ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি থেকে কয়েক মাসেই সর্বস্বান্ত !

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০২:৪২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • ২৪৮ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি থেকে কয়েক মাসেই সর্বস্বান্ত !

নাম তার মাসায়োশি সোন, জাপানি ব্যবসায়ী। এক সময় তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বিত্তশালী ব্যবসায়ী। কিন্তু পরে হয়ে যান সর্বস্বান্ত। সাত হাজার কোটি ডলার খুইয়ে ফেলেন কয়েক মাসের মধ্যেই।

ব্যবসায়ী হিসেবে সব থেকে বেশি সম্পত্তি খোয়ানোর নজির রয়েছে মাসায়োশির। বিশ্বের ইতিহাসে তাকেই ‘সবচেয়ে দুর্ভাগা’ ব্যবসায়ী মনে করেন অনেকে।
মাসায়োশি কোরীয় বংশোদ্ভূত জাপানি ব্যবসায়ী এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘সফ্টব্যাংক’ গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। কোম্পানির সিইও এবং চেয়ারম্যানের পদেও রয়েছেন তিনি। ব্রিটেনেও একটি বিনিয়োগ সংস্থা রয়েছে তার।
বিনিয়োগকারী হিসেবেও যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে মাসায়োশির। একাধিক স্টার্ট আপ সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি, যেগুলো পরবর্তীকালে সফল হয়েছে। ‘ইয়াহু’ এবং ‘আলিবাবা’র মতো বড় সংস্থাতেও তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাসায়োশির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৯০ কোটি ডলার। বর্তমানে তিনি জাপানের দ্বিতীয় বিত্তশালী ব্যক্তি।
তবে এখন মাসায়োশির যে সম্পত্তি রয়েছে, তার চেয়েও অনেক বেশি পরিমাণে সম্পদ তিনি খুইয়েছেন।
২০০০ সালের ‘ডট কম’ ধ্বসে প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার খোয়ান মাসায়োশি, যা বিশ্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লোকসানের ঘটনা।
১৯৮১ সালে বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘সফ্টব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করেন মাসায়োশি। সেই থেকে তার উত্থান শুরু। নব্বইয়ের দশকে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে যায় তার সংস্থা। বৃদ্ধি পেতে থাকে আয়। কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বিত্তশালী ব্যক্তির তকমাও পেয়ে যান মাসায়োশি। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সময় প্রতিদিন হাজার কোটি ডলার করে আয় করত মাসায়োশির সংস্থা। বলা হয়, মাসায়োশির কাছে যা সম্পত্তি ছিল, তাতে তিনি প্রতি ঘণ্টায় ৪১টি অডি গাড়ি কিনতে পারতেন। তবে খুব বেশি দিন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা ধরে রাখতে পারেননি মাসায়োশি।
১৯৯৯ সালের শেষের দিকে শেয়ার বাজারে ‘ডট কম’ বিপর্যয়ের কারণে বিভিন্ন সংস্থা ক্ষতির মুখে পড়ে। সেই তালিকায় ছিল সফ্টব্যাংকও। কোম্পানির বাজারদর দু’মাসে ৭৫ শতাংশ কমে যায়।
২০০০ সালের শেষ নাগাদ মোট সম্পত্তির ৯৩ শতাংশ খোয়ান মাসায়োশি। প্রায় দেউলিয়া হয়ে যায় সফ্টব্যাংক। হিসাব কষে দেখা যায়, কয়েক মাসে মোট সাত হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে তার।
তবে সেখান থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ায় সফ্টব্যাংক। ঘুরে দাঁড় করান মাসায়োশি। নতুন নতুন সংস্থায় বিনিয়োগ শুরু করেন তিনি।
মাসায়োশি বর্তমানে কৃত্রিম মেধা এবং রোবোটিক্সের বিভিন্ন সংস্থাতেও বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। বর্তমানে তিনি বহু সম্পত্তির মালিক হলেও পুরনো প্রতিপত্তি আর ফিরে পাননি। সূত্র: ডিএনএ, মানি কন্ট্রোল

নিবি/মো‍‍: নজরুল ইসলাম

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

গ্রামে লোডশেডিং না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি থেকে কয়েক মাসেই সর্বস্বান্ত !

