মাছ, মাংস, খেজুর ও বিভিন্ন সবজিসহ মোট ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। নতুন এ দাম অনুযায়ী প্রতি কেজি গরুর মাংসের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা। ব্রয়লার খুচরা পর্যায়ে ১৭৫ ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা কেজি মূল্য ঠিক করে দেয়া হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও নির্ধারিত এ দামের সঙ্গে বাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যমূল্যে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য রয়েছে।
উৎপাদন খরচ, উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজার ও ভোক্তা পর্যায়ে ২৯টি পণ্যের খুচরা দাম কত হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিত্যপণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে গরু ও ছাগলের মাংস, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি, ডিম, মুগডাল, মাসকলাই, মসুর ডাল মোটা ও উন্নতমানের, আমদানীকৃত ছোলা, খেসারির ডাল, বেসন, চাষের পাঙাশ ও কাতল মাছ, দেশী পেঁয়াজ ও রসুন, আমদানীকৃত আদা, শুকনা ও কাঁচামরিচ, বাঁধাকপি ও ফুলকপি, বেগুন, শিম, আলু, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া, জাহিদি খেজুর, মোটা চিড়া ও কলা। কৃষি বিপণন আইন ২০১৮-এর ৪(ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এসব কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নতুন এ দামে কৃষিপণ্য কেনাবেচা করার জন্য বিক্রেতা ও ভোক্তাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে।
মাংসের মধ্যে প্রতি কেজি গরুর সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা। এছাড়া নতুন দাম অনুযায়ী ব্রয়লার খুচরা পর্যায়ে ১৭৫ ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা কেজি। ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১০ টাকা। সে হিসাবে এক হালির দাম পড়বে ৪২ টাকা। মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশের খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১৮১ টাকা ও কাতলা মাছের সর্বোচ্চ দাম ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা মুক্তিযোদ্বা খুচরা বাজারে যদিও বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। এছাড়া , ব্রয়লার ২০০-২৩০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা করে। মাছের মধ্যে প্রতি কেজি চাষের পাঙাশ ২০০-২৩০ টাকা ও চাষের কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়।
এ বিষয়ে কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তারা (কৃষি বিপণন অধিদপ্তর) বিভিন্ন পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো এ দাম নির্ধারণ অনেকটা দায়সারা গোছের হয়েছে। দামটা বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে। তা না হলে বাস্তবায়ন করা কঠিন। যে আইনের ভিত্তিতে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা মানুষকে জানানো বা প্রচারণা চালানো কোনোটাই দেখা যায়নি। আগেও দাম নির্ধারণ হয়েছে কিন্তু লোকবলের অভাবে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবারো সে শঙ্কাই রয়েছে। এটা আরো প্রস্তুতি নিয়ে করা দরকার ছিল।’
আরও পড়ুন>>হিলিতে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছেনা একটিও পণ্য
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
E-mail :- [email protected] । E-mail :- [email protected] মোবাইল- +৮৮০১৭১৩-৬৩৬৬৬১ । বার্তা বিভাগ :- +০১৭১৬-৯৮০০৮৮ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত NewsBijoy24.Com - Popular Online Newspaper of Bangladesh.