ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে কী করতে হবে, বললেন ‘চোরদের গুরু’

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৮:০১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২৭৫ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে কী করতে হবে, বললেন ‘চোরদের গুরু’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তালিকায় ‘শীর্ষ’ মোটরসাইকেল চোর তিনি। ১৩ বছরে প্রায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছেন। ধরা পড়েছেন অন্তত ৪৫ বার। তাঁর বিরুদ্ধে ৫৩টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। চুরি ঠেকাতে চালকের কী ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া উচিত, এ বিষয়ে ডজনখানেক ‘চোরের গুরু’ আবুল কালাম আজাদ তিন ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন। এর একটি ব্যবস্থা নিলেই মোটরসাইকেল চুরি রোধ সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
আবুল কালাম আজাদের প্রথম পরামর্শ হচ্ছে, মোটরসাইকেলে অ্যালার্ম লাগানো যেতে পারে। এতে করে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। কোনো মোটরসাইকেলে অ্যালার্ম বাজলে ধরা পড়ার ভয়ে চোর সেটি চুরি করতে আগ্রহী হয় না। দ্বিতীয়ত, জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো যেতে পারে। এর মাধ্যমে খুব সহজে মোটরসাইকেলের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। আর তৃতীয়ত, উন্নত মানের ‘ডিস্ক লক’ ব্যবহার করা হলে সেটি ভাঙতে অনেক সময় লাগে। এ ধরনের তালা লাগানো থাকলে চোর ঝুঁকি নিতে চায় না।
আবুল কালাম আজাদ সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এর আগে গত ৫ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ডিবি কর্মকর্তারা জানান, আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, অনেকে মোটরসাইকেলের ‘হ্যান্ডল লক’ করে মোটরসাইকেল রেখে চলে যান। এটি মোটেও নিরাপদ নয়। কারণ, এই লক ভেঙে মোটরসাইকেল চুরি করতে ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড সময় লাগে। আবার অনেকেই ‘ঢালাই তালা’ ব্যবহার করেন। এই তালা ভেঙে মোটরসাইকেল চুরি করতে দেড় মিনিটের মতো লাগে।
ডিবির ওয়ারী অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ৫ অক্টোবর জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ওয়ারী অঞ্চলে অন্তত ৮টি মোটরসাইকেল চুরি করেছেন আবুল কালাম আজাদ। ওই ঘটনাগুলোর তদন্ত করতে গিয়ে আবুল কালামকে তিন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
আবুল কালাম আজাদ নিজেকে ‘শীর্ষ চোর’ দাবি করে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, মোটরসাইকেল চুরিতে তাঁর মতো পারদর্শী আর কেউ নেই। তাঁর কাছ থেকে মোটরসাইকেল চুরি শিখে এখন অনেক শিষ্য বড় চোর হয়েছেন। তাঁরা এখন আলাদা আলাদা চক্র গড়ে তুলেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর মাদারীপুরের শিবচরের জসীম উদ্দিন। জসীমের স্ত্রীর বড় বোনের স্বামী (ভায়রা) শাহ আলমও তাঁর শিষ্য।
ডিবির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আবদুল আহাদ  বলেন, আবুল কালামের নেতৃত্বে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর চোর চক্র সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।

নিউজ বিজয় ২৪.কম/মোঃ নজরুল ইসলাম

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে কী করতে হবে, বললেন ‘চোরদের গুরু’

প্রকাশিত সময় :- ০৮:০১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তালিকায় ‘শীর্ষ’ মোটরসাইকেল চোর তিনি। ১৩ বছরে প্রায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছেন। ধরা পড়েছেন অন্তত ৪৫ বার। তাঁর বিরুদ্ধে ৫৩টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। চুরি ঠেকাতে চালকের কী ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া উচিত, এ বিষয়ে ডজনখানেক ‘চোরের গুরু’ আবুল কালাম আজাদ তিন ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন। এর একটি ব্যবস্থা নিলেই মোটরসাইকেল চুরি রোধ সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
আবুল কালাম আজাদের প্রথম পরামর্শ হচ্ছে, মোটরসাইকেলে অ্যালার্ম লাগানো যেতে পারে। এতে করে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। কোনো মোটরসাইকেলে অ্যালার্ম বাজলে ধরা পড়ার ভয়ে চোর সেটি চুরি করতে আগ্রহী হয় না। দ্বিতীয়ত, জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো যেতে পারে। এর মাধ্যমে খুব সহজে মোটরসাইকেলের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। আর তৃতীয়ত, উন্নত মানের ‘ডিস্ক লক’ ব্যবহার করা হলে সেটি ভাঙতে অনেক সময় লাগে। এ ধরনের তালা লাগানো থাকলে চোর ঝুঁকি নিতে চায় না।
আবুল কালাম আজাদ সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এর আগে গত ৫ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ডিবি কর্মকর্তারা জানান, আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, অনেকে মোটরসাইকেলের ‘হ্যান্ডল লক’ করে মোটরসাইকেল রেখে চলে যান। এটি মোটেও নিরাপদ নয়। কারণ, এই লক ভেঙে মোটরসাইকেল চুরি করতে ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড সময় লাগে। আবার অনেকেই ‘ঢালাই তালা’ ব্যবহার করেন। এই তালা ভেঙে মোটরসাইকেল চুরি করতে দেড় মিনিটের মতো লাগে।
ডিবির ওয়ারী অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ৫ অক্টোবর জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ওয়ারী অঞ্চলে অন্তত ৮টি মোটরসাইকেল চুরি করেছেন আবুল কালাম আজাদ। ওই ঘটনাগুলোর তদন্ত করতে গিয়ে আবুল কালামকে তিন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
আবুল কালাম আজাদ নিজেকে ‘শীর্ষ চোর’ দাবি করে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, মোটরসাইকেল চুরিতে তাঁর মতো পারদর্শী আর কেউ নেই। তাঁর কাছ থেকে মোটরসাইকেল চুরি শিখে এখন অনেক শিষ্য বড় চোর হয়েছেন। তাঁরা এখন আলাদা আলাদা চক্র গড়ে তুলেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর মাদারীপুরের শিবচরের জসীম উদ্দিন। জসীমের স্ত্রীর বড় বোনের স্বামী (ভায়রা) শাহ আলমও তাঁর শিষ্য।
ডিবির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আবদুল আহাদ  বলেন, আবুল কালামের নেতৃত্বে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর চোর চক্র সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।

নিউজ বিজয় ২৪.কম/মোঃ নজরুল ইসলাম