ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাতীবান্ধায় প্রতিবন্ধীর ভিজিডি কার্ডের ৭২০ কেজি চাউল আত্মসাৎ করেছে গ্রাম পুলিশ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাক প্রতিবন্ধী পরিবারের ভিজিডি কার্ডের চাউল তুলে নিয়েছে আসাদুল ইসলাম নামে এক গ্রাম পুলিশ। জানাগেছে  ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী ফরহাদুল ইসলামের পরিবারের নামে দুই বছর মেয়াদী ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ হয়। কিন্তু সানিয়াজান ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আসাদুল ইসলাম কৌশলে ফরহাদুল ইসলামের স্ত্রী ফাহিমার নামে ভিজিডি কার্ডটি গোপন করে নিজে আত্মসাৎ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ২ বছরে ১৮ মনের উপরে চাউল উত্তোলন করেন ওই গ্রাম পুলিশ। সেই কার্ডের মেয়াদ শেষ হলে আরডিআরএস বাংলাদেশ কর্তৃক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ওই সব উপকার ভুগীদের প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরডিআরএস কর্মকর্তা জানান, প্রকৃত ব্যাক্তি ছাড়া টাকা প্রদান করা হবেনা। এমতাবস্থায় ওই গ্রাম পুলিশ বাধ্য হয়ে ফাহিমা বেগমকে বিষয়টি জানান এবং টাকা উত্তোলন করে অর্ধেক টাকা ভাগ দিতে বলেন। ফাহিমা বেগম দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি মিমাংসা পত্রে স্বাক্ষর নেন ওই গ্রাম পুলিশ আসাদুল ইসলাম।
ওই এলাকার স্থনীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান জানান, গ্রাম পুলিশ আসাদুল গরীব মানুষের হক মেরে খেয়েছে। এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে ফাহিমা বেগম জানান গর্ভবতী ভাতা দেওয়ার কথা বলে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নেয় ওই গ্রাম পুলিশ। পরে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমার কার্ড হয়নি। এখন আমি জানতে পারলাম আমার কার্ড হয়েছে এবং সেই কার্ড দিয়ে ২ বছর ধরে সে নিজে চাউল উত্তোলণ করেন। প্রতারণার বিষয়ে গ্রাম পুলিশ আসাদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি চাউল আত্মসাৎ এর কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বাবার নামে ভিজিডি কার্ড না হওয়ায় আমি ফাহিমার আইডি কার্ড অনলাইন হতে ডাউনলোড দিয়ে ভিজিডি কার্ড এর ব্যবস্থা করি। সেই চাউল আমার বাবা খেয়েছে। এটা আমার অপরাধ হয়েছে।
এ বিষয়ে সানিয়াজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাশেম তালুকদার বলেন, ফাহিমা বেগম আমাকে অভিযোগ করলে আমি গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজির হোসেন বলেন, এটি অন্যায় ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

পাঁচ দিন শোক পালন করবে ইরান

হাতীবান্ধায় প্রতিবন্ধীর ভিজিডি কার্ডের ৭২০ কেজি চাউল আত্মসাৎ করেছে গ্রাম পুলিশ

প্রকাশিত সময় :- ০৯:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাক প্রতিবন্ধী পরিবারের ভিজিডি কার্ডের চাউল তুলে নিয়েছে আসাদুল ইসলাম নামে এক গ্রাম পুলিশ। জানাগেছে  ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী ফরহাদুল ইসলামের পরিবারের নামে দুই বছর মেয়াদী ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ হয়। কিন্তু সানিয়াজান ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আসাদুল ইসলাম কৌশলে ফরহাদুল ইসলামের স্ত্রী ফাহিমার নামে ভিজিডি কার্ডটি গোপন করে নিজে আত্মসাৎ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ২ বছরে ১৮ মনের উপরে চাউল উত্তোলন করেন ওই গ্রাম পুলিশ। সেই কার্ডের মেয়াদ শেষ হলে আরডিআরএস বাংলাদেশ কর্তৃক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ওই সব উপকার ভুগীদের প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরডিআরএস কর্মকর্তা জানান, প্রকৃত ব্যাক্তি ছাড়া টাকা প্রদান করা হবেনা। এমতাবস্থায় ওই গ্রাম পুলিশ বাধ্য হয়ে ফাহিমা বেগমকে বিষয়টি জানান এবং টাকা উত্তোলন করে অর্ধেক টাকা ভাগ দিতে বলেন। ফাহিমা বেগম দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি মিমাংসা পত্রে স্বাক্ষর নেন ওই গ্রাম পুলিশ আসাদুল ইসলাম।
ওই এলাকার স্থনীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান জানান, গ্রাম পুলিশ আসাদুল গরীব মানুষের হক মেরে খেয়েছে। এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে ফাহিমা বেগম জানান গর্ভবতী ভাতা দেওয়ার কথা বলে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নেয় ওই গ্রাম পুলিশ। পরে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমার কার্ড হয়নি। এখন আমি জানতে পারলাম আমার কার্ড হয়েছে এবং সেই কার্ড দিয়ে ২ বছর ধরে সে নিজে চাউল উত্তোলণ করেন। প্রতারণার বিষয়ে গ্রাম পুলিশ আসাদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি চাউল আত্মসাৎ এর কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বাবার নামে ভিজিডি কার্ড না হওয়ায় আমি ফাহিমার আইডি কার্ড অনলাইন হতে ডাউনলোড দিয়ে ভিজিডি কার্ড এর ব্যবস্থা করি। সেই চাউল আমার বাবা খেয়েছে। এটা আমার অপরাধ হয়েছে।
এ বিষয়ে সানিয়াজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাশেম তালুকদার বলেন, ফাহিমা বেগম আমাকে অভিযোগ করলে আমি গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজির হোসেন বলেন, এটি অন্যায় ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজবিজয়/এফএইচএন