হিলিতে সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরছে না। স্থিতিশীল হচ্ছে না কোনকিছুর দাম। ক্রেতারা বলছেন, কোনও সবজির দাম ১০ টাকা কমলে দুই-একদিন পরে আবার ২০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে তো কেনাকাটা করে সস্তি পাওয়া যায় না। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, কেনা বেশি বলেই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে কিছু বিক্রেতা সবজির দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) হিলি কাঁচাবাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় সবজির বাজারের এ চিত্র।
শীতকালকে সবজির ঋতু হিসেবেই বলে থাকেন সাধারণ মানুষেরা। কারণ এই ঋতুতে বাজারে অন্য সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ সবজি পাওয়া যায়, দামও থাকে কম। কিন্তু এবারের অবস্থা ভিন্ন। সবজি পর্যাপ্ত থাকলেও কমছে না দাম।
বাজার করতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, শীতকালে সব সবজির দাম কম থাকার কথা। কিন্তু এখন দাম যেন কমতেই চাচ্ছে না। কোনও সবজির দাম যদি ১০ টাকা কমে কয়েকদিন পরেই সেটার দাম ২০ টাকা বেড়ে যায়। এভাবে কী চলা যায়?
আজকের বাজারে শিম ৬০ টাকা, শালগম ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৮০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, দেশি গাজর ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, ক্ষীরা ৫০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৬০ করে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা আকবর আলী বলেন, শীতকাল চলে যাচ্ছে তবুও ফুলকপি-বাঁধাকপির দাম ৪০ টাকা কেজি চলছে। এগুলো তো এই সিজনেরই সবজি, তবুও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
সবজির দাম না কমা প্রসঙ্গে বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, দামের উঠা-নামা আমাদের হাতে নেই। আমরা যেমন দামে কিনি লাভ রেখে বিক্রি করি। এখন বেশি দামে কেনা পড়লে বেশি দামেই বিক্রি করি।
আরেক বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন বলেন, শীতের শুরুর দিকে সবজির দাম বেশি ছিল, এখন অনেকটাই কমেছে। তবে আজকে দাম গত সপ্তাহের থেকে বেশি।
এছাড়া আজকে মানভেদে পেঁয়াজ ৬০/৬৫ টাকা, লাল ও সাদা আলু ২৮-৩০ টাকা, দেশি রসুন ২৮০, চায়না রসুন ২৪০-২৬০, ভারতীয় আদা ২৪০, চায়না আদা ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা জুয়েল রানা বলেন, আলু-পেঁয়াজের দাম কমেছে। আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে। তবে আদা রসুনের দাম কিছুটা বেড়েছে।
নিউজ বিজয় ২৪/এফএইচএন