ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর মৃত্যুর পরের দিনই মারা গেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সোহান

  • বিনোদন ডেস্ক:-
  • প্রকাশিত সময় :- ১১:০৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৩১৭ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান

স্ত্রীর মৃত্যুর পরের দিনই মারা গেলেন ঢাকাই সিনেমার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান চলচ্চিত্র পরিচালক অপূর্ব রানা।

অপূর্ব বলেন, আজ দুপুরে ঘুমানোর পর সন্ধ্যা নাগাদ সাড়া মিলছিলো না তার। এরপর পরিবারের সদস্যরা নিয়ে যান হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ বলেন, সোহানুর রহমান সোহান মারা গেছেন, এটা সত্য। গতকাল মঙ্গলবার সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রী ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এই শোক সম্ভবত সহ্য করতে পারেননি তিনি।

সোহানুর রহমান সোহান দীর্ঘদিন ধরে নিউরো সমস্যায় ভোগছিলেন। দু’দিন আগে চিকিৎসার জন্য তার জাপান যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় যাওয়া হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বের) সন্ধ্যায় ব্রেইন স্ট্রোকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্ত্রীও মারা যান।

বহু সফল চলচ্চিত্রের নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। ৭০ দশকের শেষের দিকে শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে শহীদুল হক খানের ‘কলমিলতা’ (১৯৮১), এজে মিন্টুর ‘অশান্তি’ (১৯৮৬) ও শিবলি সাদিকের ‘ভেজা চোখ’ (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। একক ও প্রধান পরিচালক হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালে। তিনি মূলত প্রেম-বিরহ ঘরানার মূলধারার চলচ্চিত্র পরিচালনায় পারঙ্গম ছিলেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল- কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩), স্বজন (১৯৯৬), আমার ঘর আমার বেহেশত, অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯)।

তার অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, বেনাম বাদশা (১৯৯২), কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩), আখেরি রাস্তা (১৯৯৪), বিদ্রোহী কন্যা (১৯৯৬), স্বজন (১৯৯৬), আমার ঘর আমার বেহেশত (১৯৯৭), আমার দেশ আমার প্রেম (১৯৯৮), মা যখন বিচারক (১৯৯৮), অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯), কিলার (২০০০), সত্যের বিজয় (২০০৩), স্বামী ছিনতাই (২০০৪), বলো না ভালোবাসি (২০০৫), বৃষ্টি ভেজা আকাশ (২০০৭), কথা দাও সাথী হবে (২০০৭), আমার জান আমার প্রাণ (২০০৮), পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০), কোটি টাকার প্রেম (২০১১), দ্যা স্পিড (২০১২), সে আমার মন কেড়েছে (২০১২), এক মন এক প্রাণ (২০১২), লোভে পাপ পাপে মৃত্যু (২০১৪), ভাল লাগার চেয়েও একটু বেশি, জেদী (২০২২)।

সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরেই চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ, মৌসুমী, পপি ও ইরিন জামান। শাকিব খানের মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমার পরিচালকও ছিলেন তিনি।

মৃত্যুর পূর্বে তিনি ইউনিভার্সেল পারফর্মিং আর্টস ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির টানা দুবার মহাসচিব এবং দুইবার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ভালো নাকি ক্ষতিকর

স্ত্রীর মৃত্যুর পরের দিনই মারা গেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সোহান

প্রকাশিত সময় :- ১১:০৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্ত্রীর মৃত্যুর পরের দিনই মারা গেলেন ঢাকাই সিনেমার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান চলচ্চিত্র পরিচালক অপূর্ব রানা।

অপূর্ব বলেন, আজ দুপুরে ঘুমানোর পর সন্ধ্যা নাগাদ সাড়া মিলছিলো না তার। এরপর পরিবারের সদস্যরা নিয়ে যান হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ বলেন, সোহানুর রহমান সোহান মারা গেছেন, এটা সত্য। গতকাল মঙ্গলবার সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রী ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এই শোক সম্ভবত সহ্য করতে পারেননি তিনি।

সোহানুর রহমান সোহান দীর্ঘদিন ধরে নিউরো সমস্যায় ভোগছিলেন। দু’দিন আগে চিকিৎসার জন্য তার জাপান যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় যাওয়া হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বের) সন্ধ্যায় ব্রেইন স্ট্রোকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্ত্রীও মারা যান।

বহু সফল চলচ্চিত্রের নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। ৭০ দশকের শেষের দিকে শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে শহীদুল হক খানের ‘কলমিলতা’ (১৯৮১), এজে মিন্টুর ‘অশান্তি’ (১৯৮৬) ও শিবলি সাদিকের ‘ভেজা চোখ’ (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। একক ও প্রধান পরিচালক হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালে। তিনি মূলত প্রেম-বিরহ ঘরানার মূলধারার চলচ্চিত্র পরিচালনায় পারঙ্গম ছিলেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল- কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩), স্বজন (১৯৯৬), আমার ঘর আমার বেহেশত, অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯)।

তার অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, বেনাম বাদশা (১৯৯২), কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩), আখেরি রাস্তা (১৯৯৪), বিদ্রোহী কন্যা (১৯৯৬), স্বজন (১৯৯৬), আমার ঘর আমার বেহেশত (১৯৯৭), আমার দেশ আমার প্রেম (১৯৯৮), মা যখন বিচারক (১৯৯৮), অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯), কিলার (২০০০), সত্যের বিজয় (২০০৩), স্বামী ছিনতাই (২০০৪), বলো না ভালোবাসি (২০০৫), বৃষ্টি ভেজা আকাশ (২০০৭), কথা দাও সাথী হবে (২০০৭), আমার জান আমার প্রাণ (২০০৮), পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০), কোটি টাকার প্রেম (২০১১), দ্যা স্পিড (২০১২), সে আমার মন কেড়েছে (২০১২), এক মন এক প্রাণ (২০১২), লোভে পাপ পাপে মৃত্যু (২০১৪), ভাল লাগার চেয়েও একটু বেশি, জেদী (২০২২)।

সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরেই চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ, মৌসুমী, পপি ও ইরিন জামান। শাকিব খানের মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমার পরিচালকও ছিলেন তিনি।

মৃত্যুর পূর্বে তিনি ইউনিভার্সেল পারফর্মিং আর্টস ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির টানা দুবার মহাসচিব এবং দুইবার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

নিউজবিজয়/এফএইচএন