ঢাকা ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১১:৪০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • ৩৫৩ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

মির্জা ফখরুল

সব শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় আমরা সর্বদা সচেতন ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) মহান মে দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, সমাজ প্রগতির পতাকাবাহী শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও আমরা একইভাবে শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে মে দিবস দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস, অনেক রক্তঝরার কাহিনী। শ্রমিকের ন্যায্য দাবি ও শ্রমের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমেরিকায় শিকাগো শহরে ১৮৮৬ সালের মে মাসে রচিত হয়েছিলো এক রক্তমাখা ইতিহাস।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সে সময় শোষকদের বিরুদ্ধে শোষণ ও বঞ্চনার শিকার প্রতিবাদী শ্রমিকদের আত্মাহুতির রক্তাক্ত পথে সারাবিশ্বে শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের ন্যায্য অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছিলো। তাই মে দিবস দুনিয়ার শ্রমিকদের এক হওয়ার ব্রত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মে দিবস আন্তর্জাতিক সংগ্রাম আর সৌভ্রাতৃত্বের দিন। মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের উৎসব, জাগরণ, ঐক্য ও প্রেরণার দিন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) নিজেকে সবসময় একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। শ্রমিকদের দুটো হাতকে তিনি উন্নয়নের চাবিকাঠি ভাবতেন।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনে অনেক শ্রমিক-কর্মচারী, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। তারা অনাহার, অর্ধাহারে নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছে। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-নেতারা কেবল ‘লিপ সার্ভিসেই’ ব্যস্ত রয়েছেন। যার ফলে ভুক্তভোগীদের কষ্টের সীমা তীব্র মাত্রায় উপনীত হয়েছে।

কাজেই এবারের এই মহান দিনে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল ও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়

প্রকাশিত সময় :- ১১:৪০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

সব শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় আমরা সর্বদা সচেতন ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) মহান মে দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, সমাজ প্রগতির পতাকাবাহী শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও আমরা একইভাবে শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে মে দিবস দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস, অনেক রক্তঝরার কাহিনী। শ্রমিকের ন্যায্য দাবি ও শ্রমের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমেরিকায় শিকাগো শহরে ১৮৮৬ সালের মে মাসে রচিত হয়েছিলো এক রক্তমাখা ইতিহাস।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সে সময় শোষকদের বিরুদ্ধে শোষণ ও বঞ্চনার শিকার প্রতিবাদী শ্রমিকদের আত্মাহুতির রক্তাক্ত পথে সারাবিশ্বে শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের ন্যায্য অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছিলো। তাই মে দিবস দুনিয়ার শ্রমিকদের এক হওয়ার ব্রত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মে দিবস আন্তর্জাতিক সংগ্রাম আর সৌভ্রাতৃত্বের দিন। মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের উৎসব, জাগরণ, ঐক্য ও প্রেরণার দিন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) নিজেকে সবসময় একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। শ্রমিকদের দুটো হাতকে তিনি উন্নয়নের চাবিকাঠি ভাবতেন।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনে অনেক শ্রমিক-কর্মচারী, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। তারা অনাহার, অর্ধাহারে নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছে। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-নেতারা কেবল ‘লিপ সার্ভিসেই’ ব্যস্ত রয়েছেন। যার ফলে ভুক্তভোগীদের কষ্টের সীমা তীব্র মাত্রায় উপনীত হয়েছে।

কাজেই এবারের এই মহান দিনে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল ও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।