রংপুরের পীরগাছায় ঢাঁকঢোল পিটিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর ভোটের দিন সকালে প্রার্থী ও ভোটাররা জানতে পারেন ভোট বন্ধ। ভোট গ্রহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বুধবার ভোট গ্রহনের তারিখ ছিল পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের সুবিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। ম্যানেজিং কমিটির এ নির্বাচনে মোট ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন প্রার্থী গতকাল বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ করেন। দুর-দুরান্ত থেকে ভোট দিতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন শতাধিক ভোটার। এ নিয়ে প্রার্থী ও সাধারন ভোটারদের মাঝে চর ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষনা করা হয়। নির্বাচনে ৯ জন সাধারন সদস্য প্রার্থী, ৪জন শিক্ষক প্রতিনিধি ও একজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতার জন্য মনোনয়ন ক্রয় করেন। সব প্রক্রিয়া শেষে প্রতীক বরাদ্দও দেয়া হয়। এজন্য প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচার প্রচারনা ও পোষ্টার সাটান গোটা এলাকায়। বুধবার সকাল থেকে ভোট গ্রহন করার কথা। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ভোট বন্ধের নিদের্শনা দেন প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ফারুকুজ্জামান ডাকুয়া। এ নিয়ে বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন কয়েকজন প্রার্থী ও ভোটাররা। তারা ভোট বন্ধের জন্য প্রধান শিক্ষক কল্যাণী রানীকে দুষতে থাকেন।
প্রাথী শামীম, মনজু মিয়া, আসাদুজ্জামান বলেন, ভোট গ্রহনের আগ মুহুর্তে ভোট বন্ধ। এ ধরনের কারচুপি আমরা মানিনা। একটি মহল এ স্কুলটি ধ্বংসের পায়তারা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক ভোটার তালিকা অসংগতি নিয়ে পীরগাছা সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে নির্বাচন বন্ধের জন্য আবেদন করেন। মঙ্গলবার আদালত নির্বাচনের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। ওই রাতে কাগজ হাতে পান প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ফারুকুজ্জামান ডাকুয়া। তাৎক্ষনিক তিনি প্রধান শিক্ষককে তা জানিয়ে দেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কল্যাণী রানী রায় বলেন, আমি ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে আসতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। পরে আর সরঞ্জাম আনা হয়নি। আদালতের বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারিনা।
জানতে চাইলে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ফারুকুজ্জামান ডাকুয়া বলেন, আদালতের আদের্শ পাওয়ার পর নির্বাচন স্থাগিত করা হয়েছে। এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন