ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুড়িগ্রাম জেলাধীন উপজেলা রৌমারী-রাজিবপুর সীমান্তবর্তী দু’টি উপজেলায়

রৌমারী-রাজিবপুরে চারদিনও সূর্যের দেখা নাই শীতের তীব্রতায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

কুড়িগ্রাম জেলাধীন উপজেলা রৌমারী-রাজিবপুর সীমান্তবর্তী দু’টি উপজেলায় প্রতিদিনই বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা । গত কয়েকদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো। অপরদিকে শীতের তীব্র দাপটে কাঁপছে দুই উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। এরমধ্যে কষ্টে পড়েছে নব পোয়াতি মা ও শিশুরা শীতের সময় শিশুরা প্রসাব পায়খা বেশি করায় বেশি বিপাকে মায়েরা শিশু বাচ্ছাদের পাপড় শুকাতেই পারচেন না।
প্রতি বছরই শীতের দাপট তুলনামূলকভাবে অন্যান্য জেলার চেয়ে বেশি সীমান্তঘেষা অ ল গুলোতে। নতুন বছরের শুরুতে শীতের তীব্রতা কম থাকলেও, জানুয়ারির শুরু থেকে ঢেকে রেখেছে সূর্যের মুখ, দেখা দিয়েছে শীতের তীব্র দাপট।
তবে সরকার থেকে যেসব ত্রাণের গরম কাপড় ও কম্বল দিয়ে থাকেন তা চাহিদার তুলনায় অসহায় মানুষের জন্য কম।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যা থেকে প্রায়ই সারাদিন ঢেকে থাকে কুয়াশাছন্ন চারপাশ। ফলে রাত-দিন প্রায় সমান অন্ধকারে রয়েছে দুই উপজেলার মানুষ। রাত হলেই শীতের কম্বল, লেপ ও কাঁথা মুড়ি দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন এই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। মনে হয় সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘলা আকাশ, মৃদু শীতের উপস্থিতি দেখা দিলে ক্ষণিকেই দুই উপজেলার মানুষদের মুহুর্তেই বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দিতে দেখা যায়।
অন্যদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও দিনদিন বেড়েই চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,জানুয়ারির শুরু থেকে রাতদিন কুয়াশা ঢাকা থাকছে চারপাশ ফলে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো টুপটাপ করে কুয়াশা পড়তে থাকে।এদিকে হাটবাজারগুলোতে দেখা যায়, গরম কাপড় ও মালফাট মুড়ি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে তাড়াহুড়ো করে বাড়ির ফিরে যাচ্ছেন।
জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা নামা করছেন।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন তীব্র শীতে কাপছে রৌমারী সীমান্ত এলাকার মানুষ চাহিদা অনুযায় অসহায় মানুষকে শীতের গরম কাপড় দিতে পারিনি তবে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। একইভাবে রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন এপযর্ন্ত ৩৪০ টি কম্বল পেয়েছি এদিয়ে কিছুই হয়নি আমি জেলা প্রশাসকের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি আমাদের জনগনের জন্য বেশি করে কম্বল দেওয়া হোক।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন এবছর প্রজাপ্ত পরিমান কম্বল এসেছিল সেগুলো ইউপি চেয়ারম্যানদের দেওয়া হয়েছে। তবে শীত যদি আরও বেড়ে যায় তাহলে আমরা আরও কম্বল এর চাহিদা দেবো।

আরও পড়ুন>>সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

কুড়িগ্রাম জেলাধীন উপজেলা রৌমারী-রাজিবপুর সীমান্তবর্তী দু’টি উপজেলায়

রৌমারী-রাজিবপুরে চারদিনও সূর্যের দেখা নাই শীতের তীব্রতায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশিত সময় :- ০৬:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

কুড়িগ্রাম জেলাধীন উপজেলা রৌমারী-রাজিবপুর সীমান্তবর্তী দু’টি উপজেলায় প্রতিদিনই বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা । গত কয়েকদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো। অপরদিকে শীতের তীব্র দাপটে কাঁপছে দুই উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। এরমধ্যে কষ্টে পড়েছে নব পোয়াতি মা ও শিশুরা শীতের সময় শিশুরা প্রসাব পায়খা বেশি করায় বেশি বিপাকে মায়েরা শিশু বাচ্ছাদের পাপড় শুকাতেই পারচেন না।
প্রতি বছরই শীতের দাপট তুলনামূলকভাবে অন্যান্য জেলার চেয়ে বেশি সীমান্তঘেষা অ ল গুলোতে। নতুন বছরের শুরুতে শীতের তীব্রতা কম থাকলেও, জানুয়ারির শুরু থেকে ঢেকে রেখেছে সূর্যের মুখ, দেখা দিয়েছে শীতের তীব্র দাপট।
তবে সরকার থেকে যেসব ত্রাণের গরম কাপড় ও কম্বল দিয়ে থাকেন তা চাহিদার তুলনায় অসহায় মানুষের জন্য কম।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যা থেকে প্রায়ই সারাদিন ঢেকে থাকে কুয়াশাছন্ন চারপাশ। ফলে রাত-দিন প্রায় সমান অন্ধকারে রয়েছে দুই উপজেলার মানুষ। রাত হলেই শীতের কম্বল, লেপ ও কাঁথা মুড়ি দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন এই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। মনে হয় সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘলা আকাশ, মৃদু শীতের উপস্থিতি দেখা দিলে ক্ষণিকেই দুই উপজেলার মানুষদের মুহুর্তেই বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দিতে দেখা যায়।
অন্যদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও দিনদিন বেড়েই চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,জানুয়ারির শুরু থেকে রাতদিন কুয়াশা ঢাকা থাকছে চারপাশ ফলে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো টুপটাপ করে কুয়াশা পড়তে থাকে।এদিকে হাটবাজারগুলোতে দেখা যায়, গরম কাপড় ও মালফাট মুড়ি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে তাড়াহুড়ো করে বাড়ির ফিরে যাচ্ছেন।
জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা নামা করছেন।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন তীব্র শীতে কাপছে রৌমারী সীমান্ত এলাকার মানুষ চাহিদা অনুযায় অসহায় মানুষকে শীতের গরম কাপড় দিতে পারিনি তবে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। একইভাবে রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন এপযর্ন্ত ৩৪০ টি কম্বল পেয়েছি এদিয়ে কিছুই হয়নি আমি জেলা প্রশাসকের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি আমাদের জনগনের জন্য বেশি করে কম্বল দেওয়া হোক।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন এবছর প্রজাপ্ত পরিমান কম্বল এসেছিল সেগুলো ইউপি চেয়ারম্যানদের দেওয়া হয়েছে। তবে শীত যদি আরও বেড়ে যায় তাহলে আমরা আরও কম্বল এর চাহিদা দেবো।

আরও পড়ুন>>সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন