বিয়ের প্রলোভনের দীর্ঘ দের বছর অতিবাহিত হলেও বিয়ের পিরিতে নেই প্রেমিক রাজু মিয়া, অভিযোগ প্রেমিকার। প্রেমিকের বাড়িতে- প্রেমিকা উঠার খবরে বাড়ী থেকে উধাও প্রেমিক রাজু মিয়া। উধাও প্রেমিকের শন্য বাড়ির বারান্দায় তিন ধরে বসে আছে প্রেমিকা প্রেমিকের আশায়। এমন ঝাবসা ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বন্দবেড় গ্রাম নামকস্থানে।
সরেজমিনে গিয়ে সরাসরী কথা হয় প্রেমিকের বাড়িতে তিনদিন ধরে প্রেকিার অনশন স্বপ্না খাতুনের সাথে। স্বপ্না খাতুন অভিযোগ করে বলেন দীর্ঘ দেরবছর যাবৎ রাজু মিয়ার সাথে আমার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। ইতিপূর্বে অবৈধভাবে মেলামেশায় আমি ৩ মাসের অন্তঃসত্তা হওয়ার পর রাজু মিয়া আমাকে বলে পেটের বাচ্চা নষ্ট না করলে আমি তোমাকে বিয়ে করবো না। এভাবে বোলার পর আমি তার কথায় বাচ্চাটি নষ্ট করতে রাজি হই এবং আমাকে সাথে নিয়ে যায় রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ওখানে যাওয়ার পর হাসপাতালের নার্স হুসনে আরা আমার গর্ভে থাকা বাচ্চাটি নষ্ট করে দেয়। বাচ্চাটি নষ্টের পর আমাকে আর বিয়ে করতে চায়না এদিকে প্রতিবেশিরা আমার অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝর তুলেছে। কোন কুলকেনার না পেয়ে অবশেষে শনিবার বিকালের দিকে রাজু মিয়ার বাড়িতে উঠে পরি। বাড়িতে আশার পর রাজু মিয়া আমাকে দেখে বাড়ি থেকে উধাও হয়েছে আমি তিনদিন যাবৎ রাজু মিয়ার বারান্দায় না খেয়ে জীবনযাপন করছি আমার কিছু হলে সর্ম্পূণ দায়ভার রাজু মিয়ার বলে স্বপ্না জানিয়েছে। রাজু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে রাজু মিয়াকে পাওয়া যায়নি বাড়ি থেকে উধাও বলে এলাকাবাসিরা জানায়। এলাকা সুত্রে জানা গেছে রাজু মিয়া (৪০) নামে বন্দবেড় গ্রামের আব্দস ছালামের পুত্র। একই গ্রামের ছৈয়দ আলীর কন্যা স্বপ্না খাতুর ২২। গ্রামবাসিরা বলছে এর একা সুষ্ট সুমাধান। এবিষয় ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল বলেন আমি বিষয়টি মিমাংসার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে জাচ্ছি কিন্ত ওই ছেলেটা বাড়ী থেকে পালিয়েছে যার ফলে মিমাংসা করতে পারছিনা। বাড়িতে আসলেই এর একটা সমাধান হবে। রাজু মিয়া বাড়িতে না থাকায় ওই পরিবারের কারর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয় রৌমারী থানা ইনর্চাজ রুপ কুমার সরকার বলেন বিষয়টি জানি কিন্ত আমি ওই মেয়েকে থানা আসতে বলছি মেয়ে আসলে মেয়ের কাছে শুনেই আমি ব্যবস্থা নেবো। এমনটি জানিয়েছেন রৌমারী থানার ওসি।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন