বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩২৮ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৭ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৭ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৭০৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯১ জন এবং মারা গেছেন ২৭৭ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৩৫১ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮৮৬ জন এবং মারা গেছেন ২৬০ জন। কলম্বিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫২ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৫৪১ জন এবং মারা গেছেন ১০৬ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ হাজার ১৫৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন।
রাশিয়ায় সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৫ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন। তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮০ জন এবং মারা গেছেন ৩৭ জন। হংকংয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮০ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।