প্রকাশিত সময় :- ০২:৪২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

নাম তার মাসায়োশি সোন, জাপানি ব্যবসায়ী। এক সময় তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বিত্তশালী ব্যবসায়ী। কিন্তু পরে হয়ে যান সর্বস্বান্ত। সাত হাজার কোটি ডলার খুইয়ে ফেলেন কয়েক মাসের মধ্যেই।

ব্যবসায়ী হিসেবে সব থেকে বেশি সম্পত্তি খোয়ানোর নজির রয়েছে মাসায়োশির। বিশ্বের ইতিহাসে তাকেই ‘সবচেয়ে দুর্ভাগা’ ব্যবসায়ী মনে করেন অনেকে।
মাসায়োশি কোরীয় বংশোদ্ভূত জাপানি ব্যবসায়ী এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘সফ্টব্যাংক’ গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। কোম্পানির সিইও এবং চেয়ারম্যানের পদেও রয়েছেন তিনি। ব্রিটেনেও একটি বিনিয়োগ সংস্থা রয়েছে তার।
বিনিয়োগকারী হিসেবেও যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে মাসায়োশির। একাধিক স্টার্ট আপ সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি, যেগুলো পরবর্তীকালে সফল হয়েছে। ‘ইয়াহু’ এবং ‘আলিবাবা’র মতো বড় সংস্থাতেও তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাসায়োশির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৯০ কোটি ডলার। বর্তমানে তিনি জাপানের দ্বিতীয় বিত্তশালী ব্যক্তি।
তবে এখন মাসায়োশির যে সম্পত্তি রয়েছে, তার চেয়েও অনেক বেশি পরিমাণে সম্পদ তিনি খুইয়েছেন।
২০০০ সালের ‘ডট কম’ ধ্বসে প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার খোয়ান মাসায়োশি, যা বিশ্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লোকসানের ঘটনা।
১৯৮১ সালে বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘সফ্টব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করেন মাসায়োশি। সেই থেকে তার উত্থান শুরু। নব্বইয়ের দশকে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে যায় তার সংস্থা। বৃদ্ধি পেতে থাকে আয়। কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বিত্তশালী ব্যক্তির তকমাও পেয়ে যান মাসায়োশি। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সময় প্রতিদিন হাজার কোটি ডলার করে আয় করত মাসায়োশির সংস্থা। বলা হয়, মাসায়োশির কাছে যা সম্পত্তি ছিল, তাতে তিনি প্রতি ঘণ্টায় ৪১টি অডি গাড়ি কিনতে পারতেন। তবে খুব বেশি দিন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা ধরে রাখতে পারেননি মাসায়োশি।
১৯৯৯ সালের শেষের দিকে শেয়ার বাজারে ‘ডট কম’ বিপর্যয়ের কারণে বিভিন্ন সংস্থা ক্ষতির মুখে পড়ে। সেই তালিকায় ছিল সফ্টব্যাংকও। কোম্পানির বাজারদর দু’মাসে ৭৫ শতাংশ কমে যায়।
২০০০ সালের শেষ নাগাদ মোট সম্পত্তির ৯৩ শতাংশ খোয়ান মাসায়োশি। প্রায় দেউলিয়া হয়ে যায় সফ্টব্যাংক। হিসাব কষে দেখা যায়, কয়েক মাসে মোট সাত হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে তার।
তবে সেখান থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ায় সফ্টব্যাংক। ঘুরে দাঁড় করান মাসায়োশি। নতুন নতুন সংস্থায় বিনিয়োগ শুরু করেন তিনি।
মাসায়োশি বর্তমানে কৃত্রিম মেধা এবং রোবোটিক্সের বিভিন্ন সংস্থাতেও বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। বর্তমানে তিনি বহু সম্পত্তির মালিক হলেও পুরনো প্রতিপত্তি আর ফিরে পাননি। সূত্র: ডিএনএ, মানি কন্ট্রোল

নিবি/মো‍‍: নজরুল ইসলাম