পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদের কথা উঠলেই মনে হতে পারে ওসামা বিন লাদেনের গোপন আস্তানার কথা। সেই অ্যাবটাবাদই আবার আলোচনার কেন্দ্রে। তবে লাদেনের জন্য নয়, জায়গাটি আলোচনায় উঠে এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য। বলা ভালো শাহিদ আফ্রিদির জন্য। অ্যাবোটাবাদেই একবার অনুশীলন থেকে হোটেলে ফেরার সময় বাসেই আফ্রিদির সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় তৎকালীন অধিনায়ক সালমান বাটের। ঘটনা ২০০৭ সালের। পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ ঘটনাটির কথা উল্লেখ করেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারেও সেই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন শোয়েব। তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ওই বছর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছিল অ্যাবটাবাদে। সেই অনুশীলন শিবির থেকে ফেরার পথেই আফ্রিদি-সালমান ঝগড়ায় জড়ান। এমন ঘটনায় আফ্রিদির উপর রেগে গিয়েছিলেন দলের ম্যানেজার তালাত আলি। তিনি আফ্রিদিকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। শোয়েব বলেছেন, ‘অনুশীলন থেকে ফেরার সময় বাসে আমার পাশের আসনে বসেছিল বাট। আফ্রিদি তাকে আসনটি ছেড়ে দিয়ে অন্য আসনে বসতে বলে। এটা নিয়েই দুজনের তর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে তালাত মেজাজ হারিয়ে আফ্রিদিকে বলেছিলেন, “কেন বাটকে আসন ছাড়তে হবে?” তখন আফ্রিদি ম্যানেজারের সঙ্গেও তর্ক শুরু করে। সেদিন রাতে শোয়েব মালিকের থেকে জানতে পেরেছিলাম, সেই ঘটনার জন্য আফ্রিদিকে বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তালাত এবং পিসিবি। ‘ এই ঘটনা নিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং করে নিষিদ্ধ হওয়া সালমান বাট বলেছেন, আফ্রিদি তার সিনিয়র ছিলেন। বন্ধু নন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাট বলেছেন, ‘সব দলেই এরকম কিছু না কিছু ঘটে। আফ্রিদি আমার সিনিয়র ছিল। বন্ধু নয়। আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহারই করত। আমাদের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হতো। অনেক সময় দু’জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। সেগুলো প্রকাশ্যে না আসাই ভালো। ‘
নিউজ বিজয়/মোঃ নজরুল ইসলাম