বিগত সময়গুলোতে প্রতি মেঃ টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ছিল ৩৬০ মার্কিন ডলার যেটি বর্তমানে বৃদ্ধি করে প্রতি মেঃ টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার। যার কারণে পেঁয়াজের যে আমদানি রয়েছে সেখানে একটা বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। দেশের পেঁয়াজের চাহিদার বড় একটা অংশ আমদানি হয় হিলি বন্দর দিয়ে।
কয়েকদিন আগেও এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪০-৫০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো যা বর্তমানে ১০-১৫ ট্রাকে এসে দাঁড়িয়েছে। গতকাল হিলি স্থল বন্দর দিয়ে তিনটি ট্রাকে ৯০ মেঃ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, সে পেঁয়াজ গুলোও ক্রেতা সংকটের কারণে বন্দর থেকে কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। আমদানিতে খরচ বেশি হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া হরতাল অবরোধের কারণে পরিবহণ সঙ্কটের কারণে বাইরের পাইকাররা বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে না আসায় লোকসানের আশঙ্কায় পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অবস্থা এমন চলতে থাকলে আগামীতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের আশঙ্কা রয়েছে। আর আমদানি বন্ধ হলে পণ্যটির দাম বেড়ে যাবে দেশের বাজারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন দুই দেশের সরকার আলোচনা সাপেক্ষে রপ্তানি মূল্য কমিয়ে আনলে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকবে তাতে বাজারে সরবরাহ বাড়বে ও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।