ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ কারও ওপর নির্ভরশীল নয় : প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৭:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • ২৪৮ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী কোনো দেশের কাছ থেকে কিছু কেনা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৫ মে) বিকেল সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের ফলাফল সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন তিনি। বিকেল ৪টার কিছু সময় পর গণভবনে ওই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে, সেসব দেশ থেকে কিছু কিনব না, এত ভয়ের কী আছে। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। কারও ওপর নির্ভরশীল নয় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে দুটি পদক্ষেপ নিয়েছি বলেও জানান সরকারপ্রধান।

ত্রিদেশীয় সফর শেষে দেশে ফিরে গত শনিবার (১৩ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ৬০তম কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি আরেকটি সিদ্ধান্ত নিতে বলেছি। স্যাংশন দেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের উপর দেওয়া হচ্ছে স্যাংশন! আমি বলে দিয়েছি, যে দেশ স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিছুই কিনব না। আমি আর কী করব! বাবা-মা-ভাইবোন সবাইকে মেরে ফেলেছে। আমার তো হারানোর কিছু নেই। আমার দেশটিকে আমি এগিয়ে নিতে চাই।

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে একজন সাংবাদিক জানতে চান এতে আমরা ভিত হব কিনা?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু কেনাকাটা করব না। ভয়ের কিছু নেই, আমাদের সব জমি আবাদ করব, আমরা অন্যের ওপর নির্ভর করব না। আমরা নিজেদেরটা দিয়ে নিজেরা চলব।অনাবাদী জমি সব চাষ করে, যা আসে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অভাব। উন্নয়নশীল না উন্নত দেশেও খাদ্যের সমস্যা। একটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না, ছয়টার বেশি ডিম কেনা যাবে না। রোজায় তো কোনো হাহাকার শোনা যায়নি। কেউ কি আসছে, আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে? আসেনি। সবাই ইফতারের জন্য এগিয়ে এসেছে। আমাদের দল ও নেতাকর্মীদের এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তো অর্থ মন্ত্রণালয়কে, কেনাকাটার বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছি। এখন থেকে আমাদের শর্ত থাকবে, যারা আমাদের স্যাংশন দেবে তাদের থেকে আমরা কোনও কিছু কেনাকাটা করবো না। পরিষ্কার কথা। এখানে ভয়ের কী আছে? যেটা নিয়ে সমস্যা হয় সেটা আমরা উৎপাদন করে সমাধান করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী যেখানে মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যের অভাব, উন্নত দেশে খাবার কেনা সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে, যারা বড়লোক তাদের অসুবিধা নাই, সাধারণ মানুষের তো অনেক অসুবিধা হচ্ছে। সেদিক থেকে আমরা তো আমাদের মানুষকে প্রণোদনা দিয়েছি। রোজার সময় তো মানুষের হাহাকার শোনা যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজার সময় আমরা মানুষকে যথেষ্ট সাহায্য করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা করেছে। তো আমাদের দুশ্চিন্তার কী আছে? কথা নাই, বার্তা নাই, স্যাংশনের ভয় দেখাবে! আমরা ভয় পেয়ে বসে থাকবো কেন? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। যারা আমাদের সপ্তম নৌ বহরের ভয় দেখিয়েছিল আমরা সেটি পার করে বিজয় অর্জন করেছি। সেটি ভুললে চলবে না, আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, এটা সেটা শুনতে হয়। আমাদের দেশের কিছু মানুষই দেশের বদনাম করে। তারা যে দুর্নীতি সহ কত অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সেগুলো আমাদের সাংবাদিকরা খুঁজে বের করে না। সাংবাদিকরা খুঁজলে অনেক তথ্য পাবে।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৩১.২২ বিলিয়ন রিজার্ভ রয়েছে। ২০০৬ সালে ছিল এক বিলিয়নেরও কম। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

সরকারপ্রধান জানান, কোনো দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। সে হিসেবে আমাদের আরও বেশি রয়েছে। এজন্য রিজার্ভ কমে যাওয়াকে দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছে না সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০০৬ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ ছিল শূন্য দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার, এখন ৩১ বিলিয়ন ডলার আছে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমাদের সব জমি আবাদ করব, আমরা অন্যের উপর নির্ভর করব না। আমরা নিজেদেরটা দিয়ে নিজেরা চলব।’ জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু কেনাকাটা করব না। ভয়ের কিছু নেই, অনাবাদী জমি সব চাষ করে, যা আসে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অভাব। উন্নয়নশীল না উন্নত দেশেও খাদ্যের সমস্যা। একটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না, ছয়টার বেশি ডিম কেনা যাবে না। রোজায় তো কোনো হাহাকার শোনা যায়নি। কেউ কি আসছে, আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে? আসেনি। সবাই ইফতারের জন্য এগিয়ে এসেছে। আমাদের দল ও নেতাকর্মীদের এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’

ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। আমি নিজে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি, বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা উপকূলীয় ১৩টি জেলায় ৭ হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলাম। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পুর্নবাসন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকার আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। যদিও আমাদের সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজারে কিছু ক্ষতি হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আমরা যথাযথ সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পেরেছি। উপকূলের কয়েকটি জেলায় ৭ হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র আমরা প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। সেখানে প্রায় সাড়ে ৭ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, যেসব এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুতই সেগুলো আবার মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এ ছাড়া খাবার, পানি যা যা দরকার, সবকিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ত্রিদেশীয় সফরে গত ২৫ এপ্রিল জাপানের রাজধানী টোকিও পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে আটটি চুক্তি হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৯ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইতিহাসের এই দিনে: ৫ মে : ২০২৪

বাংলাদেশ কারও ওপর নির্ভরশীল নয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় :- ০৭:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী কোনো দেশের কাছ থেকে কিছু কেনা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৫ মে) বিকেল সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের ফলাফল সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন তিনি। বিকেল ৪টার কিছু সময় পর গণভবনে ওই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে, সেসব দেশ থেকে কিছু কিনব না, এত ভয়ের কী আছে। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। কারও ওপর নির্ভরশীল নয় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে দুটি পদক্ষেপ নিয়েছি বলেও জানান সরকারপ্রধান।

ত্রিদেশীয় সফর শেষে দেশে ফিরে গত শনিবার (১৩ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ৬০তম কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি আরেকটি সিদ্ধান্ত নিতে বলেছি। স্যাংশন দেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের উপর দেওয়া হচ্ছে স্যাংশন! আমি বলে দিয়েছি, যে দেশ স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিছুই কিনব না। আমি আর কী করব! বাবা-মা-ভাইবোন সবাইকে মেরে ফেলেছে। আমার তো হারানোর কিছু নেই। আমার দেশটিকে আমি এগিয়ে নিতে চাই।

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে একজন সাংবাদিক জানতে চান এতে আমরা ভিত হব কিনা?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু কেনাকাটা করব না। ভয়ের কিছু নেই, আমাদের সব জমি আবাদ করব, আমরা অন্যের ওপর নির্ভর করব না। আমরা নিজেদেরটা দিয়ে নিজেরা চলব।অনাবাদী জমি সব চাষ করে, যা আসে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অভাব। উন্নয়নশীল না উন্নত দেশেও খাদ্যের সমস্যা। একটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না, ছয়টার বেশি ডিম কেনা যাবে না। রোজায় তো কোনো হাহাকার শোনা যায়নি। কেউ কি আসছে, আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে? আসেনি। সবাই ইফতারের জন্য এগিয়ে এসেছে। আমাদের দল ও নেতাকর্মীদের এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তো অর্থ মন্ত্রণালয়কে, কেনাকাটার বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছি। এখন থেকে আমাদের শর্ত থাকবে, যারা আমাদের স্যাংশন দেবে তাদের থেকে আমরা কোনও কিছু কেনাকাটা করবো না। পরিষ্কার কথা। এখানে ভয়ের কী আছে? যেটা নিয়ে সমস্যা হয় সেটা আমরা উৎপাদন করে সমাধান করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী যেখানে মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যের অভাব, উন্নত দেশে খাবার কেনা সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে, যারা বড়লোক তাদের অসুবিধা নাই, সাধারণ মানুষের তো অনেক অসুবিধা হচ্ছে। সেদিক থেকে আমরা তো আমাদের মানুষকে প্রণোদনা দিয়েছি। রোজার সময় তো মানুষের হাহাকার শোনা যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজার সময় আমরা মানুষকে যথেষ্ট সাহায্য করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা করেছে। তো আমাদের দুশ্চিন্তার কী আছে? কথা নাই, বার্তা নাই, স্যাংশনের ভয় দেখাবে! আমরা ভয় পেয়ে বসে থাকবো কেন? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। যারা আমাদের সপ্তম নৌ বহরের ভয় দেখিয়েছিল আমরা সেটি পার করে বিজয় অর্জন করেছি। সেটি ভুললে চলবে না, আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, এটা সেটা শুনতে হয়। আমাদের দেশের কিছু মানুষই দেশের বদনাম করে। তারা যে দুর্নীতি সহ কত অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সেগুলো আমাদের সাংবাদিকরা খুঁজে বের করে না। সাংবাদিকরা খুঁজলে অনেক তথ্য পাবে।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৩১.২২ বিলিয়ন রিজার্ভ রয়েছে। ২০০৬ সালে ছিল এক বিলিয়নেরও কম। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

সরকারপ্রধান জানান, কোনো দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। সে হিসেবে আমাদের আরও বেশি রয়েছে। এজন্য রিজার্ভ কমে যাওয়াকে দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছে না সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০০৬ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ ছিল শূন্য দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার, এখন ৩১ বিলিয়ন ডলার আছে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমাদের সব জমি আবাদ করব, আমরা অন্যের উপর নির্ভর করব না। আমরা নিজেদেরটা দিয়ে নিজেরা চলব।’ জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু কেনাকাটা করব না। ভয়ের কিছু নেই, অনাবাদী জমি সব চাষ করে, যা আসে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অভাব। উন্নয়নশীল না উন্নত দেশেও খাদ্যের সমস্যা। একটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না, ছয়টার বেশি ডিম কেনা যাবে না। রোজায় তো কোনো হাহাকার শোনা যায়নি। কেউ কি আসছে, আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে? আসেনি। সবাই ইফতারের জন্য এগিয়ে এসেছে। আমাদের দল ও নেতাকর্মীদের এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’

ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। আমি নিজে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি, বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা উপকূলীয় ১৩টি জেলায় ৭ হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলাম। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পুর্নবাসন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকার আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। যদিও আমাদের সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজারে কিছু ক্ষতি হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আমরা যথাযথ সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পেরেছি। উপকূলের কয়েকটি জেলায় ৭ হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র আমরা প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। সেখানে প্রায় সাড়ে ৭ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, যেসব এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুতই সেগুলো আবার মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এ ছাড়া খাবার, পানি যা যা দরকার, সবকিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ত্রিদেশীয় সফরে গত ২৫ এপ্রিল জাপানের রাজধানী টোকিও পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে আটটি চুক্তি হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৯ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।