ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবগুলো বাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে আলোকিত পুরো পদ্মা সেতু

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১০:৩১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • ৩১৯ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

সবগুলো বাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে আলোকিত পুরো পদ্মা সেতু

আর মাত্র ১০ দিন পরই খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতু চালু হলে উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিতে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এমন স্বপ্নে যখন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বিভোর, তখন সেতুতে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সবগুলো বাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে পুরো পদ্মাসেতু আলোকিত করে তোলা হয়েছে। এই প্রথম একসঙ্গে জ্বলে উঠল ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুতে থাকা ৪১৫টি বাতি। এর মধ্য দিয়ে দুই প্রান্তসহ মাঝ পদ্মায়ও আলোয় ঝলমলে করে উঠল পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সহকারী তড়িৎ প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, সন্ধ্যায় সবগুলো বাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে পুরো পদ্মাসেতু আলোকিত করে তোলা হয়। এর আগে সোমবার সেতুর ৪১৫টি বাতির মধ্যে মাওয়া প্রান্তের ২০৫টি বাতি জ্বালানো হয়েছিল। সপ্তাহখানেক ধরে পর্যায়ক্রমে সব বাতি জ্বালানো হয়। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো সব বাতি এক সঙ্গে জ্বালানো হয়েছে। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। পরদিন সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দ্বার উন্মোচন হতে চলেছে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সাড়ে ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে আলোয় ঝলমলে করে উঠল পদ্মা সেতু। মাওয়া প্রান্তের ল্যাম্পপোস্টে একসঙ্গে জ্বলে ওঠে ২০৫টি বাতি। এর আগে ৫ জুন বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। ওই দিন সেতুর ১৪ নম্বর থেকে ১৯ নম্বর পিয়ারের মাঝামাঝি ২৪ ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। এরপর ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জ্বালানো হয়।

তিনি আরও জানান, মুন্সীগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে সোমবার মাওয়া প্রান্তের ২০৫টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে জেনারেটরের মাধ্যমে আলো জ্বালানো হয়েছিল। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে পুরো পদ্মা সেতুর ৪১৫টি বাতি জ্বালানো হয়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতুতে বৈদ্যুতিক বাতি রয়েছে ৪১৫টি। আর দু’পাশের সংযোগ সড়কে রয়েছে আরও ২০০ বাতি। গত বছরের ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট বসানো ও বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। এরপর পুরো সেতুতে কেবল টানা হয়েছে।

২৪ মে প্রথমে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে ৪২ নম্বর পিয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কাজ শেষ হয়। এরপর মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিও সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে। সর্বশেষ ৩০ মে প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ করে মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

পাওয়া গেছে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার

সবগুলো বাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে আলোকিত পুরো পদ্মা সেতু

প্রকাশিত সময় :- ১০:৩১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

আর মাত্র ১০ দিন পরই খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতু চালু হলে উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিতে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এমন স্বপ্নে যখন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বিভোর, তখন সেতুতে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সবগুলো বাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে পুরো পদ্মাসেতু আলোকিত করে তোলা হয়েছে। এই প্রথম একসঙ্গে জ্বলে উঠল ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুতে থাকা ৪১৫টি বাতি। এর মধ্য দিয়ে দুই প্রান্তসহ মাঝ পদ্মায়ও আলোয় ঝলমলে করে উঠল পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সহকারী তড়িৎ প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, সন্ধ্যায় সবগুলো বাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে পুরো পদ্মাসেতু আলোকিত করে তোলা হয়। এর আগে সোমবার সেতুর ৪১৫টি বাতির মধ্যে মাওয়া প্রান্তের ২০৫টি বাতি জ্বালানো হয়েছিল। সপ্তাহখানেক ধরে পর্যায়ক্রমে সব বাতি জ্বালানো হয়। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো সব বাতি এক সঙ্গে জ্বালানো হয়েছে। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। পরদিন সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দ্বার উন্মোচন হতে চলেছে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সাড়ে ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে আলোয় ঝলমলে করে উঠল পদ্মা সেতু। মাওয়া প্রান্তের ল্যাম্পপোস্টে একসঙ্গে জ্বলে ওঠে ২০৫টি বাতি। এর আগে ৫ জুন বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। ওই দিন সেতুর ১৪ নম্বর থেকে ১৯ নম্বর পিয়ারের মাঝামাঝি ২৪ ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। এরপর ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জ্বালানো হয়।

তিনি আরও জানান, মুন্সীগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে সোমবার মাওয়া প্রান্তের ২০৫টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে জেনারেটরের মাধ্যমে আলো জ্বালানো হয়েছিল। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে পুরো পদ্মা সেতুর ৪১৫টি বাতি জ্বালানো হয়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতুতে বৈদ্যুতিক বাতি রয়েছে ৪১৫টি। আর দু’পাশের সংযোগ সড়কে রয়েছে আরও ২০০ বাতি। গত বছরের ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট বসানো ও বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। এরপর পুরো সেতুতে কেবল টানা হয়েছে।

২৪ মে প্রথমে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে ৪২ নম্বর পিয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কাজ শেষ হয়। এরপর মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিও সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে। সর্বশেষ ৩০ মে প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ করে মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

নিউজবিজয়/এফএইচএন