ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে অনুমোদন পেল ‘তিস্তা ইউনিভার্সিটি’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৯:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • ৯৯৫ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

রংপুরে অনুমোদন পেল নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘তিস্তা ইউনিভার্সিটি, রংপুর’ নামের নতুন এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সাময়িক অনুমতি দিয়েছে। সে হিসেবে এখন দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ১১০টি।
অনুমোদন বিষয়টি নিশ্চিত করে তিস্তা ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম আল-আমিনকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা, সাময়িক অনুমতির ক্ষেত্রে ২২টি শর্তমূলক নির্দেশনা অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি এসব শর্ত উল্লেখ করে তিনশ টাকার স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা সরকার বরাবর দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে শর্তসমূহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সকল অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীকে জানাতে বলা হয়েছে।
শর্তের বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতির মেয়াদ হবে অনুমতি প্রদানের তারিখ হতে পরবর্তী সাত বছর। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এ বর্ণিত সকল বিধান ও শর্ত মেনে চলবে। সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ অনুযায়ী বোর্ড অব ট্রাস্টিজ রেজিস্ট্রেশন সম্পাদনপূর্বক তা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে। পাঠদানের নিমিত্ত প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পৃথক কমনরুম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামো থাকতে হবে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যুন পঁচিশ হাজার বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট নিজস্ব বা ভাড়াকৃত ভবন থাকতে হবে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম তিনটি অনুষদ এবং উক্ত অনুষদের অধীন অন্যূন ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক পূর্বে অনুমোদিত হতে হবে।
নির্দেশনার মধ্যে আরো রয়েছে, প্রত্যেক বিভাগ, প্রোগ্রাম ও কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক পূর্ণকালীন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে; নিয়োজিত শিক্ষক অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে তাদের মূল নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ছাড়পত্র মঞ্জুরী কমিশনে জমা দিতে হবে; একটি নিবিড় পাঠক্রম এবং প্রতিটি বিষয় ও কোর্স প্রণয়নসহ প্রত্যেক বিষয়ে মোট আসন সংখ্যা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে অন্যূন তিন কোটি টাকা যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত তা বা এর লভ্যাংশ উত্তোলন করা যাবে না। সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্বানুমোদন ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না; নির্দিষ্ট শহর বা স্থানে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস সীমিত রাখতে হবে এবং অন্য কোনো স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা বা কোনো ক্যাম্পাস বা শাখা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না।
সাময়িক অনুমতি পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পুনরায় সরকার ও কমিশন থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এ বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্বানুমোদন ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না; নির্দিষ্ট শহর বা স্থানে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস সীমিত রাখতে হবে এবং অন্য কোনো স্থানে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা বা কোন ক্যাম্পাস বা শাখা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনো মেডিকেল-ডেন্টাল ফ্যাকাল্টি অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো কোর্স যেমন-ফিজিওথেরাপি, প্যারা মেডিকেল, মেডিকেল টেকনোলেজি ইত্যাদি পরিচালনা করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিদেশি নাগরিককে শিক্ষক-বিশেষজ্ঞ হিসেবে কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করতে হলে এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি বিধান যথাযথভাবে পালন করতে হবে; সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর পূর্বানুমোদন ব্যতীত বিদেশী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তি করা যাবে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মো‍.নজরুল ইসলাম/নিউজ বিজয়

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

রংপুরে অনুমোদন পেল ‘তিস্তা ইউনিভার্সিটি’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত সময় :- ০৯:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

রংপুরে অনুমোদন পেল নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘তিস্তা ইউনিভার্সিটি, রংপুর’ নামের নতুন এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সাময়িক অনুমতি দিয়েছে। সে হিসেবে এখন দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ১১০টি।
অনুমোদন বিষয়টি নিশ্চিত করে তিস্তা ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম আল-আমিনকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা, সাময়িক অনুমতির ক্ষেত্রে ২২টি শর্তমূলক নির্দেশনা অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি এসব শর্ত উল্লেখ করে তিনশ টাকার স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা সরকার বরাবর দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে শর্তসমূহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সকল অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীকে জানাতে বলা হয়েছে।
শর্তের বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতির মেয়াদ হবে অনুমতি প্রদানের তারিখ হতে পরবর্তী সাত বছর। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এ বর্ণিত সকল বিধান ও শর্ত মেনে চলবে। সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ অনুযায়ী বোর্ড অব ট্রাস্টিজ রেজিস্ট্রেশন সম্পাদনপূর্বক তা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে। পাঠদানের নিমিত্ত প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পৃথক কমনরুম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামো থাকতে হবে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যুন পঁচিশ হাজার বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট নিজস্ব বা ভাড়াকৃত ভবন থাকতে হবে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম তিনটি অনুষদ এবং উক্ত অনুষদের অধীন অন্যূন ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক পূর্বে অনুমোদিত হতে হবে।
নির্দেশনার মধ্যে আরো রয়েছে, প্রত্যেক বিভাগ, প্রোগ্রাম ও কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক পূর্ণকালীন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে; নিয়োজিত শিক্ষক অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে তাদের মূল নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ছাড়পত্র মঞ্জুরী কমিশনে জমা দিতে হবে; একটি নিবিড় পাঠক্রম এবং প্রতিটি বিষয় ও কোর্স প্রণয়নসহ প্রত্যেক বিষয়ে মোট আসন সংখ্যা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে অন্যূন তিন কোটি টাকা যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত তা বা এর লভ্যাংশ উত্তোলন করা যাবে না। সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্বানুমোদন ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না; নির্দিষ্ট শহর বা স্থানে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস সীমিত রাখতে হবে এবং অন্য কোনো স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা বা কোনো ক্যাম্পাস বা শাখা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না।
সাময়িক অনুমতি পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পুনরায় সরকার ও কমিশন থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এ বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্বানুমোদন ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না; নির্দিষ্ট শহর বা স্থানে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস সীমিত রাখতে হবে এবং অন্য কোনো স্থানে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা বা কোন ক্যাম্পাস বা শাখা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনো মেডিকেল-ডেন্টাল ফ্যাকাল্টি অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো কোর্স যেমন-ফিজিওথেরাপি, প্যারা মেডিকেল, মেডিকেল টেকনোলেজি ইত্যাদি পরিচালনা করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিদেশি নাগরিককে শিক্ষক-বিশেষজ্ঞ হিসেবে কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করতে হলে এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি বিধান যথাযথভাবে পালন করতে হবে; সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর পূর্বানুমোদন ব্যতীত বিদেশী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তি করা যাবে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মো‍.নজরুল ইসলাম/নিউজ বিজয়