ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায়

মশকরা করতে নিষেধ করায় শিক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে দিলেন এক বখাটে

লমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় মশকরা করতে নিষেধ করায় কাজল নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে মিঠু মিয়া নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে কাজলের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশ। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে ঐ উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নে প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত কাজল গুরুতর আহত অবস্থা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

অভিযুক্ত মিঠু মিয়া ঐ এলাকার একরামুল হকের ছেলে। আহত কাজল একই এলাকার জাহেদুল ইসলামের ছেলে। সে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টার দিকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী কাজল মিয়া প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের এক পাশে গিয়ে বসে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা একরামুল হকের ছেলে মিঠু মিয়া (২০) সেখানে উপস্থিত হয়ে কাজলের ঘাড়ে হাত দিয়ে বসে উদ্ভট মশকরা করতে থাকে। কাজল এসব করতে মিঠুকে নিষেধ করলে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে ঝগড়া শুরু হয়। ঘটনা দেখে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে তা মিমাংসা করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরে একরামুলের ছেলে মিঠু বাড়ির ভিতর থেকে ধারালো ছোড়া নিয়ে এসে কাজলের মাথায় ও কানে সজোরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এসময় স্থানীয়রা দৌড়ে এসে কাজলকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করে। কাজলের মাথায় ও ঘাড়ে ১২টি সেলাই করে ডাক্তার।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কাজলের পিতা জাহেদুল ইসলাম বলেন, মশকরা করতে নিষেধ করায় এভাবে কেউ কাউকে জখম করতে পারে এটা ধারণা ছিলনা। আমি প্রসাশনের কাছে এর ন্যায় বিচার চাই।

এবিষয়ে মতামত জানতে অভিযুক্ত মিঠু মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার হলে সে ঘটনা সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, আমি না সেই আমাকে মারধোর করে। তবে তার লাঠির আঘাতে কাজলের মাথা একটু ফেটে যায় বলে সে স্বীকার করে।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি শাহ আলম বলেন, এবিষয়ে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায়

মশকরা করতে নিষেধ করায় শিক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে দিলেন এক বখাটে

প্রকাশিত সময় :- ১২:৫০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

লমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় মশকরা করতে নিষেধ করায় কাজল নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে মিঠু মিয়া নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে কাজলের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশ। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে ঐ উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নে প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত কাজল গুরুতর আহত অবস্থা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

অভিযুক্ত মিঠু মিয়া ঐ এলাকার একরামুল হকের ছেলে। আহত কাজল একই এলাকার জাহেদুল ইসলামের ছেলে। সে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টার দিকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী কাজল মিয়া প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের এক পাশে গিয়ে বসে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা একরামুল হকের ছেলে মিঠু মিয়া (২০) সেখানে উপস্থিত হয়ে কাজলের ঘাড়ে হাত দিয়ে বসে উদ্ভট মশকরা করতে থাকে। কাজল এসব করতে মিঠুকে নিষেধ করলে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে ঝগড়া শুরু হয়। ঘটনা দেখে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে তা মিমাংসা করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরে একরামুলের ছেলে মিঠু বাড়ির ভিতর থেকে ধারালো ছোড়া নিয়ে এসে কাজলের মাথায় ও কানে সজোরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এসময় স্থানীয়রা দৌড়ে এসে কাজলকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করে। কাজলের মাথায় ও ঘাড়ে ১২টি সেলাই করে ডাক্তার।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কাজলের পিতা জাহেদুল ইসলাম বলেন, মশকরা করতে নিষেধ করায় এভাবে কেউ কাউকে জখম করতে পারে এটা ধারণা ছিলনা। আমি প্রসাশনের কাছে এর ন্যায় বিচার চাই।

এবিষয়ে মতামত জানতে অভিযুক্ত মিঠু মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার হলে সে ঘটনা সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, আমি না সেই আমাকে মারধোর করে। তবে তার লাঠির আঘাতে কাজলের মাথা একটু ফেটে যায় বলে সে স্বীকার করে।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি শাহ আলম বলেন, এবিষয়ে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন