মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর বাড়িতে একরাতের নিশি কুটুম্ব হাফিজুর রহমানকে যতই মস্তিস্কবিকৃত বলে চালানো হোক, সোমবার আদালতে যে তথ্যপ্রমাণ দাখিল করেছে তাতে তার সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি যোগ প্রমাণ হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। হাফিজুরের কাছ থেকে পুলিশ মোট এগারোটি সিম কার্ড উদ্ধার করে যার মধ্যে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশের। এ ছাড়াও পুলিশ তাকে জেরা করে জানতে পেরেছে যে হাফিজুর কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে ছিল। মুম্বাই এবং গুজরাট এর সঙ্গেও তার নিবিড় যোগাযোগ ছিল। হাফিজুর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে দশ বারো দিন রেকি করার পর। তার মোবাইলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ছবিও পাওয়া যায়। উল্লেখযোগ্য, ধরা পড়ার পর হাফিজুরকে মস্তিস্ক বিকৃত বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছিল। পুলিশ অনুমান করছে, কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর চক্রান্তেই হাফিজুর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকেছিলো। তারা আরও জেরা করে নিঃসংশয় হতে চায়। বাংলাদেশে প্রকাশ্যে টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলেও জঙ্গিরা হাত পা গুটিয়ে বসে নেই। তলে তলে তারা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সুযোগ পেলেই মাথা চাড়া দিবে। এখনকার সরকার তাদের কঠোর হস্তে দমন করছে । কিন্ত তাদের পৃষ্টপোসক সরকার ক্ষমতাসীন হলেই টের পাওয়া যাবে তারা কতটুকূ প্রস্তুতি নিয়েছে। মস্তিষ্ক বিকৃতি একটা ছল চাতুরি হতে পারে। বিজেপি এদের প্রশ্রয় দিয়ে বা ভাড়া করে মমতাকে হত্যার পাঁয়তারা করতে পারে। কারণ মমতার জনপ্রিয়তার কারণে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে হারছে । হাসনাবাদের বাসিন্দা হাফিজুর বাংলাদেশে যায় ইছামতি নদী পেরিয়ে। কাদের মাধ্যমে সে বাংলাদেশে গিয়েছিলো, কাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল এই তদন্ত করতেই সিট্ বাংলাদেশ যেতে চায়। হাফিজুরের কাছে পাওয়া এগারোটি সিম কার্ডের মধ্যে বাংলাদেশের সিম লাগিয়ে সে ওইদেশের কাদের সঙ্গে কথা বলতো সেটার অনুসন্ধানও সিট্ করবে। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাফিজুরের যোগাযোগ ছিল অথবা হাফিজুরকে তারা ব্যবহারের চেষ্টা করেছিল এমনটাই অনুমান সিট এর।

নিউজ বিজয় / মোঃ নজরুল ইসলাম