ঢাকা ০৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদলগাছীতে বাড়তি দামেই বিক্রয় হচ্ছে আলু- পেয়াজ

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার সকল হাট বাজারে আলু ও পেয়াজ বেশি দামে বিক্রয় করা হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ বাজার মনিটরিং না থাকায় ব‍্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম নিচ্ছে।

সম্প্রতি বাণিজ্যে মন্ত্রণালয়, আলু পাইকারীতে ২৬ থেকে ২৭ টাকা, খুচরা বিক্রি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পেয়াজ পাইকারীতে ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা,খুচরা বিক্রি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং ডিম পাইকারিতে ১০টাকা ৫০পয়সা এবং খুচরায় ১২টাকা সর্বোচ্চ নির্ধারন করে এবং সারা দেশে নির্ধারিত এ দামে আলু,পেয়াজ,ডিম বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর শনিবার উপজেলা সাপ্তাহিক বদলগাছী হাটে গিয়ে দেখা যায়,খুচরা বিক্রেতারা আলু,পেয়াজের দোকান সাজিয়ে রয়েছেন। তারা দেশি পেয়াজ ৮০ টাকা কেজি ও হাইব্রিড(চালানি পেয়াজ) ৭০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন। অপরদিকে দেশী আলু ৫০ টাকা,কার্ডিনাল আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

একই চিত্র রবিবার ১ই অক্টোবর ভান্ডারপুর, সোমবার ২ অক্টোবর গোবরচাঁপা, মঙ্গলবার ৩ অক্টোবর কোলা হাটের চিত্র। উপজেলার সকল হাট বাজারে পিয়াজ দেশি ৮০টাকা, ইন্ডিয়ান পিয়াজ ৭০টাকা, আলু ৫০টাকা,কার্ডনাল আলু ৪০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাসুদ,মান্নান সহ একাধিক খুচরা বিক্রেতারা বলেন,আমরা সরকারের বেঁধে দেওয়া পাইকারী দামে আলু,পেয়াজ কিনতে পারছি না। পাইকারী বেশি বেশি দামে পণ‍্য কিনছি তাই বাজারে বেশি দামেই বিক্রি করছি। এবং ব‍্যবসায়ীরা আরও বলেন, পাইকারি বাজারে ১/৩মন আলু পিয়াজের কোন ম‍্যামো দেয় না। আমরাও চাই নিত‍্যপণ‍্যের দাম কমে আসুক। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্রেতা এসে আলু পিয়াজের দাম নিয়ে তর্ক করে আমরা বলি বেশি দামে কিনেছি তাই বেশিতেই বিক্রি করছি।

তারা বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের না ধরে যা পাইকারী বিক্রি করে তাদের প্রতি নজরদারী দিলেই আলু পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে বলে দাবী তাদের।

সবজুল নামে এক পিয়াজ, আলু বিক্রেতা বলেন,সরকার খুচরা বিক্রির জন্য যে দাম নির্ধারণ করছে তার থেকেও বেশি দামে পাইকারী কিনতে হচ্ছে তাহলে আমরা বিক্রি করবো কত? তাই যা ক্রয় করছি তার থেকে ৪ থেকে ৫ টাকা লাভ রেখে আলু পেয়াজ বিক্রি করছি।
বদলগাছী হাটে আসা নয়ন বলেন, সপ্তাহের হাট বারেই আমি বাজার করি। বদলগাছীর হাটে আলু ৫০, পিয়াজ ৮০টাকা দরে কিনলাম। সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল‍্যে নিত‍্য প্রয়োজনীয় পণ‍্য মিলছে না।

সোমবার গোবরচাঁপা হাটে বাজারে বাজার করতে আসা শরিফুল বলেন, সাপ্তাহিক হাটে বাজার করতে আসি কম দাম পাবো বলে। অথচ এখানে এসে দেখি সরকারীভাবে বেধেঁ দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে আলু,পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে কোলা গ্রামের আদিল বলেন, কোলা হাটে বাজারে দুই কেজি আলু ক্রয় করলাম ১০০ টাকায়। পিয়াজ দেশি ৮০টাকা ও ইন্ডিয়ান পিয়াজ ৭০টাকা বিক্রি করছে বাধ‍্য হয়ে ১কেজি পিয়াজ ৮০টাকায় ক্রয় করছি।

ক্রেতাদের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং না করায় পাইকারি বাজারে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশী দামে আলূ পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

এ ব‍িষয়ে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আলপনা ইয়াসমিন বলেন,আমরা মনিটরিং করছি। সপ্তাহের হাটের দিনগুলোতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিয়ে অভিযান চালানো হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালালেই ব্যবস্থা নেবে বিআরটিএ

