ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রুমে রুমে কর্মকর্তাদের চা-শিঙাড়া খাওয়া বন্ধের নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৮:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
  • ৩৪৭ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

কর্মকর্তারা একজন আরেকজনের রুমে বসে শুধু চা খায় উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের রুমে রুমে চা-শিঙাড়া খাওয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২২। মেলার উদ্বোধনকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ-পুষ্টি দুই-ই আসে’। মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত। ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি অফিসে গেলে ডিজিকে ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় না। পিডি (প্রকল্প পরিচালক) ছাড়া প্রকল্পে কী হচ্ছে ডিপিডি (সহকারী প্রকল্প পরিচালক) জানে না। তরুণদের-তো আরো বেশি কাজ করার কথা। তাদের আরো বেশি কাজে লাগাতে হবে। কে কী কাজ করে? একজন আরেকজনের রুমে বসে শুধু চা খায়। আমি বহু দিন বলেছি। আবারো বলছি, বারি (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট), ব্রি (বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট), বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন)-তে রুমে রুমে বসে চা খাওয়া বন্ধ করে দিন। উদ্বোধন শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ফলের চাহিদা ২০০ গ্রামের বিপরীতে মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ গ্রাম খেতে পারছে, এটিকে ২০০ গ্রামে উন্নীত করতে হবে। ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যেকের জন্য ২০০ গ্রাম ফল নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। সেজন্য, পুষ্টিজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। চালের উৎপাদনে আমরা যেমন বিপ্লব ঘটিয়েছি তেমনি ফলের উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটাতে চাই। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থাকছে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল ক্রয় করতে পারছেন। সরকারি ও বেসরকারি মিলে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। দেশী ফল বিলুপ্ত হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশি ফলের জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের জাত উদ্ভাবন হচ্ছে কিন্তু সম্প্রসারণ ঠিকভাবে হচ্ছে না। কৃষি সম্প্রসারণ ডিজিকে (মহাপরিচালক) উদ্দেশ করে বলেন, নিজ কক্ষে বসে শুধু চা-শিঙাড়া খাওয়া আর খোশগল্পের ট্র্যাডিশন বন্ধ করতে হবে। আপনাদের (ডিজি) বলছি, আমি এমন নির্দেশ দেখতে চাই। পাশাপাশি দেশে ফলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি কর্মকর্তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করারও নির্দেশনা দেন তিনি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, খামারবাড়িতে (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর) কেউ কোনো কর্মকর্তাকে চা-শিঙাড়া খাওয়াতে পারবেন না। একদম চিঠি দিয়ে তা বন্ধ করুন। আমি এই অর্ডার দিচ্ছি। আমাদের আরো বেশি করে কাজ করতে হবে। করোনার কারণে আমরা দু’বছর কাজ করতে পারিনি, আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো: বখতিয়ার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিএসও বাবুল চন্দ্র সরকার। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে দেশী-বিদেশী ৭৮ রকমের ফল চাষ হচ্ছে। তবে উৎপাদিত ফলের শতকরা ৬০ ভাগই হচ্ছে আম, কলা ও কাঁঠাল। উল্লেখ্য, এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী খামারবাড়ি সড়কে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভবন ‘মৃত্তিকা ভবন’ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
নিউজ বিজয়/ মোঃ নজরুল ইসলাম

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার

রুমে রুমে কর্মকর্তাদের চা-শিঙাড়া খাওয়া বন্ধের নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

প্রকাশিত সময় :- ০৮:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

কর্মকর্তারা একজন আরেকজনের রুমে বসে শুধু চা খায় উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের রুমে রুমে চা-শিঙাড়া খাওয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২২। মেলার উদ্বোধনকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ-পুষ্টি দুই-ই আসে’। মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত। ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি অফিসে গেলে ডিজিকে ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় না। পিডি (প্রকল্প পরিচালক) ছাড়া প্রকল্পে কী হচ্ছে ডিপিডি (সহকারী প্রকল্প পরিচালক) জানে না। তরুণদের-তো আরো বেশি কাজ করার কথা। তাদের আরো বেশি কাজে লাগাতে হবে। কে কী কাজ করে? একজন আরেকজনের রুমে বসে শুধু চা খায়। আমি বহু দিন বলেছি। আবারো বলছি, বারি (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট), ব্রি (বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট), বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন)-তে রুমে রুমে বসে চা খাওয়া বন্ধ করে দিন। উদ্বোধন শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ফলের চাহিদা ২০০ গ্রামের বিপরীতে মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ গ্রাম খেতে পারছে, এটিকে ২০০ গ্রামে উন্নীত করতে হবে। ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যেকের জন্য ২০০ গ্রাম ফল নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। সেজন্য, পুষ্টিজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। চালের উৎপাদনে আমরা যেমন বিপ্লব ঘটিয়েছি তেমনি ফলের উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটাতে চাই। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থাকছে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল ক্রয় করতে পারছেন। সরকারি ও বেসরকারি মিলে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। দেশী ফল বিলুপ্ত হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশি ফলের জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের জাত উদ্ভাবন হচ্ছে কিন্তু সম্প্রসারণ ঠিকভাবে হচ্ছে না। কৃষি সম্প্রসারণ ডিজিকে (মহাপরিচালক) উদ্দেশ করে বলেন, নিজ কক্ষে বসে শুধু চা-শিঙাড়া খাওয়া আর খোশগল্পের ট্র্যাডিশন বন্ধ করতে হবে। আপনাদের (ডিজি) বলছি, আমি এমন নির্দেশ দেখতে চাই। পাশাপাশি দেশে ফলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি কর্মকর্তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করারও নির্দেশনা দেন তিনি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, খামারবাড়িতে (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর) কেউ কোনো কর্মকর্তাকে চা-শিঙাড়া খাওয়াতে পারবেন না। একদম চিঠি দিয়ে তা বন্ধ করুন। আমি এই অর্ডার দিচ্ছি। আমাদের আরো বেশি করে কাজ করতে হবে। করোনার কারণে আমরা দু’বছর কাজ করতে পারিনি, আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো: বখতিয়ার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিএসও বাবুল চন্দ্র সরকার। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে দেশী-বিদেশী ৭৮ রকমের ফল চাষ হচ্ছে। তবে উৎপাদিত ফলের শতকরা ৬০ ভাগই হচ্ছে আম, কলা ও কাঁঠাল। উল্লেখ্য, এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী খামারবাড়ি সড়কে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভবন ‘মৃত্তিকা ভবন’ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
নিউজ বিজয়/ মোঃ নজরুল ইসলাম