কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দান বাক্সগুলোতে এবার ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে টাকাগুলো গণনা চলছে। বেলা দেড়টা পর্যন্ত এই টাকার পরিমাণ ৪ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া দান বাক্সে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনা-রূপাও পাওয়া গেছে। রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় পাগলা মসজিদের দান বাক্সে পাওয়া টাকা জমা রাখা হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত দানের টাকা ৪ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
এর আগে গত আগস্ট মাসে খোলা হয়েছিল দান বাক্সগুলো। সেসময় পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
এবার আরো বেশি পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে কঠোর নিরাপত্তায় মসজিদের কর্মকর্তা কর্মচারী, মাদরাসা ছাত্রসহ ২২০ জন মিলে টাকাগুলো গুনছে। তারা জানিয়েছে, আগে মসজিদে আটটি দান বাক্স বা সিন্দুক ছিল। এবার আরেকটি বাড়ানোর ফলে সিন্দুকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়টিতে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাগলা মসজিদের সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে নয়টি দান বাক্স খোলা হয়। এতে সব মিলিয়ে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এর আগে গত আগস্টেও ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকার সঙ্গে অন্তত অর্ধশতাধিক চিঠিও পাওয়া গেছে। যেগুলোতে পাগলা মসজিদের উদ্দেশ্যে অনেকে ব্যক্তিগত ও মানসিক সমস্যা ও পেশাগত অনিশ্চয়তা, চাকরি, অশান্তি, রোগব্যাধি, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ দূর করার আরজি জানানো হয়েছে।
নিউজ বিজয় ২৪.কম/মোঃ নজরুল ইসলাম