেতারা বলছেন, মাছের দাম বেশি হওয়ায় ১ মাস আগেও ৬০ টাকা দিয়ে ১০০ গ্রাম শুঁটকি কিনে তরকারি রান্না করতেন। এখন ৬০ গ্রাম কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকা দিয়ে। অর্থাৎ কেজিতে ৪০০ টাকা বেড়েছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, মোকামেই শুঁটকির দাম বেশি। তাই তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) হিলিবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হিলিবাজারে মলা মাছের শুঁটকি কিনতে এসেছেন উত্তর বাসুদেবপুর গ্রামের মো. মিনহাজুর রহমান তিনি বলেন, ‘শুঁটকি যেকোনো তরকারিতে দিলে তরকারির স্বাদ বেড়ে যায়। বলতে পারেন শুঁটকি একপ্রকার মুখরোচক খাবার। কিন্তু শুটকি মাছের দামও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ১ মাস আগে ৬০০ টাকা কেজি ছিল যা আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ১ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।’
আরেক ক্রেতা মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। পুঁটির শুটকি কিনতে এসেছি। ১ মাস আগে ২৫০ গ্রাম পুঁটির শুঁটকি কিনি ৫০ টাকা দিয়ে। আর আজ কিনতে হলো ৭৫ টাকায়।’
হিলিবাজারের শুঁটকি-বিক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমি এসব শুঁটকি চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসি। সেখানেই দাম বেশি। ১ মাস আগে যে মলা মাছের শুঁটকি মোকাম থেকে কিনেছি ৪০০ টাকা কেজি দরে, এখন সেই শুঁটকি কিনতে হচ্ছে ৮০০ টাকায়। সেখান থেকে হিলিতে আনতে কেজিতে ১০০ টাকা খরচ পড়ে। তাই ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছি। এভাবে ৬০০ টাকা কেজি দরের কাচকি মাছের শুঁটকি মোকামে ৫০০ টাকা কেজির জায়গায় ৬০০ টাকা কেজি, পুঁটি মাছের শুঁটকি ১৫০ টাকা কেজির স্থলে ২৫০ টাকা কেজি, ছুরি মাছের শুঁটকি ৩০০ টাকার কেজির স্থলে ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। তাই সবধরনের শুঁটকি মাছের দাম বাড়াতে হয়েছে।’
আব্দুর রহমান আরও বলেন, ‘মোকামে শুঁটকির সরবরাহও কমে গেছে। মোকাম মালিকেরা আমাদের বলছেন, মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া দামও বেশি। তাই শুঁটকির দামও বাড়াতে হয়েছে।’
নিউজ বিজয় ২৪/এফএইচএন