লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় ২য় শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ফরিদুল ইসলাম নামে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কিশোর ফরিদুল পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাটগ্রাম থানার ওসি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় ঐ উপজেলার দহগ্রামের মহিম পাড়া এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত কিশোর একই এলাকার আমজাদ আলীর ছেলে। ভূক্তভোগী কিশোরী সম্পর্কে তার চাচাত বোন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ফরিদুলের বাড়ি একই গ্রামে। সেই সুবাদে তাদের বাড়িতে অবাধে আসা-যাওয়া করতো ফরিদুল। এমতবস্থায় গতকাল সকালে ভুক্তভোগীকে চকলেট কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের একটি হলুদ ক্ষেতে নিয়ে যান ফরিদুল। পরে সেখানে মেয়েটির হাত মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে কিশোর ফরিদুল। এসময় মেয়েটি শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় কিশোর ফরিদুল। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষনের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দহগ্রাম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম ইসলাম মরিয়া হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয় ঘটনাটি কাউকে না জানাতে গতকাল রাতে কিশোরের বাবা ও তার দলবল ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে মারধরের হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় পারিবারিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার। তবে আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটির বাবা দিন মজুরের কাজ করে আমার বাড়িতে। আমি তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছি।
এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বলেন, আমার সাত বছর বয়সী ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করেছে ফরিদুল। এছাড়াও আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমি এই ধর্ষনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
পাটগ্রাম থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।