গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের দিন জেসমিন আক্তার (২৭) নামে এক তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের বাজারঘাটা এলাকায় সি বার্ড হোটেলে ওঠেন মোস্তাফিজুর রহমান। হোটেলে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ক্ষোভ থেকে ওই নারীকে হত্যা করে পালিয়ে যান মোস্তাফিজুর। এ ঘটনায় র্যাব অভিযান চালিয়ে কথিত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার এ তথ্য জানান র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় আত্মগোপনে থাকা মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক মোস্তাফিজুর রহমান খুলনার বাগেরহাট সদর উপজেলার আতাইকাঠী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক নারীকে নিয়ে কক্সবাজার শহরের হোটেল সি বার্ডে ওঠেন তিনি। পরদিন হোটেল কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মোস্তাফিজুর পালিয়ে যান।
প্রাপ্ত তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাব জানায়, ওই নারী মোস্তাফিজের স্ত্রী নয়। এর আগেও একাধিকবার নারী নিয়ে হোটেলে ছিলেন তিনি। ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই নারীকে নিয়ে হোটেলে অবস্থানের সময় বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষোভের বশে ওই নারীকে হত্যার পর হোটেল থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় র্যাব-৭, র্যাব-১৫ ও র্যাবের গোয়েন্দা শাখা একযোগে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় হাটহাহাজারী থানাধীন চৌধুরীরহাট এলাকা থেকে আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে আগ্রা ১০০ নামক সিলডেনাফিল গোত্রের যৌন উত্তেজক ওষুধ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তার চোখের নিচে, ঘাড়ে ও কানের পেছনে নখের আচড় পাওয়া গেছে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ওই নারীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে র্যাবের কাছে। তবে ওই নারীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাই ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে মোস্তাফিজুর রহমান পাঁচ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও কক্সবাজার জেলায় ৪টি মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও ২০১৮ সালের ২৩ জুন ঢাকার দক্ষিণখান থানায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা সংক্রান্ত একটি মামলা হয় এবং ওই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।