ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পানপাতা চাষে হিলির কৃষকের মুখে হাসি,বৈরী আবহাওয়াতে ফলন হয়েছে ভালো

দিনাজপুরের হিলিতে পানপাতার ভালো ফলন হয়েছে। গেলো বছর শীতের কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এবছর পানপাতা বিক্রি করে চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। তারা বলছেন, নিজেদের পানের বরজ থেকে পানপাতা তুলে হিলির হাটে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার এবং বিরামপুর হাটে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার পানপাতা বিক্রি করেন। এই বছর শীত বেশী হলেও পানের বরজে তেমন বিপর্যয় দেখা দেয়নি।

উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের পানচাষী আব্দুল মাবুদ বলেন, ‘আমি এবার নিজের ৩ বিঘা জমিতে ৩টি বরজে পানপাতা চাষ করেছি। এ বছর শীতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এখন পর্যন্ত পানপাতার অবস্থা ভালো আছে। হিলির হাটে সপ্তাহে দু’দিন ৩টি বরজ থেকে ৬ হাজার টাকার পানপাতা বিক্রি করে থাকি।’

আব্দুল মাবুদ আরও বলেন, প্রতি সপ্তাহে ৬ হাজার টাকা পানপাতা বিক্রি করলেও শ্রমিক খরচ দিতে হয় ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রমিকদের সঙ্গে নিজেকেও শ্রম দিতে হয়।’

পানপাতা ক্রেতা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি পানের দোকান করি। প্রতিহাটে আমাকে ১ পোয়া (৪০ বিড়া) করে পান কিনতে হয়। কিন্তু বর্তমানের পানপাতার দাম খুব বেশি। প্রতিবার (৬৪ টি ) পানপাতা (বড় সাইজের) কিনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। অথচ কিছুদিন আগেই এই সাইজের পানপাতা কিনেছি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিড়া (৬৪) দরে।’
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘৮০ থেকে ১০০ টাকা বিড়া দরের ছোট পানপাতাও আছে। কিন্তু যারা পানের দোকান করেন, তাদের ছোট পানপাতা দিয়ে দোকানদারি চলবে না। তাই আমাদের বাধ্য হয়েই বেশি দরে বড় সাইজের পানপাতাই কিনতে হচ্ছে।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আরজেনা বেগম বলেন, ‘এ বছর হাকিমপুর উপজেলার ১ পৌরসভাসহ ৩ ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। মোট পানপাতার বরজ রয়েছে ৩৫৫টি। উপজেলা কৃষি বিভাগ পানপাতাকে রোগ বালাইমুক্ত রাখতে পানচাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো রোগ-বালাইয়ের খবর পাইনি।’

নিউজ বিজয় ২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ডোমারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে পুলিশের বিশেষ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত

পানপাতা চাষে হিলির কৃষকের মুখে হাসি,বৈরী আবহাওয়াতে ফলন হয়েছে ভালো

প্রকাশিত সময় :- ০৮:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দিনাজপুরের হিলিতে পানপাতার ভালো ফলন হয়েছে। গেলো বছর শীতের কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এবছর পানপাতা বিক্রি করে চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। তারা বলছেন, নিজেদের পানের বরজ থেকে পানপাতা তুলে হিলির হাটে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার এবং বিরামপুর হাটে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার পানপাতা বিক্রি করেন। এই বছর শীত বেশী হলেও পানের বরজে তেমন বিপর্যয় দেখা দেয়নি।

উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের পানচাষী আব্দুল মাবুদ বলেন, ‘আমি এবার নিজের ৩ বিঘা জমিতে ৩টি বরজে পানপাতা চাষ করেছি। এ বছর শীতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এখন পর্যন্ত পানপাতার অবস্থা ভালো আছে। হিলির হাটে সপ্তাহে দু’দিন ৩টি বরজ থেকে ৬ হাজার টাকার পানপাতা বিক্রি করে থাকি।’

আব্দুল মাবুদ আরও বলেন, প্রতি সপ্তাহে ৬ হাজার টাকা পানপাতা বিক্রি করলেও শ্রমিক খরচ দিতে হয় ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রমিকদের সঙ্গে নিজেকেও শ্রম দিতে হয়।’

পানপাতা ক্রেতা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি পানের দোকান করি। প্রতিহাটে আমাকে ১ পোয়া (৪০ বিড়া) করে পান কিনতে হয়। কিন্তু বর্তমানের পানপাতার দাম খুব বেশি। প্রতিবার (৬৪ টি ) পানপাতা (বড় সাইজের) কিনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। অথচ কিছুদিন আগেই এই সাইজের পানপাতা কিনেছি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিড়া (৬৪) দরে।’
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘৮০ থেকে ১০০ টাকা বিড়া দরের ছোট পানপাতাও আছে। কিন্তু যারা পানের দোকান করেন, তাদের ছোট পানপাতা দিয়ে দোকানদারি চলবে না। তাই আমাদের বাধ্য হয়েই বেশি দরে বড় সাইজের পানপাতাই কিনতে হচ্ছে।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আরজেনা বেগম বলেন, ‘এ বছর হাকিমপুর উপজেলার ১ পৌরসভাসহ ৩ ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। মোট পানপাতার বরজ রয়েছে ৩৫৫টি। উপজেলা কৃষি বিভাগ পানপাতাকে রোগ বালাইমুক্ত রাখতে পানচাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো রোগ-বালাইয়ের খবর পাইনি।’

নিউজ বিজয় ২৪/এফএইচএন