ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলিতে রঙ্গিন ফুলকপিতে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখছেন কৃষক গোলাম মোস্তফা

দিনাজপুরের হিলিতে প্রথমবারের মতো রঙ্গিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। প্রায় বাইশ শতক জমির উপর গোলাম মোস্তফা নামের এক কৃষক প্রথম বারের মত রঙ্গিন ফুলকপির চাষ করে সাড়া ফেলেছেন। প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি ওই কৃষক। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও। রঙিন এ ফুলকপিতে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে ক্যারোটিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। এদিকে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুলকপির রং বেগুনি। প্রথম দেখাতে মনে হবে, কেউ সাদা ফুলকপির ওপর রং করেছে। আগে বাংলাদেশে এ ধরনের রঙিন ফুলকপির চাষ হতো না। কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে। তবে প্রথমবারের মতো এই ধরনের ফুলকপির চাষ শুরু হয়েছে দিনাজপুরের হিলিতে।

ফুলকপি চাষি গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলার বলরামপুর গ্রামে বাইশ শতক জমির উপরে চাষ করেছেন এই বেগুনি রঙ্গের ফুলকপি। এখানে রয়েছে ১ হাজার টি গাছ। যার ব্যায় হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। আর বিক্রির আশা রয়েছে ৫০ হাজার টাকার। প্রতি কেজিতে বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এই ফুলকপি চাষে সার দিতে হচ্ছে টিএসপি ৩০ কেজি,পটাস ১৮ কেজি, জিপসাম ১৫ কেজি ও জৈব সার ১শ কেজি। তুলনামুলক ভাবে খরচ কম হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি করে এই ফুলকপি চাষ করার ইচ্ছে তার।

কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, এই রঙ্গিন জাতের ফুলকপি আমরা এর আগে কোথাও দেখিনি। আজকে আমরা প্রথম দেখলাম। এটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। তবে এই রঙ্গিন জাতের ফুলকপি আমাদের উপজেলায় প্রথম চাষ হয়েছে। এটি একটি নতুন জাতের ফুলকপি এর দামও ভালো রয়েছে। আগামীতে আমরাও চাষ করবো ইনশাআল্লাহ।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, এ ধরনের ফুলকপির সঙ্গে কৃষকদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তারা। তাই শুরুতে দাম বেশি দিয়ে কিনতে হবে ভোক্তাদের। চাষাবাদ বাড়ানো গেলে দামও হাতের নাগালে এসে যাবে। প্রতি রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষক স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি পাবেন। মাটির উপযোগী কি না, পরীক্ষামূলকভাবে তা দেখতে দিনাজপুরের হিলিতে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপির চাষ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় উপজেলাগুলোয় রঙিন ফুলকপি চাষের দারুণ সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ। প্রাকৃতিকভাবে রঙিন এই ফুলকপি ভিটামিন এ, ক্যারোটিন ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরা। তাই তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

তিনি আরও বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে সবজির আবাদ হয়েছে ২৩০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, এই ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে থাকে। এটি দামে ভালো এবং ভালো ফলন পাবে ।

এদিকে এই রঙ্গিন বেগুনি জাতের ফুলকপি চাষ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসার। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন, কৃষি অফিসার আরজেনা বেগমসহ আরও অনেকে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচ

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

হিলিতে রঙ্গিন ফুলকপিতে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখছেন কৃষক গোলাম মোস্তফা

প্রকাশিত সময় :- ০২:১৭:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দিনাজপুরের হিলিতে প্রথমবারের মতো রঙ্গিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। প্রায় বাইশ শতক জমির উপর গোলাম মোস্তফা নামের এক কৃষক প্রথম বারের মত রঙ্গিন ফুলকপির চাষ করে সাড়া ফেলেছেন। প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি ওই কৃষক। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও। রঙিন এ ফুলকপিতে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে ক্যারোটিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। এদিকে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুলকপির রং বেগুনি। প্রথম দেখাতে মনে হবে, কেউ সাদা ফুলকপির ওপর রং করেছে। আগে বাংলাদেশে এ ধরনের রঙিন ফুলকপির চাষ হতো না। কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে। তবে প্রথমবারের মতো এই ধরনের ফুলকপির চাষ শুরু হয়েছে দিনাজপুরের হিলিতে।

ফুলকপি চাষি গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলার বলরামপুর গ্রামে বাইশ শতক জমির উপরে চাষ করেছেন এই বেগুনি রঙ্গের ফুলকপি। এখানে রয়েছে ১ হাজার টি গাছ। যার ব্যায় হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। আর বিক্রির আশা রয়েছে ৫০ হাজার টাকার। প্রতি কেজিতে বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এই ফুলকপি চাষে সার দিতে হচ্ছে টিএসপি ৩০ কেজি,পটাস ১৮ কেজি, জিপসাম ১৫ কেজি ও জৈব সার ১শ কেজি। তুলনামুলক ভাবে খরচ কম হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি করে এই ফুলকপি চাষ করার ইচ্ছে তার।

কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, এই রঙ্গিন জাতের ফুলকপি আমরা এর আগে কোথাও দেখিনি। আজকে আমরা প্রথম দেখলাম। এটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। তবে এই রঙ্গিন জাতের ফুলকপি আমাদের উপজেলায় প্রথম চাষ হয়েছে। এটি একটি নতুন জাতের ফুলকপি এর দামও ভালো রয়েছে। আগামীতে আমরাও চাষ করবো ইনশাআল্লাহ।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, এ ধরনের ফুলকপির সঙ্গে কৃষকদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তারা। তাই শুরুতে দাম বেশি দিয়ে কিনতে হবে ভোক্তাদের। চাষাবাদ বাড়ানো গেলে দামও হাতের নাগালে এসে যাবে। প্রতি রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষক স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি পাবেন। মাটির উপযোগী কি না, পরীক্ষামূলকভাবে তা দেখতে দিনাজপুরের হিলিতে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপির চাষ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় উপজেলাগুলোয় রঙিন ফুলকপি চাষের দারুণ সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ। প্রাকৃতিকভাবে রঙিন এই ফুলকপি ভিটামিন এ, ক্যারোটিন ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরা। তাই তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

তিনি আরও বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে সবজির আবাদ হয়েছে ২৩০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, এই ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে থাকে। এটি দামে ভালো এবং ভালো ফলন পাবে ।

এদিকে এই রঙ্গিন বেগুনি জাতের ফুলকপি চাষ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসার। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন, কৃষি অফিসার আরজেনা বেগমসহ আরও অনেকে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচ