ঈদুল ফিতর সামনে রেখে দিনাজপুরের হাকিমপুরে শুরু হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিন্ম মানের সেমাই তৈরীর কাজ। অন্তত ২০ জন মৌসুমি ব্যবসায়ী নিন্ম মানের পাম অয়েল ও ডালডা দিয়ে তৈরী করছে সেমাই। এসব সেমাইয়ে মেশানো হচ্ছে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ঝঁুকিপূর্ণ ক্যামিকেল। অধিক মুনাফা লাভের আশায় ব্যবহার করা হচ্ছে নিন্ম মানের ময়দা ও পোড়া তেল। চিকিৎসকরা জানান, এসব সেমাই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝঁুকিপূর্ণ। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এসব সেমাই তৈরীর কাজ বলে অভিযোগ।
উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া বাজার ঘুরে দেখায় যায়, সেখানে অন্তত ডজন খানেক কারখানায় চলছে সেমাই তৈরীর কাজ। ৩টি কারাখানা ছাড়া বাকিসব কারখানার নেই বাংলাদেশ স্ট্যন্ডার্ডস এন্ড টেষ্টিং ইনষ্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন। এসব করাখানার বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চলছে সেমাই তৈরীর কাজ। মানা হচ্ছেনা কোন নিয়মনীতি।
মৌসুমি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, তার কারখানায় ৮ জন কারিগর সেমাই তৈরীতে ব্যস্ত। কারখানাটির চারিদিকে পরিবেশ নোংড়া ও শঁ্যাতশ্যাতে। কোন কারিগরের হাতে নেই হ্যান্ড গ্লাভস। পোষক পরিচ্ছদ নোংরা। সেমাই তৈরীতে ব্যবহার করা হচ্ছে পোড়া তেল। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কারখানার মালিক রেগে গিয়ে বললেন, মানুষ মাদক খেয়েও মরেনা আর এটা তো সেমাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমার বিএসটিআই অনুমোদনসহ সবধরণের কাগজপত্র রয়েছে। দীর্ঘ দিন থেকে বৈধভাবে এ ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গোপন স্থানে কারখানা বসিয়ে অবৈধভাবে নিন্ম মানের সেমাই তৈরী করছে। এরপর বাহারী ডিজাইনের প্যাকেট ও ইস্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করছে।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইলতুতমিস আকন্দ জানান, এসব সেমাই খেলে পেটে নানা রোগসহ, কিডনি বিকল ও মরণব্যাধি ক্যান্সার ঝঁুকি রয়েছে।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান জানান, বিষয়টি আমিও শুনেছি। অচিরেই সেই কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।