ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদলগাছীতে পাশাপাশি ও গ্রামের মধ্যে ইটভাটা; মজুদ আছে কাঠ

নওগাঁর বদলগাছীতে বিস্তীর্ণ মাঠের চারদিকে সবুজের সমারোহ। চারিদিকে উর্বর ফসলি জমি। এর মধ্যেই গড়ে উঠেছে পরিবেশ বিধ্বংসী ইটভাটা। তাও আবার পাশাপাশি দুটি ইট ভাটা একই সাথে। রাস্তার এপার আর ওপার। যেন কোনো নিয়মের বালাই নেই সেখানে। আইন অমান্য করে বেশ কিছু ইটভাটা গড়ে উঠেছে এলাকায়। গ্রামের মধ্যেও কিছু ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে। বদলগাছীতে এভাবেই গড়ে তুলেছে ইট ভাটাগুলো। অনিয়মভাবে গড়ে উঠা ইটভাটার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উপজেলার মিঠাপুর ও পাহাড়পুর ইউনিয়নে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২৪-২৬ টি ইট ভাটা রয়েছে। ভাটাগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে চালু রয়েছে। নিয়মনীতি মানা না হলেও যেন দেখার কেউ। দেখা যায়, উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের সরাইবাড়ী বুড়িগঞ্জ নামক স্থানে আদিল ব্রিক্স ও এমবিএফ ব্রিক্স দুটি পাশাপাশি। একেবারে রাস্তার এপার ওপার। পাচঘরিয়া হাওয়া ইটভাটা, এনআরবি, আলফালা, মনডল ব্রিক্স এবং খাদাইলে, বামনপাড়াসহ প্রায় সবগুলো ভাটা অনিয়মভাবে গড়ে উঠেছে।

জানা গেছে, একটি ইটভাটা একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে পরবর্তী ইটভাটা নির্মাণের বিধান থাকলেও পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। এছাড়া অনুৎপাদনশীল জমি বিবেচনায় না নিয়ে ফসলি জমি, এমনকি তিন ফসলি জমিতেও ইটভাটা গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে বিঘায় বিঘায় ফসলি জমি উৎপাদনশীলতা হারাচ্ছে। কারণ, ইট তৈরিতে পাশের জমি থেকে মাটি তুলে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ইটভাটা এলাকায় বানানো চুলার আগুন অন্য জমিকে উত্তপ্ত করছে।

বিশেষ কোন স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোন স্থান বা প্রতিষ্ঠান হইতে কমপক্ষে ১ (এক) কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে কোন ইটভাটা স্থাপনের নিয়ম নেই। আবাসিক এলাকা থেকে ১কিমি দুরে ইটভাটা স্থাপনের নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ ইট ভাটা স্থাপনে মানা হয়নি কোন নিয়ম। আবার প্রতিটি চিমনি নির্দিষ্ট করে উঁচু করার কথা থাকলেও অনেকেই খরচের অজুহাতে তা বানান নি। অনিয়মভাবে গড়ে উঠলেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোনো তৎপরতা বা নজরদারি। এছাড়া প্রায় প্রতিটি ইটভাটায় মজুদ করা হয়েছে জ্বালানি কাঠ। যা ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে। আগুন দেওয়ার পর ভাটা থেকে কুন্ডলী পাঁকিয়ে উড়বে কাঠ পোড়ানোর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। এতে ফসল উৎপাদনের ক্ষমতা হারাবে জমি। নষ্ট হবে বিভিন্ন ফল ও ফসল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাটা যখন চালু করে তখন কালো ধোঁয়া ও ধুলাবালুতে বাড়িঘরে থাকা দায়। জমির ফসল জমিতেই নষ্ট হয়। এভাবে চলতে থাকলে ভাটার চারদিকের জমিগুলো এক সময় অনাবাদি হয়ে পড়বে। ভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

একটি ইটভাটা থাকতে পাশাপাশি আরেকটা করা যায় কিনা জানতে চাইলে আদিল ব্রিক্স এর ম্যানেজার রাব্বি বলেন, অবশ্যই করা যায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করবো সেখানে নিয়ম কি। আমাদেরটা তো পাশাপাশি। এখানে একসাথে লাগানো ইটভাটাও আছে। পরিবেশের সনদ নেই জানিয়ে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই ব্যাপারে পুলিশ এবং প্রশাসনের প্রায় সকলেই জানেন। তারপরও আমরা প্রায় ১৪ বছর থেকে ব্যবসা করে যাচ্ছি।

পাশাপাশি একটি এমবিএফ ইটভাটার স্বত্তাধিকারী হাসু বলেন, আমার ইট ভাটা আগে করা। তিনি জানালেন এরকম প্রায় সব জায়গাতেই আছে। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদ নেই বলে জানালেন তিনি। পাশাপাশি ইট ভাটা কেন করতে দিলেন প্রশ্নে তিনি বলেন, তার জায়গায় সে করেছে। আমি বাঁধা দিতে পারিনা।

একটু দূরে একই নামে তাদের আরেকটি ইট ভাটা আছে। কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে ওই ইটভাটার স্বত্তাধিকারী আরেক ভাই শামীম জানালেন, আগুন দিতে যে খড়িগুলো লাগে সেগুলো আমি নিয়ে এসেছি।

বদলগাছী উপজেলার ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ বলেন, আমার কিছু বলার নাই ভাই। কারণ যার টাকা হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠান করছে। যে আইন লংঘন করে প্রতিষ্ঠান করেছে এখন তারই দায়িত্ব নিতে হবে। তবে ইট ভাটায় ৩-৪ শত শ্রমিক কাজ করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সারাবছর চলে। এখানে প্রতিবন্ধী লোকজনও ইট তৈরী করতে পারে। যা তারা অন্য কোনো কাজ করতে পারে না। আমরা কিন্তু ভালো কাজ করছি। সরকার এখন কেমন চোখে দেখছে সেটা বলতে পারবো না। কেউ ইট ভাটা করতে চাইলে তাদেরকে নিয়ম সম্পর্কে অবগত করেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি দায়িত্বে আসার পর মাত্র ১-২ ইটভাটা হয়েছে। এছাড়া আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আরও ৩-৪ ইটভাটা করতে চেয়েছিল। ইউএনও মহোদয়কে বলে আমি সেগুলো বন্ধ করিয়েছি। তবে বদলগাছী উপজেলায় কারো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। আমারসহ দু-চার জনের ছিল। ২০ সালের পর সেগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তায় মাটি ফেলার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইউএনও আমাদেরকে সবসময় চাপে রাখে। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। পাশাপাশি ইটভাটা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই দুটো অনেক আগেই করা হয়েছে। তখন এরকম নিয়ম ছিলো না। ২০১২ কি ১৪ সালের পর নিয়মগুলো চালু হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিন বলেন, ইটভাটার প্রতিবেদনের বিষয়ে সাক্ষাতকার নিতে হলে অফিসে এসে নিতে হবে। মোবাইলে সহযোগীতা করতে পারছিনা বলে আন্তরিকভাবে দু:খিত জানিয়ে সংযোগটি কেটে দেন তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মলিন মিয়া বলেন, জেলার সকল ইটভাটার মালিককে ডাকা হয়েছে। বুধবার তাদেরকে নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা করবো। সেখানে স্পষ্ট করে আইনের নিয়ম কানুন তাদেরকে বলে দিবো। আর আইন মেনে কেউ আবেদন করলে তাকে পরিবেশ সনদ দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

পাঁচ দিন শোক পালন করবে ইরান

বদলগাছীতে পাশাপাশি ও গ্রামের মধ্যে ইটভাটা; মজুদ আছে কাঠ

প্রকাশিত সময় :- ০৬:২২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

নওগাঁর বদলগাছীতে বিস্তীর্ণ মাঠের চারদিকে সবুজের সমারোহ। চারিদিকে উর্বর ফসলি জমি। এর মধ্যেই গড়ে উঠেছে পরিবেশ বিধ্বংসী ইটভাটা। তাও আবার পাশাপাশি দুটি ইট ভাটা একই সাথে। রাস্তার এপার আর ওপার। যেন কোনো নিয়মের বালাই নেই সেখানে। আইন অমান্য করে বেশ কিছু ইটভাটা গড়ে উঠেছে এলাকায়। গ্রামের মধ্যেও কিছু ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে। বদলগাছীতে এভাবেই গড়ে তুলেছে ইট ভাটাগুলো। অনিয়মভাবে গড়ে উঠা ইটভাটার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উপজেলার মিঠাপুর ও পাহাড়পুর ইউনিয়নে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২৪-২৬ টি ইট ভাটা রয়েছে। ভাটাগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে চালু রয়েছে। নিয়মনীতি মানা না হলেও যেন দেখার কেউ। দেখা যায়, উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের সরাইবাড়ী বুড়িগঞ্জ নামক স্থানে আদিল ব্রিক্স ও এমবিএফ ব্রিক্স দুটি পাশাপাশি। একেবারে রাস্তার এপার ওপার। পাচঘরিয়া হাওয়া ইটভাটা, এনআরবি, আলফালা, মনডল ব্রিক্স এবং খাদাইলে, বামনপাড়াসহ প্রায় সবগুলো ভাটা অনিয়মভাবে গড়ে উঠেছে।

জানা গেছে, একটি ইটভাটা একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে পরবর্তী ইটভাটা নির্মাণের বিধান থাকলেও পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। এছাড়া অনুৎপাদনশীল জমি বিবেচনায় না নিয়ে ফসলি জমি, এমনকি তিন ফসলি জমিতেও ইটভাটা গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে বিঘায় বিঘায় ফসলি জমি উৎপাদনশীলতা হারাচ্ছে। কারণ, ইট তৈরিতে পাশের জমি থেকে মাটি তুলে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ইটভাটা এলাকায় বানানো চুলার আগুন অন্য জমিকে উত্তপ্ত করছে।

বিশেষ কোন স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোন স্থান বা প্রতিষ্ঠান হইতে কমপক্ষে ১ (এক) কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে কোন ইটভাটা স্থাপনের নিয়ম নেই। আবাসিক এলাকা থেকে ১কিমি দুরে ইটভাটা স্থাপনের নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ ইট ভাটা স্থাপনে মানা হয়নি কোন নিয়ম। আবার প্রতিটি চিমনি নির্দিষ্ট করে উঁচু করার কথা থাকলেও অনেকেই খরচের অজুহাতে তা বানান নি। অনিয়মভাবে গড়ে উঠলেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোনো তৎপরতা বা নজরদারি। এছাড়া প্রায় প্রতিটি ইটভাটায় মজুদ করা হয়েছে জ্বালানি কাঠ। যা ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে। আগুন দেওয়ার পর ভাটা থেকে কুন্ডলী পাঁকিয়ে উড়বে কাঠ পোড়ানোর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। এতে ফসল উৎপাদনের ক্ষমতা হারাবে জমি। নষ্ট হবে বিভিন্ন ফল ও ফসল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাটা যখন চালু করে তখন কালো ধোঁয়া ও ধুলাবালুতে বাড়িঘরে থাকা দায়। জমির ফসল জমিতেই নষ্ট হয়। এভাবে চলতে থাকলে ভাটার চারদিকের জমিগুলো এক সময় অনাবাদি হয়ে পড়বে। ভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

একটি ইটভাটা থাকতে পাশাপাশি আরেকটা করা যায় কিনা জানতে চাইলে আদিল ব্রিক্স এর ম্যানেজার রাব্বি বলেন, অবশ্যই করা যায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করবো সেখানে নিয়ম কি। আমাদেরটা তো পাশাপাশি। এখানে একসাথে লাগানো ইটভাটাও আছে। পরিবেশের সনদ নেই জানিয়ে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই ব্যাপারে পুলিশ এবং প্রশাসনের প্রায় সকলেই জানেন। তারপরও আমরা প্রায় ১৪ বছর থেকে ব্যবসা করে যাচ্ছি।

পাশাপাশি একটি এমবিএফ ইটভাটার স্বত্তাধিকারী হাসু বলেন, আমার ইট ভাটা আগে করা। তিনি জানালেন এরকম প্রায় সব জায়গাতেই আছে। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদ নেই বলে জানালেন তিনি। পাশাপাশি ইট ভাটা কেন করতে দিলেন প্রশ্নে তিনি বলেন, তার জায়গায় সে করেছে। আমি বাঁধা দিতে পারিনা।

একটু দূরে একই নামে তাদের আরেকটি ইট ভাটা আছে। কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে ওই ইটভাটার স্বত্তাধিকারী আরেক ভাই শামীম জানালেন, আগুন দিতে যে খড়িগুলো লাগে সেগুলো আমি নিয়ে এসেছি।

বদলগাছী উপজেলার ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ বলেন, আমার কিছু বলার নাই ভাই। কারণ যার টাকা হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠান করছে। যে আইন লংঘন করে প্রতিষ্ঠান করেছে এখন তারই দায়িত্ব নিতে হবে। তবে ইট ভাটায় ৩-৪ শত শ্রমিক কাজ করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সারাবছর চলে। এখানে প্রতিবন্ধী লোকজনও ইট তৈরী করতে পারে। যা তারা অন্য কোনো কাজ করতে পারে না। আমরা কিন্তু ভালো কাজ করছি। সরকার এখন কেমন চোখে দেখছে সেটা বলতে পারবো না। কেউ ইট ভাটা করতে চাইলে তাদেরকে নিয়ম সম্পর্কে অবগত করেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি দায়িত্বে আসার পর মাত্র ১-২ ইটভাটা হয়েছে। এছাড়া আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আরও ৩-৪ ইটভাটা করতে চেয়েছিল। ইউএনও মহোদয়কে বলে আমি সেগুলো বন্ধ করিয়েছি। তবে বদলগাছী উপজেলায় কারো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। আমারসহ দু-চার জনের ছিল। ২০ সালের পর সেগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তায় মাটি ফেলার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইউএনও আমাদেরকে সবসময় চাপে রাখে। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। পাশাপাশি ইটভাটা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই দুটো অনেক আগেই করা হয়েছে। তখন এরকম নিয়ম ছিলো না। ২০১২ কি ১৪ সালের পর নিয়মগুলো চালু হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিন বলেন, ইটভাটার প্রতিবেদনের বিষয়ে সাক্ষাতকার নিতে হলে অফিসে এসে নিতে হবে। মোবাইলে সহযোগীতা করতে পারছিনা বলে আন্তরিকভাবে দু:খিত জানিয়ে সংযোগটি কেটে দেন তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মলিন মিয়া বলেন, জেলার সকল ইটভাটার মালিককে ডাকা হয়েছে। বুধবার তাদেরকে নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা করবো। সেখানে স্পষ্ট করে আইনের নিয়ম কানুন তাদেরকে বলে দিবো। আর আইন মেনে কেউ আবেদন করলে তাকে পরিবেশ সনদ দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

নিউজবিজয়/এফএইচএন