ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে তিন ট্রেনের সংঘর্ষ: যেভাবে ঘটলো এত বড় দুর্ঘটনা

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১১:৩০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
  • ৪২১ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। আহত হয়েছেন ৯০০ জনেরও বেশি। উদ্ধারকাজ শেষ হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে এখনো অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। নামানো হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন দেশটির রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবসহ রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। দুর্ঘটনার কারণ জানতে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুপুর সোয়া ৩টা নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে উড়িষ্যার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি। তবে দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, তার একাধিক বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে।KSRM

স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেসই তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে থেকে চলতে থাকা একটি মালগাড়ির পেছনে। আঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন মালগাড়ির ওপরে উঠে যায়। ২৩টি বগির মধ্যে ১৫টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পাশের ডাউন লাইনে ও নর্দমার মধ্যে গিয়ে পড়ে। তখন পাশের সেই লাইন দিয়ে আসছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত যেসব বগি ডাউন লাইনের ওপর পড়েছিল, সেগুলোতে গিয়ে ধাক্কা মারে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এতে হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের একটি বগিতে ছিলেন প্রশান্ত মণ্ডল এবং তার ভাইপো কৃষ্ণপদ মণ্ডল। পেশায় রাজমিস্ত্রি প্রশান্ত যাচ্ছিলেন তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরে। কোনোভাবে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। তবে পায়ে চোট লেগেছে তার। ঘটনাস্থল থেকে ফোনে তিনি বলেন, উল্টে পড়া বগি থেকে বেরিয়ে প্রথমে একটা রেলগেট দেখতে পাই। সেখানে একজন পুলিশ ছিলেন। তিনি বললেন, সিগন্যাল না পেয়ে মালগাড়িটা দাঁড়িয়েছিল। করমণ্ডল এক্সপ্রেস সজোরে গিয়ে মালগাড়ির পেছনে ধাক্কা মারে।

করমণ্ডলের ইঞ্জিনটি যেভাবে মালগাড়ির ওপর উঠে পড়েছে, তা পেছন থেকে সরাসরি ধাক্কা মারলেই সম্ভব। প্রত্যক্ষদর্শী ওই পুলিশকর্মীর বয়ানও তেমনটাই বলছে।

তবে রেল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। কোনো কারণে প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। সেটি গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে। সেই লাইন ধরে তখন আসছিল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলোকে। সেই ধাক্কায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ওপরে উঠে যায়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

উপজেলা নয়, আগামীতে জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

ভারতে তিন ট্রেনের সংঘর্ষ: যেভাবে ঘটলো এত বড় দুর্ঘটনা

প্রকাশিত সময় :- ১১:৩০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। আহত হয়েছেন ৯০০ জনেরও বেশি। উদ্ধারকাজ শেষ হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে এখনো অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। নামানো হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন দেশটির রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবসহ রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। দুর্ঘটনার কারণ জানতে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুপুর সোয়া ৩টা নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে উড়িষ্যার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি। তবে দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, তার একাধিক বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে।KSRM

স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেসই তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে থেকে চলতে থাকা একটি মালগাড়ির পেছনে। আঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন মালগাড়ির ওপরে উঠে যায়। ২৩টি বগির মধ্যে ১৫টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পাশের ডাউন লাইনে ও নর্দমার মধ্যে গিয়ে পড়ে। তখন পাশের সেই লাইন দিয়ে আসছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত যেসব বগি ডাউন লাইনের ওপর পড়েছিল, সেগুলোতে গিয়ে ধাক্কা মারে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এতে হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের একটি বগিতে ছিলেন প্রশান্ত মণ্ডল এবং তার ভাইপো কৃষ্ণপদ মণ্ডল। পেশায় রাজমিস্ত্রি প্রশান্ত যাচ্ছিলেন তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরে। কোনোভাবে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। তবে পায়ে চোট লেগেছে তার। ঘটনাস্থল থেকে ফোনে তিনি বলেন, উল্টে পড়া বগি থেকে বেরিয়ে প্রথমে একটা রেলগেট দেখতে পাই। সেখানে একজন পুলিশ ছিলেন। তিনি বললেন, সিগন্যাল না পেয়ে মালগাড়িটা দাঁড়িয়েছিল। করমণ্ডল এক্সপ্রেস সজোরে গিয়ে মালগাড়ির পেছনে ধাক্কা মারে।

করমণ্ডলের ইঞ্জিনটি যেভাবে মালগাড়ির ওপর উঠে পড়েছে, তা পেছন থেকে সরাসরি ধাক্কা মারলেই সম্ভব। প্রত্যক্ষদর্শী ওই পুলিশকর্মীর বয়ানও তেমনটাই বলছে।

তবে রেল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। কোনো কারণে প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। সেটি গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে। সেই লাইন ধরে তখন আসছিল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলোকে। সেই ধাক্কায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ওপরে উঠে যায়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন