ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমল কেজিতে ১০ টাকা

পেয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ভারত থেকে আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকামগুলোতে সকালে বাড়ছে আবার বিকেলে কমছে পেঁয়াজের দাম। এভাবে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করলে আমাদের লোকসান হবে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা।

আজ বুধবার (৫ মার্চ) সকালে হিলি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগেও যে দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে ১০৫ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এখন সেই পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দুই দিন আগে আমি পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। আজকে আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৪৫ টাকা দিয়ে। শুনছি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে।
এই খবরে নাকি পেঁয়াজের দাম কমছে।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোবারক হোসেন জানান, দুই দিন আগে পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯৪-৯৫ টাকা দরে কিনে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আজ বুধবার সকালে পাইকারি বাজার থেকে ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দরে কিনে খুচরা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, ‘মোকামে সকালে এক দামে কিনলে বিকেলে আরেক দাম ওঠে। এভাবে দাম ওঠানামা করলে আমরা পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা পড়ে যাই বিপাকে।

মোকামে এভাবে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করায় কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা আমাদের লোকসান গুনতে হয়। আমরা স্থানীয় পাইকারি বাজারে চার দিন আগে যে পেঁয়াজ কিনেছি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে, সেই পেঁয়াজ আমরা খুচরা পর্যায়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। চার দিন আগে কেনা পেঁয়াজই এখনো বিক্রি করে শেষ করতে পারিনি। গত রোববার থেকে মোকামে দাম কমায় আমাদের আগের কেনা পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, ‘বর্তমানে মোকামে প্রকারভেদে ২৮০০ থেকে ৩৬০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। মোকামেই ২৮০০ থেকে ৩৬০০ টাকা মণ কিনে আবার পরিবহন ভাড়া আছে। সব খরচ মিলে মোকামেই কিনতে পড়ছে কেজিপ্রতি ৯৩ টাকা ৫০ পয়সা। আমরা মোকামে কম দামে কিনতে পারলে এক থেকে দুই টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে থাকি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশি পেঁয়াজের দাম আরো কমে আসবে।’

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ পেঁয়াজের সংকট অজুহাত দেখিয়ে পূর্বঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজের দাম কয়েক দফায় বেড়ে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

পাওয়া গেছে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার

হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমল কেজিতে ১০ টাকা

প্রকাশিত সময় :- ০২:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

ভারত থেকে আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকামগুলোতে সকালে বাড়ছে আবার বিকেলে কমছে পেঁয়াজের দাম। এভাবে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করলে আমাদের লোকসান হবে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা।

আজ বুধবার (৫ মার্চ) সকালে হিলি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগেও যে দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে ১০৫ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এখন সেই পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দুই দিন আগে আমি পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। আজকে আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৪৫ টাকা দিয়ে। শুনছি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে।
এই খবরে নাকি পেঁয়াজের দাম কমছে।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোবারক হোসেন জানান, দুই দিন আগে পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯৪-৯৫ টাকা দরে কিনে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আজ বুধবার সকালে পাইকারি বাজার থেকে ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দরে কিনে খুচরা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, ‘মোকামে সকালে এক দামে কিনলে বিকেলে আরেক দাম ওঠে। এভাবে দাম ওঠানামা করলে আমরা পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা পড়ে যাই বিপাকে।

মোকামে এভাবে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করায় কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা আমাদের লোকসান গুনতে হয়। আমরা স্থানীয় পাইকারি বাজারে চার দিন আগে যে পেঁয়াজ কিনেছি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে, সেই পেঁয়াজ আমরা খুচরা পর্যায়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। চার দিন আগে কেনা পেঁয়াজই এখনো বিক্রি করে শেষ করতে পারিনি। গত রোববার থেকে মোকামে দাম কমায় আমাদের আগের কেনা পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, ‘বর্তমানে মোকামে প্রকারভেদে ২৮০০ থেকে ৩৬০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। মোকামেই ২৮০০ থেকে ৩৬০০ টাকা মণ কিনে আবার পরিবহন ভাড়া আছে। সব খরচ মিলে মোকামেই কিনতে পড়ছে কেজিপ্রতি ৯৩ টাকা ৫০ পয়সা। আমরা মোকামে কম দামে কিনতে পারলে এক থেকে দুই টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে থাকি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশি পেঁয়াজের দাম আরো কমে আসবে।’

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ পেঁয়াজের সংকট অজুহাত দেখিয়ে পূর্বঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজের দাম কয়েক দফায় বেড়ে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন