উত্তরের বিভাগীয় নগরী রংপুরসহ এ অঞ্চলে দুই দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ফলে দিনের ঝলমলে রোদে কিছুটা গরম উপলব্ধি করছেন এখানকার মানুষজন। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় আলু ও বোরো চাষিসহ মানুষজনের মাঝে স্বস্তি এসেছে। তবে দিন শেষে সন্ধ্যার পরই থাকছে শীত।
এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, আপাতত শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা নেই। তবে শীত বাড়া-কমার মধ্যে থাকবে।
নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২২ জানুয়ারি রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৩ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এসে ঠেকেছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দুই দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের মতে, চলতি বছর জানুয়ারিতে শীতের তীব্রতা অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা বেশি ছিল। তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছিল। ফলে ফসল ও জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। কৃষকরা আলু ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। গত দুই দিনে আবহাওয়ায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষজনের মাঝে স্বস্তি এনে দিয়েছে। এতে অনেকেই দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি খুশি বৃদ্ধ ও শিশুরা।
নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়ে কথা হয় মাহমুদুল হাসান ও রিজু ইসলামের সঙ্গে। তাদের বাড়ি নগরীর বাহার কাছনা ও মুলটোল এলাকায়। তারা জানান, গত কয়েক দিনের শীতের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা ভোগান্তিতে ছিলেন। জ্বর-সর্দি-কাশসহ বিভিন্ন রোগ লেগে ছিল। রোদ উঠায় কিছুটা স্বস্তি লাগছে।
কয়েকজন পথচারী জানান, প্রকৃতি থেকে এবারের মতো শীত বিদায় নিচ্ছে। শীতের বিদায় ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে।
রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে থাকবে। শীতের মাত্রা কিছুটা ওঠানামা করতে পারে।