ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের উপর দোষ চাপিয়ে জমি দখলের পায়তারা 

পুলিশের উপর দোষ চাপিয়ে জমি দখলের পায়তারা করার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী বাজার এলাকার ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, তালুক পলাশী বাজার এলাকার মৃত তসর উদ্দিন জীবিত থাকা অবস্থায় তার সহায়সম্পত্তি গুলো ৬ ছেলে ও ৩ মেয়েকে সমান ভাগে ভাগ-বাঁটোয়ার করে দেন। সেখান থেকে পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ২৪ শতাংশ ও ভাইবোনের কাছ থেকে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে ৪০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন জোনাব আলী। যা স্থানীয়রা অনেকেই জানান। এদিকে ওই ৪০ শতাংশ জমি নিজের বলে দাবী করে তা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছেন চিহ্নিত ভুমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়া। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে ঝামেলার সৃষ্টি হলে আদালতের আশ্রয় নেন জোনাব আলী। শুনানি শেষে আদালত ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারী করেন।
এদিকে গত ৭ই মার্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়া শতাধিক ভাড়াটিয়া লোকসহ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবারও সেই জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন।
দেশিয় অস্ত্র সজ্জিত শতাধিক ভাড়াটিয়া দেখে জোনাব আলী ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সার্থে জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি খুব দ্রুত বসে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জোনাব আলীর মধ্যস্থতায় মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয় আদিতমারী থানা পুলিশ।
এরপর বাড়িতে এসে ৪ ঘন্টাপর সদর হাসপাতালে যান জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়া। সেখানে ভর্তি ছাড়াই হাসপাতালের বিছানায়শুয়ে তাদেরকে থানায় মারধর করে কান ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়াকে পুলিশের মারধরের বিষয়ে তারা দুজন ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিলেও মেডিকেলে ভর্তি বা ছাত্রপত্র দেখাতে পারেনি। তবে এলাকাবাসী অনেকেই নাম নাপ্রকাশ করার শর্তে বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওই জমি আবারও দখলের চেষ্টা করছেন তারা দুজন। তাদেরকে পুলিশের মারধরের বিষয়টি একটি সম্পুর্ণ সাজানো নাটক।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তদন্ত ওসি ধরে নিয়ে গিয়ে তার কানে চারটি চর মারেন। মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে সাড়ে ৬টার সময় বের হয়ে এসে রাত সাড়ে ১০টায় মেডিকেলে গিয়ে ভর্তি হই। এসময় তার কাছে মেডিকেলে ছাড়পত্র দেখতে চাইলে তিনি মেডিকেলে কাউকে না বলেই চলে এসেছেন।
তবে সাজু মিয়া বলেন ভিন্ন কথা। পুলিশ তাকেও মারধরের কথা দাবী করলেও তিনি বলেন চাচা থানা থেকে ৫ টার সময় বের হয়ে এসে ৮টার সময় মেডিকেলে ভর্তি হন।
মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়াকে বের করার আনার সময় উপস্থিত দুইজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়াকে থানা থেকে বের করে আনার সময় তারা সম্পুর্ণ সুস্থ ছিলেন। ওই সময় তারা মারধরের কোন বিষয় আমাদেরকে বলেননি। পরে দুইদিন পর আমরা শুনি তাদেরকে নাকি মারধর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এর কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অন্যের পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা করার কারনে তাদের আইনের আওতায় নেয়ার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। পরে জাহাঙ্গীর দ্রুত সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিলে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিযোগ কারীর জিম্মায় তাকে দিয়ে দেয়া হয়। তাকে কোন মারধর করা হয়নি। বিশেষ সুবিধা না পেয়েই তিনি পুলিশকে প্রতিপক্ষ করে মনগড়া তথ্য দিচ্ছে।

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

পুলিশের উপর দোষ চাপিয়ে জমি দখলের পায়তারা 

প্রকাশিত সময় :- ০৮:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
পুলিশের উপর দোষ চাপিয়ে জমি দখলের পায়তারা করার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী বাজার এলাকার ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, তালুক পলাশী বাজার এলাকার মৃত তসর উদ্দিন জীবিত থাকা অবস্থায় তার সহায়সম্পত্তি গুলো ৬ ছেলে ও ৩ মেয়েকে সমান ভাগে ভাগ-বাঁটোয়ার করে দেন। সেখান থেকে পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ২৪ শতাংশ ও ভাইবোনের কাছ থেকে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে ৪০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন জোনাব আলী। যা স্থানীয়রা অনেকেই জানান। এদিকে ওই ৪০ শতাংশ জমি নিজের বলে দাবী করে তা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছেন চিহ্নিত ভুমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়া। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে ঝামেলার সৃষ্টি হলে আদালতের আশ্রয় নেন জোনাব আলী। শুনানি শেষে আদালত ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারী করেন।
এদিকে গত ৭ই মার্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়া শতাধিক ভাড়াটিয়া লোকসহ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবারও সেই জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন।
দেশিয় অস্ত্র সজ্জিত শতাধিক ভাড়াটিয়া দেখে জোনাব আলী ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সার্থে জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি খুব দ্রুত বসে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জোনাব আলীর মধ্যস্থতায় মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয় আদিতমারী থানা পুলিশ।
এরপর বাড়িতে এসে ৪ ঘন্টাপর সদর হাসপাতালে যান জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়া। সেখানে ভর্তি ছাড়াই হাসপাতালের বিছানায়শুয়ে তাদেরকে থানায় মারধর করে কান ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়াকে পুলিশের মারধরের বিষয়ে তারা দুজন ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিলেও মেডিকেলে ভর্তি বা ছাত্রপত্র দেখাতে পারেনি। তবে এলাকাবাসী অনেকেই নাম নাপ্রকাশ করার শর্তে বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওই জমি আবারও দখলের চেষ্টা করছেন তারা দুজন। তাদেরকে পুলিশের মারধরের বিষয়টি একটি সম্পুর্ণ সাজানো নাটক।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তদন্ত ওসি ধরে নিয়ে গিয়ে তার কানে চারটি চর মারেন। মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে সাড়ে ৬টার সময় বের হয়ে এসে রাত সাড়ে ১০টায় মেডিকেলে গিয়ে ভর্তি হই। এসময় তার কাছে মেডিকেলে ছাড়পত্র দেখতে চাইলে তিনি মেডিকেলে কাউকে না বলেই চলে এসেছেন।
তবে সাজু মিয়া বলেন ভিন্ন কথা। পুলিশ তাকেও মারধরের কথা দাবী করলেও তিনি বলেন চাচা থানা থেকে ৫ টার সময় বের হয়ে এসে ৮টার সময় মেডিকেলে ভর্তি হন।
মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়াকে বের করার আনার সময় উপস্থিত দুইজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়াকে থানা থেকে বের করে আনার সময় তারা সম্পুর্ণ সুস্থ ছিলেন। ওই সময় তারা মারধরের কোন বিষয় আমাদেরকে বলেননি। পরে দুইদিন পর আমরা শুনি তাদেরকে নাকি মারধর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এর কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অন্যের পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা করার কারনে তাদের আইনের আওতায় নেয়ার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। পরে জাহাঙ্গীর দ্রুত সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিলে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিযোগ কারীর জিম্মায় তাকে দিয়ে দেয়া হয়। তাকে কোন মারধর করা হয়নি। বিশেষ সুবিধা না পেয়েই তিনি পুলিশকে প্রতিপক্ষ করে মনগড়া তথ্য দিচ্ছে।