ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকরা ফ্ল্যাট পাবে সহজ কিস্তিতে: প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০১:৩০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • ৩০১ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে অনেকেই প্লট পেয়েছেন, কেউ কেউ তা বিক্রিও করেছেন। সরকারিভাবে অনেক ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। সামান্য কিছু টাকা জমা দিয়ে সাংবাদিকরা চাইলে কিস্তিতে পরিশোধ করে এসব ফ্ল্যাট নিতে পারবেন।

সোমবার (১০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে অসুস্থ, অসচ্ছল সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাম সম্মেলনের জন্য যখন ফ্ল্যাট তৈরি করি তখনই লক্ষ্য ছিল যে সম্মেলন হওয়ার পরে ফ্ল্যাটগুলো আমারা কবি, শিল্পী সাহ্যিতিক, সাংবাদিক, আসলে তাদের কোনো চাকিরর তো কোনো স্থায়িত্ব থাকে না। যখন বয়স্ক হয়ে যায় বা অসুস্থ হয়ে যায়, তখন কি করে চলবে। তার কোনো নিদিষ্ট সুযোগই থাকে না। সরকারি চাকরি যারা করে তারা তো অবসর ভাতা পায়। যেমন আমাদের রাজনীতিবিদদেরও কিছু থাকে না, সাংবাদিকদেরও কিছু থাকে না। এটা তো বাস্তবতা। তাই সরকারি ফ্ল্যাটগুলো চাইলে আপনারা সাংবাদিকরা নিতে পারেন।

বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থা করেছে। অনেক সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যারা ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই করেন না। অবসরের পর তারা কীভাবে চলবে সেটাও চিন্তার বিষয়। তাই সাংবাদিকরা যাতে কিস্তিতে ফ্ল্যাট কিনতে পারে সে বিষয়ে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। তাছাড়া ইলেক্ট্রনিক মিডায়ার কর্মীদের ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনা হবে।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা সরকার গঠন করার সময় সংবাদপত্র ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। তখন অবাধে সংবাদ যাতে প্রকাশিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। প্রথমে তিনটি প্রাইভেট চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছি, তারপর এটি বাড়ানো হয়েছে। সেই সময় অনেকে বাধা দিয়েছিল যে, প্রাইভেটে টিভি চ্যানেল দেওয়া ঠিক হবে কি না? আমি যখনই যে কাজ করেছি সেখানে লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তখন আমি বলেছিলাম, যত বেশি টেলিভিশন দিতে পারব সেখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে বহু ধরনের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাংবাদিক, শিল্পী, টেকনিশিয়ানসহ বহু ধরনের মানুষ কাজ পাবে তাদের জীবন চলতে পারবে। সেভাবে আমরা টেলিভিশনটা উন্মুক্ত করে দেই।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তার আত্মজীবনী পড়লে আপনারা সেটি জানতে পারবেন। শুধু সাংবাদিকতা নয়, পত্রিকা বিক্রির কাজও তিনি করেছেন। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমি আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইতিহাসের এই দিনে: ৫ মে : ২০২৪

সাংবাদিকরা ফ্ল্যাট পাবে সহজ কিস্তিতে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় :- ০১:৩০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে অনেকেই প্লট পেয়েছেন, কেউ কেউ তা বিক্রিও করেছেন। সরকারিভাবে অনেক ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। সামান্য কিছু টাকা জমা দিয়ে সাংবাদিকরা চাইলে কিস্তিতে পরিশোধ করে এসব ফ্ল্যাট নিতে পারবেন।

সোমবার (১০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে অসুস্থ, অসচ্ছল সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাম সম্মেলনের জন্য যখন ফ্ল্যাট তৈরি করি তখনই লক্ষ্য ছিল যে সম্মেলন হওয়ার পরে ফ্ল্যাটগুলো আমারা কবি, শিল্পী সাহ্যিতিক, সাংবাদিক, আসলে তাদের কোনো চাকিরর তো কোনো স্থায়িত্ব থাকে না। যখন বয়স্ক হয়ে যায় বা অসুস্থ হয়ে যায়, তখন কি করে চলবে। তার কোনো নিদিষ্ট সুযোগই থাকে না। সরকারি চাকরি যারা করে তারা তো অবসর ভাতা পায়। যেমন আমাদের রাজনীতিবিদদেরও কিছু থাকে না, সাংবাদিকদেরও কিছু থাকে না। এটা তো বাস্তবতা। তাই সরকারি ফ্ল্যাটগুলো চাইলে আপনারা সাংবাদিকরা নিতে পারেন।

বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থা করেছে। অনেক সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যারা ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই করেন না। অবসরের পর তারা কীভাবে চলবে সেটাও চিন্তার বিষয়। তাই সাংবাদিকরা যাতে কিস্তিতে ফ্ল্যাট কিনতে পারে সে বিষয়ে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। তাছাড়া ইলেক্ট্রনিক মিডায়ার কর্মীদের ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনা হবে।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা সরকার গঠন করার সময় সংবাদপত্র ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। তখন অবাধে সংবাদ যাতে প্রকাশিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। প্রথমে তিনটি প্রাইভেট চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছি, তারপর এটি বাড়ানো হয়েছে। সেই সময় অনেকে বাধা দিয়েছিল যে, প্রাইভেটে টিভি চ্যানেল দেওয়া ঠিক হবে কি না? আমি যখনই যে কাজ করেছি সেখানে লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তখন আমি বলেছিলাম, যত বেশি টেলিভিশন দিতে পারব সেখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে বহু ধরনের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাংবাদিক, শিল্পী, টেকনিশিয়ানসহ বহু ধরনের মানুষ কাজ পাবে তাদের জীবন চলতে পারবে। সেভাবে আমরা টেলিভিশনটা উন্মুক্ত করে দেই।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তার আত্মজীবনী পড়লে আপনারা সেটি জানতে পারবেন। শুধু সাংবাদিকতা নয়, পত্রিকা বিক্রির কাজও তিনি করেছেন। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমি আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন