বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার বাসনা ছিল জান্নাতুল ফেরদৌসী ইতির।সুপ্ত বাসনা নিয়ে তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) পাস করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ে (বুয়েট) এ স্নাতকোত্তর ভর্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ভর্তি পরীক্ষায় গণিত বিভাগে তিনি প্রথম হন। মেধা তালিকায় প্রথম হওয়ার বিষয়টি জান্নাতুল ফেরদৌসী নিজে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (২৪ জুন) বুয়েটের ওয়েব সাইটে ভর্তি পরীক্ষার এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ইতি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলাধীন রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ পুরাতন বাজার (গরুহাটি) এলাকার মো. চাঁন মিয়া ও মোছা. কাজল বেগমের মেয়ে। ইতি উপজেলার শরিফেরহাট এমইউ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি এবং ২০১৫সালে গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে জিপিএ ৪.৫৮ নিয়ে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর ২০১৬-২০১৭ সেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গণিত বিভাগে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি জিপিএ ৩.৯৩ নিয়ে অনার্স পাশ করেন।
ভর্তি পরীক্ষায় এমন সাফল্যে ইতি বলেন,ফলাফল তালিকায় আমার নাম দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে দেখলাম যে নামটা আমার। আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। তিনি জানান, অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার বাসনা ছিল তার। সে বাসনা থেকেই এবার বুয়েটের গণিত বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দেই। আল্লাহর অশেষ রহমতে সুযোগ পেয়েছি।আমি সেখানেই ভর্তি হবো।বর্তমানে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে মাস্টার্স ভর্তি হলেও এখন ভর্তি বাতিল করে বুয়েটে ভর্তি হবো।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও গণিত বিভাগের প্রধান মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ফল প্রকাশের পর ইতি ফোন করে সুসংবাদটি জানিয়েছে। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে সে জিপিএ-৪ পাওয়ার পর আমরা তার প্রতি আরও যতœশীল হয়ে উঠি। ফাইনালেও তার ফলাফল ভালো। তার সাফল্যে আমরা আনন্দিত। আমরা ইতির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।’