ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির হাতে শুধুই রক্তের দাগ : প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবিজয় প্রতিবেদক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৯:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ২৮৫ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। ৩০০ আসনের মধ্যে তারা মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। একইভাবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ বিএনপি-জামাত জোটকে ভোট দেয়নি, প্রত্যাখ্যান করেছিল। জনগণের দ্বারা প্রত্যখ্যাত হয়ে তারা এখন অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মহান বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। যার কারণে এখনো দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সে কারণেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

সাধারণ মানুষ বিএনপিকে কেন ভোট দিতে যাবে? এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। আর তারেক জিয়া দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। সাধারণ জনগণ তাদেরকে ভোট দিতে যাবে কেন?

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষের ওপর আস্থা হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত এখন বিদেশীদের কাছে দেশের বদনাম করার জন্য কিছু লোক নিয়োগ করেছে। এতে তারা পাচারকৃত অর্থ ব্যবহার করছে আর দেশের বদনাম করে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপির হাতে শুধুই রক্তের দাগ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতির পিতা হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সশস্ত্র বাহিনীর হাজার হাজার দেশপ্রেমিক সৈনিককে হত্যা করেছে। এদের প্রত্যক্ষ মদদেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জঙ্গি সংগঠন গ্রেনেড হামলা করে আমাকে ও আমার দলের শীর্ষনেতাদের হত্যা করতে চেয়েছে। ২০১৩ সালে সারাদেশে বিএনপি জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস এবং পেট্রলবোমা সন্ত্রাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসলে দেশ এতো উন্নতি করতে পারতো না। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাও পেতো না। এখন দেশবাসী আপনাদেরকে বেছে নিতে হবে- আপনারা কি চান? উন্নত, মর্যাদাশীল জীবনের ধারাবাহিকতা নাকি বিএনপি-জামায়াত জোটের দুর্বৃত্তায়নে দুর্বিষহ জীবন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা আমাদের মুল লক্ষ্য। মানুষের ভোগান্তিও কষ্ট হোক তা আমরা কখনোই চাই না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এখন অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পাচ্ছে। তবে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ কোন জিনিসের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা সমন্বয় করব।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। যে মাটিতে ফেলে যেখানে কাজ হয় এবং সে গাছে ফল হয় সেখানে বাইরে থেকে বেশি পণ্য আমদানী করতে হবে কেন? আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করছি, এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখবেন না। ভয় পেলে চলবে না জনগণের সহায়তায় আমরা করোনাভাইরাস সফলভাবে মোকাবেলা করেছি। বর্তমান বৈশ্বিক মন্দা মোকাবেলা করব ইনশাআল্লাহ, এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।

সরকারপ্রধান বলেন, ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব সৃষ্টি করে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। গুজবে কান দিবেন না। ব্যাংকে টাকা ঘাটতি নেই। টাকা ঘরে রেখে বিপদ ডেকে আনবেন না। আমদানি, রফতানি স্বাভাবিক আছে।

দেশের মানুষকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষ ভালো আছে দেখলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ষড়যন্ত্র করে আর এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। এবারের বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সম্মিলিতভাবে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখব। একটি সুখী, সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করব।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

বিএনপির হাতে শুধুই রক্তের দাগ : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় :- ০৯:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। ৩০০ আসনের মধ্যে তারা মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। একইভাবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ বিএনপি-জামাত জোটকে ভোট দেয়নি, প্রত্যাখ্যান করেছিল। জনগণের দ্বারা প্রত্যখ্যাত হয়ে তারা এখন অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মহান বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। যার কারণে এখনো দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সে কারণেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

সাধারণ মানুষ বিএনপিকে কেন ভোট দিতে যাবে? এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। আর তারেক জিয়া দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। সাধারণ জনগণ তাদেরকে ভোট দিতে যাবে কেন?

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষের ওপর আস্থা হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত এখন বিদেশীদের কাছে দেশের বদনাম করার জন্য কিছু লোক নিয়োগ করেছে। এতে তারা পাচারকৃত অর্থ ব্যবহার করছে আর দেশের বদনাম করে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপির হাতে শুধুই রক্তের দাগ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতির পিতা হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সশস্ত্র বাহিনীর হাজার হাজার দেশপ্রেমিক সৈনিককে হত্যা করেছে। এদের প্রত্যক্ষ মদদেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জঙ্গি সংগঠন গ্রেনেড হামলা করে আমাকে ও আমার দলের শীর্ষনেতাদের হত্যা করতে চেয়েছে। ২০১৩ সালে সারাদেশে বিএনপি জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস এবং পেট্রলবোমা সন্ত্রাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসলে দেশ এতো উন্নতি করতে পারতো না। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাও পেতো না। এখন দেশবাসী আপনাদেরকে বেছে নিতে হবে- আপনারা কি চান? উন্নত, মর্যাদাশীল জীবনের ধারাবাহিকতা নাকি বিএনপি-জামায়াত জোটের দুর্বৃত্তায়নে দুর্বিষহ জীবন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা আমাদের মুল লক্ষ্য। মানুষের ভোগান্তিও কষ্ট হোক তা আমরা কখনোই চাই না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এখন অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পাচ্ছে। তবে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ কোন জিনিসের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা সমন্বয় করব।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। যে মাটিতে ফেলে যেখানে কাজ হয় এবং সে গাছে ফল হয় সেখানে বাইরে থেকে বেশি পণ্য আমদানী করতে হবে কেন? আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করছি, এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখবেন না। ভয় পেলে চলবে না জনগণের সহায়তায় আমরা করোনাভাইরাস সফলভাবে মোকাবেলা করেছি। বর্তমান বৈশ্বিক মন্দা মোকাবেলা করব ইনশাআল্লাহ, এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।

সরকারপ্রধান বলেন, ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব সৃষ্টি করে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। গুজবে কান দিবেন না। ব্যাংকে টাকা ঘাটতি নেই। টাকা ঘরে রেখে বিপদ ডেকে আনবেন না। আমদানি, রফতানি স্বাভাবিক আছে।

দেশের মানুষকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষ ভালো আছে দেখলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ষড়যন্ত্র করে আর এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। এবারের বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সম্মিলিতভাবে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখব। একটি সুখী, সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করব।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন