প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লাভজনক নয় বলে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রেল বন্ধের অপচেষ্টায় ছিল। আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী-রূপপুরসহ তিনটি রেলপথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনে কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর অলাভজনক বলে রেল বন্ধের উদ্যোগ নেয় শাসকরা। তারা রেলের লোকবল ছাঁটাই করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গত ১৪ বছরে ৬৫০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ঈশ্বরদী-রূপপুরে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। এছাড়া ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন।
এছাড়া আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কসবা-মন্দবাগ এবং শশীদল-রাজাপুর সেকশনে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনে ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ, একই সঙ্গে ঢাকা টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী জয়দেবপুর সেকশনে ১১ কিলোমিটার ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল ও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় রূপপুর রেলস্টেশন ও নবনির্মিত ও সংস্কার করা ২৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধন করেন তিনি।
নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন।
ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার রুটে লুপ লাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্টেশনটির নামকরণ করা হয়েছে ‘রূপপুর’ স্টেশন। এই স্টেশন হয়ে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মালামাল ও যন্ত্রপাতি আনা-নেয়ার জন্য স্টেশনটি ব্যবহৃত হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রেললাইন এবং স্টেশন রয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে এই রেললাইন।