লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিদ্যালয়ের ফুটবল চুরির অভিযোগ তুলে ৪শিক্ষার্থীকে বেধরক পিঠিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লাভলুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিভাবকরা বিদ্যালয় ঘেরাও করলে তোপের মুখে পড়ে ছিটকে পড়েন ওই প্রধান শিক্ষক।
বুধবার সকালে উপজেলার পূর্ব বিছনদই ছকেল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী শাকিব, কাওসার, বায়েজদ ও ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী সিয়াম।
অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান লাভলু পূর্ব বিছনদই ছকেল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানাগেছে, প্রতি দিনের ন্যায় মঙ্গলবার ছুটির পর বিদ্যালয়ের ফুটবল দিয়ে খেলাধুলা করেন কিছু শিক্ষার্থী।
বুধবার প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লাভলু ওই ফুটবলটি খুঁজে না পেয়ে চুরির অভিযোগ তুলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে চার শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেন। খবর পেয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয় ঘেরাও করলে তোপের মুখে পড়ে ছিটকে পড়েন ওই প্রধান শিক্ষক।
কাওসারের নানী সবুরা বেগম বলেন, ফুটবল চুরির অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষক লাভলু আমার নাতিকে মারধর করে। খবর শুনে প্রধান শিক্ষকের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে ওই শিক্ষক আমার সাথেও খারাপ আচরণ করেন এবং আমাকে বিদ্যালয় থেকে চলে যেতে বলে। নতুবা আমাকেও মারধর করা হবে বলে হুমকি ধমকি দেয়।
স্থানীয় আরেক অভিভাবক মনোয়ারা বেগম একই কথা বলে জানান, এই প্রধান শিক্ষকের ব্যবহার খুব খারাপ। সবার সাথে খারাপ আচরণ করেন।
কাওসারের ভাই শাহ আলম বলেন, আমার ভাই চোর নয়, সে মেধাবী শিক্ষার্থী। কিন্তু প্রধান শিক্ষক চুরির অভিযোগ তুলে তাকে মারধর করছে । তিনি কাজটি ঠিক করে নাই। আমরা এই প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে পূর্ব বিছনদই ছকেল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লাভলু বলেন, এরা প্রায়ই বিদ্যালয়ের কিছু না কিছু চুরি করে। তাই একটু শাসন করা হয়েছে। তবে আজকে একটু মারধর করা বেশি হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) বেলাল হোসেন বলেন, নিউজটি করার দরকার নাই। প্রধান শিক্ষককে বলে দিবো তিনি আপনাদের সাথে দেখা করে খরচাপাতি দিবে এখন।