বদলগাছীতে বাড়তি দামেই বিক্রয় হচ্ছে আলু- পেয়াজ

প্রকাশিত সময় :- ০৫:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার সকল হাট বাজারে আলু ও পেয়াজ বেশি দামে বিক্রয় করা হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ বাজার মনিটরিং না থাকায় ব‍্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম নিচ্ছে।

সম্প্রতি বাণিজ্যে মন্ত্রণালয়, আলু পাইকারীতে ২৬ থেকে ২৭ টাকা, খুচরা বিক্রি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পেয়াজ পাইকারীতে ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা,খুচরা বিক্রি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং ডিম পাইকারিতে ১০টাকা ৫০পয়সা এবং খুচরায় ১২টাকা সর্বোচ্চ নির্ধারন করে এবং সারা দেশে নির্ধারিত এ দামে আলু,পেয়াজ,ডিম বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর শনিবার উপজেলা সাপ্তাহিক বদলগাছী হাটে গিয়ে দেখা যায়,খুচরা বিক্রেতারা আলু,পেয়াজের দোকান সাজিয়ে রয়েছেন। তারা দেশি পেয়াজ ৮০ টাকা কেজি ও হাইব্রিড(চালানি পেয়াজ) ৭০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন। অপরদিকে দেশী আলু ৫০ টাকা,কার্ডিনাল আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

একই চিত্র রবিবার ১ই অক্টোবর ভান্ডারপুর, সোমবার ২ অক্টোবর গোবরচাঁপা, মঙ্গলবার ৩ অক্টোবর কোলা হাটের চিত্র। উপজেলার সকল হাট বাজারে পিয়াজ দেশি ৮০টাকা, ইন্ডিয়ান পিয়াজ ৭০টাকা, আলু ৫০টাকা,কার্ডনাল আলু ৪০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাসুদ,মান্নান সহ একাধিক খুচরা বিক্রেতারা বলেন,আমরা সরকারের বেঁধে দেওয়া পাইকারী দামে আলু,পেয়াজ কিনতে পারছি না। পাইকারী বেশি বেশি দামে পণ‍্য কিনছি তাই বাজারে বেশি দামেই বিক্রি করছি। এবং ব‍্যবসায়ীরা আরও বলেন, পাইকারি বাজারে ১/৩মন আলু পিয়াজের কোন ম‍্যামো দেয় না। আমরাও চাই নিত‍্যপণ‍্যের দাম কমে আসুক। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্রেতা এসে আলু পিয়াজের দাম নিয়ে তর্ক করে আমরা বলি বেশি দামে কিনেছি তাই বেশিতেই বিক্রি করছি।

তারা বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের না ধরে যা পাইকারী বিক্রি করে তাদের প্রতি নজরদারী দিলেই আলু পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে বলে দাবী তাদের।

সবজুল নামে এক পিয়াজ, আলু বিক্রেতা বলেন,সরকার খুচরা বিক্রির জন্য যে দাম নির্ধারণ করছে তার থেকেও বেশি দামে পাইকারী কিনতে হচ্ছে তাহলে আমরা বিক্রি করবো কত? তাই যা ক্রয় করছি তার থেকে ৪ থেকে ৫ টাকা লাভ রেখে আলু পেয়াজ বিক্রি করছি।
বদলগাছী হাটে আসা নয়ন বলেন, সপ্তাহের হাট বারেই আমি বাজার করি। বদলগাছীর হাটে আলু ৫০, পিয়াজ ৮০টাকা দরে কিনলাম। সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল‍্যে নিত‍্য প্রয়োজনীয় পণ‍্য মিলছে না।

সোমবার গোবরচাঁপা হাটে বাজারে বাজার করতে আসা শরিফুল বলেন, সাপ্তাহিক হাটে বাজার করতে আসি কম দাম পাবো বলে। অথচ এখানে এসে দেখি সরকারীভাবে বেধেঁ দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে আলু,পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে কোলা গ্রামের আদিল বলেন, কোলা হাটে বাজারে দুই কেজি আলু ক্রয় করলাম ১০০ টাকায়। পিয়াজ দেশি ৮০টাকা ও ইন্ডিয়ান পিয়াজ ৭০টাকা বিক্রি করছে বাধ‍্য হয়ে ১কেজি পিয়াজ ৮০টাকায় ক্রয় করছি।

ক্রেতাদের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং না করায় পাইকারি বাজারে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশী দামে আলূ পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

এ ব‍িষয়ে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আলপনা ইয়াসমিন বলেন,আমরা মনিটরিং করছি। সপ্তাহের হাটের দিনগুলোতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিয়ে অভিযান চালানো হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন