ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানের অর্ধেকেও বেঁধে দেওয়া পণ্যের দামের ‘দেখা’ নেই

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১১:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • ২১৭ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও গত দুই সপ্তাহে বাজারে তার প্রতিফলন নেই। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পণ্যই বিক্রি হচ্ছে বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে বেশি দামে। খুচরা বাজারে সবজি পণ্যের দাম কমলেও তা সরকারের ঘোষণা করা যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে এখনো বেশি।

ভোক্তারা বলছেন, সরকার পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার পর বাজারগুলোতে জোরালো অভিযান হয়নি।

গতসপ্তাহ থেকে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও, অন্য পণ্যগুলো আকাশচুম্বী। রোজার অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও মাছ ও মাংসের দাম এখনোও চড়া।

এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দা, আলু ও তেলের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে। এতে প্রতিনিয়তই বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিম্ন এবং মধ্যবিত্তদের।

এদিকে, পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিলেও তার খুব বেশি সুফল বাজারে মিলছে না। রোজার মধ্যে ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। এসব পণ্যের অধিকাংশই এখনো বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুচরায় ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ২৬২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল।

এদিকে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, প্রতি কেজি গরুর মাংস খুচরায় ৬৬৪ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৮০ টাকায়।

অন্যদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গতকাল প্রতি কেজি চাষের রুই মাছ বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। আকারভেদে চাষের পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছের দাম ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। চাষের কই মাছের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

বাজারে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া যেসব মাছ বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোর দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। আইড়, দেশি শোল ও মাগুরের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। ৫০০ গ্রাম ওজনের বেশি ইলিশের দাম এক হাজার টাকা কেজি।

তবে, বিক্রেতারা বলছে মাছের বাজার প্রতিদিনই ওঠানামা করছে। এক দিন দাম কিছুটা কমলেও আরেক দিন বাড়ছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রুই মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ইলিশের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে গরু, খাসি ও ব্রয়লার মুরগির দামও।

এ বিষয়ে ভোক্তা সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘দাম বেঁধে দেওয়ার সরকারি উদ্যোগটি ভালো ছিল। কিন্তু সেটির বাস্তবায়ন কতটুকু সম্ভব হবে, তা নিয়ে শুরু থেকেই আমাদের সংশয় ছিল। কারণ, বেঁধে দেয়া দাম কার্যকর না হলে ক্রেতার কোনো লাভ নেই।’

আরও পড়ুন>>টিভিতে আজকের খেলা: ২৯ মার্চ-২০২৪

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

রমজানের অর্ধেকেও বেঁধে দেওয়া পণ্যের দামের ‘দেখা’ নেই

প্রকাশিত সময় :- ১১:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও গত দুই সপ্তাহে বাজারে তার প্রতিফলন নেই। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পণ্যই বিক্রি হচ্ছে বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে বেশি দামে। খুচরা বাজারে সবজি পণ্যের দাম কমলেও তা সরকারের ঘোষণা করা যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে এখনো বেশি।

ভোক্তারা বলছেন, সরকার পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার পর বাজারগুলোতে জোরালো অভিযান হয়নি।

গতসপ্তাহ থেকে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও, অন্য পণ্যগুলো আকাশচুম্বী। রোজার অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও মাছ ও মাংসের দাম এখনোও চড়া।

এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দা, আলু ও তেলের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে। এতে প্রতিনিয়তই বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিম্ন এবং মধ্যবিত্তদের।

এদিকে, পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিলেও তার খুব বেশি সুফল বাজারে মিলছে না। রোজার মধ্যে ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। এসব পণ্যের অধিকাংশই এখনো বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুচরায় ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ২৬২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল।

এদিকে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, প্রতি কেজি গরুর মাংস খুচরায় ৬৬৪ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৮০ টাকায়।

অন্যদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গতকাল প্রতি কেজি চাষের রুই মাছ বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। আকারভেদে চাষের পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছের দাম ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। চাষের কই মাছের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

বাজারে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া যেসব মাছ বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোর দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। আইড়, দেশি শোল ও মাগুরের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। ৫০০ গ্রাম ওজনের বেশি ইলিশের দাম এক হাজার টাকা কেজি।

তবে, বিক্রেতারা বলছে মাছের বাজার প্রতিদিনই ওঠানামা করছে। এক দিন দাম কিছুটা কমলেও আরেক দিন বাড়ছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রুই মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ইলিশের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে গরু, খাসি ও ব্রয়লার মুরগির দামও।

এ বিষয়ে ভোক্তা সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘দাম বেঁধে দেওয়ার সরকারি উদ্যোগটি ভালো ছিল। কিন্তু সেটির বাস্তবায়ন কতটুকু সম্ভব হবে, তা নিয়ে শুরু থেকেই আমাদের সংশয় ছিল। কারণ, বেঁধে দেয়া দাম কার্যকর না হলে ক্রেতার কোনো লাভ নেই।’

আরও পড়ুন>>টিভিতে আজকের খেলা: ২৯ মার্চ-২০২৪

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন