ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলিতে আবারো দাম বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের

দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে কিছু কিছু পণ্যের দাম। সরকারের বেধে দেওয়া দামে কেউ পণ্য বিক্রি করছেন না। মোকামে সব ধরনের পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে বেড়েছে দাম, বলছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।

আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট আলু কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, বড় আলু কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, দেশি পেয়াজ কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি একদিনের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। অন্যদিকে আদা, রসুন, শুকনা মরিচ এর দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। বর্তমানে আদা কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়, রসুন কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকয় এবং শুকনা মরিচ ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা রিকশাচালক মিজান বলেন, অনেক সময় অনেক মানুষ বলছেন যে, আমাদের ইনকাম বেড়েছে। এটা সত্য কথা, তবে জিনিস পত্রের যে দাম সেই টাকা দিয়ে বাজার করতে আসলে চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। কারণ সব কিছু নিত্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ, বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়। মাস শেষে আমাদের ঋণ পরিশোধ করতে খুব বিপাকে পড়তে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হতো তাহলে আমরা অনেক উপকার পেতাম।

হিলি বাজারের মুদি দোকানী মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, মোকামগুলোতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে পণ্য বিক্রয় করে নতুন করে মোকামে কিনতে গেলে দাম নিয়ে অনেক বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের। অনেক সময় খুচরা বাজারে নিত্যপণ্য বিক্রির সময় সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে তর্কে জড়াতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই। কম দামে পণ্য বিক্রি করে মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন >> বৃষ্টিপাত নিয়ে যে আভাস দিল আবহাওয়া অফিস 

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

হিলিতে আবারো দাম বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের

প্রকাশিত সময় :- ০৭:৪০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে কিছু কিছু পণ্যের দাম। সরকারের বেধে দেওয়া দামে কেউ পণ্য বিক্রি করছেন না। মোকামে সব ধরনের পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে বেড়েছে দাম, বলছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।

আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট আলু কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, বড় আলু কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, দেশি পেয়াজ কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি একদিনের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। অন্যদিকে আদা, রসুন, শুকনা মরিচ এর দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। বর্তমানে আদা কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়, রসুন কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকয় এবং শুকনা মরিচ ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা রিকশাচালক মিজান বলেন, অনেক সময় অনেক মানুষ বলছেন যে, আমাদের ইনকাম বেড়েছে। এটা সত্য কথা, তবে জিনিস পত্রের যে দাম সেই টাকা দিয়ে বাজার করতে আসলে চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। কারণ সব কিছু নিত্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ, বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়। মাস শেষে আমাদের ঋণ পরিশোধ করতে খুব বিপাকে পড়তে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হতো তাহলে আমরা অনেক উপকার পেতাম।

হিলি বাজারের মুদি দোকানী মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, মোকামগুলোতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে পণ্য বিক্রয় করে নতুন করে মোকামে কিনতে গেলে দাম নিয়ে অনেক বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের। অনেক সময় খুচরা বাজারে নিত্যপণ্য বিক্রির সময় সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে তর্কে জড়াতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই। কম দামে পণ্য বিক্রি করে মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন >> বৃষ্টিপাত নিয়ে যে আভাস দিল আবহাওয়া অফিস 

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন