ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে জাকাতের হিসাব করতে হয়

  • ইসলাম ডেস্ক:-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৯:৪২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • ২৩৫ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

জাকাত ইসলামের ফরজ বিধান, ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক ও সম্পদশালী মুসলমান পুরুষ ও নারীর প্রতি বছর নিজের সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র-দুস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে জাকাত বলা হয়। শরিয়ত নির্ধারিত সীমার বেশি সম্পদ হিজরি এক বছর ধরে কারও কাছে থাকলে তাকে সম্পদশালী গণ্য করা হয় এবং তার বর্ধনশীল সম্পদের ২.৫ শতাংশ বা ১/৪০ অংশ দান করতে হয়। কোরআনে জাকাত শব্দের উল্লেখ এসেছে ৩২ বার, নামাজের পর জাকাতের কথাই সবচেয়ে বেশি বলা হয়েছে।

জাকাত ওয়াজিব হয় বর্ধনশীল সম্পদের ওপর যা ৪ ধরনের হয়

১. সোনা

২ রুপা

৩. ব্যবসায়িক পণ্য

৪. নগদ অর্থ

কেউ যদি এক বছর ধরে নেসাব পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পত্তি অর্থাৎ ৭ তোলা বা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি সোনা অথবা সাড়ে ৫২ তোলা বা ৬১২.৩৫ গ্রাম রুপার মালিক থাকে অথবা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি সোনার মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ তার কাছে থাকে, তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে সে সম্পদশালী ব্যক্তি গণ্য হবে এবং তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে। নগদ অর্থ, সোনা/ রুপা বা ব্যবসার সম্পদ যেদিন নেসাব পর্যায়ে পৌঁছাবে, সেদিন থেকেই জাকাতের বর্ষগণনা শুরু হবে। জাকাতের বর্ষ পূর্ণ হওয়ার দিনে ওই ব্যক্তির মালিকানায় যে পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পদ অর্থাৎ নগদ অর্থ, ব্যবসায়ের সম্পদ, সোনা বা রুপা থাকবে, তার ৪০ ভাগের ১ ভাগ বা ২.৫ শতাংশ জাকাত হিসেবে দান করে দিতে হবে।

কেউ এক বছর ধরে নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক থাকলে নিজের মালিকানাধীন সমুদয় বর্ধনশীল সম্পদের জাকাত দিতে হবে; শুধু যে সম্পদ এক বছর ধরে তার কাছে রয়েছে ওই সম্পদের নয়। সে বছরের শেষে বা মাঝামাঝি সময়ে কিছু অর্থ বা সোনা লাভ করে থাকলে তাও জাকাতের হিসেবে যুক্ত হবে।
ঘরের আসবাবপত্রের ওপর জাকাত ওয়াজিব হয় না। স্থাবর সম্পত্তি যেমন জমি, বাড়ি ইত্যাদির ওপরও জাকাত ওয়াজিব হয় না যদি সেগুলো ব্যবসার পণ্য না হয়। একইভাবে যে গাড়ি বা বাড়িভাড়া দেওয়া হয়, ওই গাড়ি বা বাড়িরও জাকাত দিতে হয় না। যেহেতু সেগুলো অর্থ আয়ের মাধ্যম হলেও ব্যবসার পণ্য নয়।

আরও পড়ুন>>নামাজের সময়সূচি: ১৭ মার্চ ২০২৪

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন

যেভাবে জাকাতের হিসাব করতে হয়

প্রকাশিত সময় :- ০৯:৪২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

জাকাত ইসলামের ফরজ বিধান, ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক ও সম্পদশালী মুসলমান পুরুষ ও নারীর প্রতি বছর নিজের সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র-দুস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে জাকাত বলা হয়। শরিয়ত নির্ধারিত সীমার বেশি সম্পদ হিজরি এক বছর ধরে কারও কাছে থাকলে তাকে সম্পদশালী গণ্য করা হয় এবং তার বর্ধনশীল সম্পদের ২.৫ শতাংশ বা ১/৪০ অংশ দান করতে হয়। কোরআনে জাকাত শব্দের উল্লেখ এসেছে ৩২ বার, নামাজের পর জাকাতের কথাই সবচেয়ে বেশি বলা হয়েছে।

জাকাত ওয়াজিব হয় বর্ধনশীল সম্পদের ওপর যা ৪ ধরনের হয়

১. সোনা

২ রুপা

৩. ব্যবসায়িক পণ্য

৪. নগদ অর্থ

কেউ যদি এক বছর ধরে নেসাব পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পত্তি অর্থাৎ ৭ তোলা বা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি সোনা অথবা সাড়ে ৫২ তোলা বা ৬১২.৩৫ গ্রাম রুপার মালিক থাকে অথবা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি সোনার মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ তার কাছে থাকে, তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে সে সম্পদশালী ব্যক্তি গণ্য হবে এবং তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে। নগদ অর্থ, সোনা/ রুপা বা ব্যবসার সম্পদ যেদিন নেসাব পর্যায়ে পৌঁছাবে, সেদিন থেকেই জাকাতের বর্ষগণনা শুরু হবে। জাকাতের বর্ষ পূর্ণ হওয়ার দিনে ওই ব্যক্তির মালিকানায় যে পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পদ অর্থাৎ নগদ অর্থ, ব্যবসায়ের সম্পদ, সোনা বা রুপা থাকবে, তার ৪০ ভাগের ১ ভাগ বা ২.৫ শতাংশ জাকাত হিসেবে দান করে দিতে হবে।

কেউ এক বছর ধরে নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক থাকলে নিজের মালিকানাধীন সমুদয় বর্ধনশীল সম্পদের জাকাত দিতে হবে; শুধু যে সম্পদ এক বছর ধরে তার কাছে রয়েছে ওই সম্পদের নয়। সে বছরের শেষে বা মাঝামাঝি সময়ে কিছু অর্থ বা সোনা লাভ করে থাকলে তাও জাকাতের হিসেবে যুক্ত হবে।
ঘরের আসবাবপত্রের ওপর জাকাত ওয়াজিব হয় না। স্থাবর সম্পত্তি যেমন জমি, বাড়ি ইত্যাদির ওপরও জাকাত ওয়াজিব হয় না যদি সেগুলো ব্যবসার পণ্য না হয়। একইভাবে যে গাড়ি বা বাড়িভাড়া দেওয়া হয়, ওই গাড়ি বা বাড়িরও জাকাত দিতে হয় না। যেহেতু সেগুলো অর্থ আয়ের মাধ্যম হলেও ব্যবসার পণ্য নয়।

আরও পড়ুন>>নামাজের সময়সূচি: ১৭ মার্চ ২০২৪

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন