ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০২:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ২৮৫ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

নাশকতা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব এবং দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহানসহ ১৫ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুই বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া অগ্নিসংযোগ করার অপরাধে আসামিদের আরও দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম,তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন ও মোজাম্মেল হক।

দণ্ডপ্রাপ্তদের এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। আরেক ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে।

দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন।

এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন,মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে আব্দুর রাজ্জাককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত অপর ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এদিন মো. শাজাহানের পক্ষে তার আইনজীবী মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করেন। তাকে এদিন আসামি আদালতে উপস্থিত হননি। এজন্য আদালত তার আবেদনটি নাকচ করেন। হাবিবুর রহমান ও আহসান হাবিবের পক্ষেও সময় আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

জানা যায়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে জোটের সমর্থক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরোক্ষ ইন্ধনে ৩০/৪০ জন ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি স্মরণীতে জনসাধারণের চলাচল গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ খুন করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগে এক ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

এ ঘটনায় ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ মো. সাজু মিয়া।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত সময় :- ০২:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

নাশকতা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব এবং দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহানসহ ১৫ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুই বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া অগ্নিসংযোগ করার অপরাধে আসামিদের আরও দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম,তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন ও মোজাম্মেল হক।

দণ্ডপ্রাপ্তদের এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। আরেক ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে।

দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন।

এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন,মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে আব্দুর রাজ্জাককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত অপর ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এদিন মো. শাজাহানের পক্ষে তার আইনজীবী মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করেন। তাকে এদিন আসামি আদালতে উপস্থিত হননি। এজন্য আদালত তার আবেদনটি নাকচ করেন। হাবিবুর রহমান ও আহসান হাবিবের পক্ষেও সময় আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

জানা যায়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে জোটের সমর্থক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরোক্ষ ইন্ধনে ৩০/৪০ জন ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি স্মরণীতে জনসাধারণের চলাচল গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ খুন করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগে এক ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

এ ঘটনায় ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ মো. সাজু মিয়া।

নিউজবিজয়/এফএইচএন