লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সরকারি রাস্তার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন আনোয়ার হোসেন নামে এক সাবেক পুলিশ সদস্য৷
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটার ছবি তুললে সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রবির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হামলা চালিয়ে মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ওই সাবেক পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সিন্দুর্না ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পশ্চিম পার্শ্বে তমেরের চৌপথি সড়কের সরকারি রাস্তার গাছ কাটার ছবি তুলতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিককের উপর হামলাকারী আনোয়ার হোসেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার c~e© সিন্দুর্না MÖv‡gi সাবেক প্রধান শিক্ষক মাহবুবর রহমান মহুর ছেলে। এছাড়া সে পুলিশে কর্মরত ছিলো বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম রবি আজকের পত্রিকার হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সিন্দুর্না ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে তমেরের চৌপথি সড়কের সরকারি রাস্তার গাছ কাটাছেন ওই সাবেক পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেন। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটার ছবি তুলেন সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রবি। এতে করে আনোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এর এক পর্যায়ে সাংবাদিক রবির উপর হামলা করে ও মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক আনোয়ার হোসেনের হাত থেকে সাংবাদিক রবিকে রক্ষা করে।আজকের পত্রিকার হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমি খবর পেয়ে সেখানে যাই আর ছবি তুলি। এরপর তার কাছে এ বিষয়ে জানতে কথা বলার জন্য এগিয়ে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও হামলা চালিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে।এ বিষয়ে দৈনিক কালের কন্ঠের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যতই দিন যাচ্ছে সাংবাদিকের উপর অপরাধীদের এ ধরনের আচরণ ততই বেড়ে চলছে। সাংবাদিকের উপর দিনের পর দিন যদি এভাবে হামলা চলতে থাকে তাহলে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা হারিয়ে যাবে। তাই অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের দৃষ্টি কামনা করছি। হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূরল হক বলেন, এ ঘটনায় হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রবির উপর হামলাকারী আনোয়ারকে আটক ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করছি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তি যদি সরকারি রাস্তার গাছ কেটে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাতীবান্ধা থানার ওসি মোঃ শাহা আলম বলেন,এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই।