ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জে বিদেশে রপ্তানির অপেক্ষায় নতুন জাতের গৌরমতি আম

লিচুর জন্য বিখ্যাত হলেও বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও এবারে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে দিনাজপুরে। তবে ব্যাপক ফলনের কারণেআমের চাহিদা নেই দেশের বাজারে। তাই আম নিয়ে বিপাকে পড়েছে অনেক বাগান মালিক ব্যবসায়ী। দেশের বাজারে চাহিদা না থাকায় বিদেশে রপ্তানির চেষ্টায় রয়েছেন আমবাগান মানিক। ফলে বিদেশে রপ্তানীর অপেক্ষায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জের আম বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে নতুন জাতের গৌর মতি আম।কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ৩২ হাজার ৮ শত ৯৬ হেক্টর। এর মধ্যে আম বাগান রয়েছে ৩১২ হেক্টর জমিতে। বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে ২৫ হাজার গৌরমতি আম পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ব্যাগিং করা হয়েছে। সেখানে কোন প্রকার রাসায়নিক সার বা বিষ ব্যবহার করা হয়নি। নতুন জাতের গৌরমতি আম পাকার সময় ১৫ আগষ্ট হতে ২০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত। তবে ইতমধ্যে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে বিদেশে আম রপ্তানি শুর“ হয়েছে এবং বীরগঞ্জ উপজেলা হতে আম রপ্তানির জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। আম বাগান মালিক মরিচা ইউনিয়নের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান, ২০১৭ সালে ৭৫ শত জমিতে ১৫০টি গৌরমতি আম গাছের চারা রোপন করেন। ২০২২সালে গাছে ব্যাপক হারে ফলন শুর“ হয়। তবে এ বছর বাগানে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে বিদেশে রপ্তানীর উদ্যেশে ২৫০০০টি আম ব্যাগিং পদ্ধতিতে পরিচর্যা করে বিক্রয় যোগ্য করে তোলা হয়েছে। কিš‘ এখন পর্যন্ত আমের কোন গ্রাহক না পাওয়ায় গাছেই ঝুলে রয়েছে আনুমানিক প্রায় ২০০মন আম। দ্র“ত যদি রপ্তানী কিংবা বাজারজাত না করা হয় তাহলে গাছেই পচে যেতে পারে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগকে দ্র“ত ব্যব¯’া গ্রহণের দাবি জানান তিনি। একই কথা জানিয়ে আম বাগান মানিক আলহাজ মোকারম হোসেন পলাশ জানান, সরকারিভাবে দ্র“ত আম রপ্তানির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা না হয় তাহলে আমের পরিচর্চা করতে যে ব্যয় হয়েছে এখন আম যদি না বিক্রয় হয় তাহলে আম বাগান মালিকদের পথে নামতে হবে। এখন কৃষি বিভাগ আম রপ্তানি অথবা বিক্রয়ের জন্য দেশে কিংবা বিদেশে যোগযোগ করেন তাহলে আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পুজি ফেরত পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ আকন্দ জানান, বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে ২৫ হাজার গৌরমতি আম পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ব্যাগিং করা হয়েছে। গৌরমতি আমের জাতটি দেড়িতে পাকা শুর“ করে। ফলে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় বেশ মূল্য পাওয়া যায়। প্রতিটি আমের ওজন ৩ শত গ্রাম হতে ৫ শত পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেখানে কোন প্রকার রাসায়নিক সার বা বিষ ব্যবহার করা হয়নি। কিš‘ এ বছরে আমের বাম্পার ফলনের কারণে দেশে বিদেশে আমের চাহিদা কম থাকায় এখন পর্যন্ত কোন গ্রাহক মেলেনি। তবে কৃষি বিভাগ আম রপ্তানী ও ¯’ানীয়ভাবে বাজারজাত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার

বীরগঞ্জে বিদেশে রপ্তানির অপেক্ষায় নতুন জাতের গৌরমতি আম

প্রকাশিত সময় :- ০৭:৫৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

লিচুর জন্য বিখ্যাত হলেও বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও এবারে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে দিনাজপুরে। তবে ব্যাপক ফলনের কারণেআমের চাহিদা নেই দেশের বাজারে। তাই আম নিয়ে বিপাকে পড়েছে অনেক বাগান মালিক ব্যবসায়ী। দেশের বাজারে চাহিদা না থাকায় বিদেশে রপ্তানির চেষ্টায় রয়েছেন আমবাগান মানিক। ফলে বিদেশে রপ্তানীর অপেক্ষায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জের আম বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে নতুন জাতের গৌর মতি আম।কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ৩২ হাজার ৮ শত ৯৬ হেক্টর। এর মধ্যে আম বাগান রয়েছে ৩১২ হেক্টর জমিতে। বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে ২৫ হাজার গৌরমতি আম পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ব্যাগিং করা হয়েছে। সেখানে কোন প্রকার রাসায়নিক সার বা বিষ ব্যবহার করা হয়নি। নতুন জাতের গৌরমতি আম পাকার সময় ১৫ আগষ্ট হতে ২০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত। তবে ইতমধ্যে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে বিদেশে আম রপ্তানি শুর“ হয়েছে এবং বীরগঞ্জ উপজেলা হতে আম রপ্তানির জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। আম বাগান মালিক মরিচা ইউনিয়নের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান, ২০১৭ সালে ৭৫ শত জমিতে ১৫০টি গৌরমতি আম গাছের চারা রোপন করেন। ২০২২সালে গাছে ব্যাপক হারে ফলন শুর“ হয়। তবে এ বছর বাগানে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে বিদেশে রপ্তানীর উদ্যেশে ২৫০০০টি আম ব্যাগিং পদ্ধতিতে পরিচর্যা করে বিক্রয় যোগ্য করে তোলা হয়েছে। কিš‘ এখন পর্যন্ত আমের কোন গ্রাহক না পাওয়ায় গাছেই ঝুলে রয়েছে আনুমানিক প্রায় ২০০মন আম। দ্র“ত যদি রপ্তানী কিংবা বাজারজাত না করা হয় তাহলে গাছেই পচে যেতে পারে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগকে দ্র“ত ব্যব¯’া গ্রহণের দাবি জানান তিনি। একই কথা জানিয়ে আম বাগান মানিক আলহাজ মোকারম হোসেন পলাশ জানান, সরকারিভাবে দ্র“ত আম রপ্তানির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা না হয় তাহলে আমের পরিচর্চা করতে যে ব্যয় হয়েছে এখন আম যদি না বিক্রয় হয় তাহলে আম বাগান মালিকদের পথে নামতে হবে। এখন কৃষি বিভাগ আম রপ্তানি অথবা বিক্রয়ের জন্য দেশে কিংবা বিদেশে যোগযোগ করেন তাহলে আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পুজি ফেরত পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ আকন্দ জানান, বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে ২৫ হাজার গৌরমতি আম পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ব্যাগিং করা হয়েছে। গৌরমতি আমের জাতটি দেড়িতে পাকা শুর“ করে। ফলে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় বেশ মূল্য পাওয়া যায়। প্রতিটি আমের ওজন ৩ শত গ্রাম হতে ৫ শত পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেখানে কোন প্রকার রাসায়নিক সার বা বিষ ব্যবহার করা হয়নি। কিš‘ এ বছরে আমের বাম্পার ফলনের কারণে দেশে বিদেশে আমের চাহিদা কম থাকায় এখন পর্যন্ত কোন গ্রাহক মেলেনি। তবে কৃষি বিভাগ আম রপ্তানী ও ¯’ানীয়ভাবে বাজারজাত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন