ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদলগাছীতে নির্দেশনার পরও অবাধে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল

ডিএমপির ১০ নির্দেশনা ওসির নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও অনুমতি ছাড়াই বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবাধ বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। নির্দেশনা তোয়াক্কা না করেই একটি পেট্রোল পাম্প ও একজন ডিলার সর্বত্র জ্বালানি তেল সরবরাহ করছে।

হরতাল-অবরোধে আগুন দেয়ার মতো নাশকতা ঠেকাতে গত শনিবার ১১ই নভেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। ঠেকাতে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

নির্দেশনায় বলা হয়, খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। বাড়ি, ফ্যাক্টরি, প্রতিষ্ঠানের জেনারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির নিরাপত্তা ছাড়পত্র সাপেক্ষে বিক্রি করতে হবে। পেট্রলপাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকার পেট্রলপাম্প ও সিএনজি স্টেশন পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন। প্রতিটি পেট্রলপাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ও ভিডিসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।

এতে বলা হয়, ওসির ছাড়পত্র নিয়ে পেট্রলপাম্প থেকে জ্বালানি সংগ্রহের সময় সেই জ্বালানির হিসাব সংশ্লিষ্ট পাম্পের রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে। সে অনুসারে এখন থেকে বাসাবাড়ি, ফ্যাক্টরি ও প্রতিষ্ঠানের জেনারেটরের তেল কিনতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিতে হবে। সেই ছাড়পত্র দেখিয়ে পেট্রলপাম্প থেকে তেল সংগ্রহ করতে হবে। এ ছাড়া পাম্প থেকে খোলা ডিজেল, পেট্রল ও অকটেন বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি অবরোধ ও হরতালের নামে বিশেষ একটি মহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রলবোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ নাগরিকদের হতাহত করছে। নাশকতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। তারা যাতে পেট্রল বা জ্বালানি সহজে পেতে না পারে, সে জন্য পেট্রলপাম্প ও সিএনজি স্টেশনের জন্য এই ১০ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বদলগাছীতে একটি পেট্রোল পাম্প এবং একজন ডিলারের জ্বালানি তেল বিক্রির বৈধ লাইসেন্স ও অনুমোদন রয়েছে।

অথচ সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে উপজেলায় প্রায় কয়েকশত জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ বিক্রির দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকান যেমন অবৈধ, তেমনি এদের তেল সংগ্রহ পদ্ধতিও অবৈধ। এছাড়াও ইউনিয়নগুলোতে রয়েছে অগণিত অবৈধ দোকান। আর এসব দোকান থেকে নাশকতাকারীরা খুব সহজেই জ্বালানি ক্রয় করে বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালাতে পারে।

পেট্রোলিয়ামসংক্রান্ত আইন অনুসারে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে জ্বালানি তেল বিক্রি করা যাবে না। অথচ সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে, এমন কি কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সরকারি এসব নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই বদলগাছীর সর্বত্র ছোটবড় বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ। ওষুধের দোকান, মুদি দোকান ও কাপড়ের দোকানেও চলছে অকটেন, ডিজেল, পেট্রোল ও কেরোসিন বিক্রি।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ২১শে নভেম্বর সকাল ১০টায় বদলগাছীর পেট্রোল পাম্পে গিয়ে দেখাযায় খোলা দোকানে বিক্রির জন‍্য অটো চার্জারে ড্রাম,কন্টিনার নিয়ে এসে তেল নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী বাজারের দোকানীরা। এবং প্রতিটি মোড়ে প্লাস্টিক বোতলে ভরে বিক্রির জন‍্য রাখা হয়েছে জ্বালানি তেল। লাইসেন্স এবং ডিএমপির নতুন নির্দশনার পরেও অবাধে সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি সব ধরনের তেল।

এ ব‍্যপারে এ খালেক ফিলিং স্টেশনের মালিক ইমরান হোসেন জানান, হাসপাতাল, পল্লী বিদ‍্যুৎ ছাড়া বাহিরে তেল দেওয়া হচ্ছে না। তারপরও বিষয়টি আমি দেখবো।

এ ব‍্যপারে বদলগাছী থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান বলেন, আমি খোলা জ্বালানি তেল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছি। যদি কেউ না মানে আমরা তার বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

বদলগাছীতে নির্দেশনার পরও অবাধে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল

প্রকাশিত সময় :- ০৬:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

ডিএমপির ১০ নির্দেশনা ওসির নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও অনুমতি ছাড়াই বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবাধ বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। নির্দেশনা তোয়াক্কা না করেই একটি পেট্রোল পাম্প ও একজন ডিলার সর্বত্র জ্বালানি তেল সরবরাহ করছে।

হরতাল-অবরোধে আগুন দেয়ার মতো নাশকতা ঠেকাতে গত শনিবার ১১ই নভেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। ঠেকাতে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

নির্দেশনায় বলা হয়, খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। বাড়ি, ফ্যাক্টরি, প্রতিষ্ঠানের জেনারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির নিরাপত্তা ছাড়পত্র সাপেক্ষে বিক্রি করতে হবে। পেট্রলপাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকার পেট্রলপাম্প ও সিএনজি স্টেশন পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন। প্রতিটি পেট্রলপাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ও ভিডিসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।

এতে বলা হয়, ওসির ছাড়পত্র নিয়ে পেট্রলপাম্প থেকে জ্বালানি সংগ্রহের সময় সেই জ্বালানির হিসাব সংশ্লিষ্ট পাম্পের রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে। সে অনুসারে এখন থেকে বাসাবাড়ি, ফ্যাক্টরি ও প্রতিষ্ঠানের জেনারেটরের তেল কিনতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিতে হবে। সেই ছাড়পত্র দেখিয়ে পেট্রলপাম্প থেকে তেল সংগ্রহ করতে হবে। এ ছাড়া পাম্প থেকে খোলা ডিজেল, পেট্রল ও অকটেন বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি অবরোধ ও হরতালের নামে বিশেষ একটি মহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রলবোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ নাগরিকদের হতাহত করছে। নাশকতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। তারা যাতে পেট্রল বা জ্বালানি সহজে পেতে না পারে, সে জন্য পেট্রলপাম্প ও সিএনজি স্টেশনের জন্য এই ১০ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বদলগাছীতে একটি পেট্রোল পাম্প এবং একজন ডিলারের জ্বালানি তেল বিক্রির বৈধ লাইসেন্স ও অনুমোদন রয়েছে।

অথচ সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে উপজেলায় প্রায় কয়েকশত জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ বিক্রির দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকান যেমন অবৈধ, তেমনি এদের তেল সংগ্রহ পদ্ধতিও অবৈধ। এছাড়াও ইউনিয়নগুলোতে রয়েছে অগণিত অবৈধ দোকান। আর এসব দোকান থেকে নাশকতাকারীরা খুব সহজেই জ্বালানি ক্রয় করে বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালাতে পারে।

পেট্রোলিয়ামসংক্রান্ত আইন অনুসারে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে জ্বালানি তেল বিক্রি করা যাবে না। অথচ সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে, এমন কি কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সরকারি এসব নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই বদলগাছীর সর্বত্র ছোটবড় বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ। ওষুধের দোকান, মুদি দোকান ও কাপড়ের দোকানেও চলছে অকটেন, ডিজেল, পেট্রোল ও কেরোসিন বিক্রি।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ২১শে নভেম্বর সকাল ১০টায় বদলগাছীর পেট্রোল পাম্পে গিয়ে দেখাযায় খোলা দোকানে বিক্রির জন‍্য অটো চার্জারে ড্রাম,কন্টিনার নিয়ে এসে তেল নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী বাজারের দোকানীরা। এবং প্রতিটি মোড়ে প্লাস্টিক বোতলে ভরে বিক্রির জন‍্য রাখা হয়েছে জ্বালানি তেল। লাইসেন্স এবং ডিএমপির নতুন নির্দশনার পরেও অবাধে সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি সব ধরনের তেল।

এ ব‍্যপারে এ খালেক ফিলিং স্টেশনের মালিক ইমরান হোসেন জানান, হাসপাতাল, পল্লী বিদ‍্যুৎ ছাড়া বাহিরে তেল দেওয়া হচ্ছে না। তারপরও বিষয়টি আমি দেখবো।

এ ব‍্যপারে বদলগাছী থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান বলেন, আমি খোলা জ্বালানি তেল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছি। যদি কেউ না মানে আমরা তার বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নিউজবিজয়/এফএইচএন