ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীমণির ডিভোর্স ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে কবুল করলেন রাজ

  • বিনোদন ডেস্ক:-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৩:৩০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৩১৯ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত দম্পতি পরীমণি ও শরিফুল রাজ। বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল এ দম্পতির সংসারে। স্বামী শরীফুল রাজকে ডিভোর্স দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এক আইনজীবীর মাধ্যমে ডিভোর্স পেপারে সই করেছেন তিনি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ডিভোর্স পেপারে সই করে পাঠিয়েছিলেন পরীমনি।

শুক্রবার দুপুরে ডিভোর্স পেপার হাতে পাওয়ার পর শরীফুল রাজ বলেছেন,আমার প্রাক্তনের পাঠানো চিঠি (ডিভোর্স লেটার) হাতে পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ! তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি।

এসময় সন্তান রাজ্যর জন্য পরীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ। তিনি বলেন, তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে আমার জীবনের সেরা অর্জন রাজ্যকে উপহার দেয়ার জন্য।

জানা যায়, রাজের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঠিকানায় ডিভোর্স নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মূলত বিচ্ছেদপত্রে চারটি কারণ দেখিয়েছেন পরীমণি। ১. মনের অমিল হওয়া, ২. বনিবনা না হওয়া, ৩. খোঁজ না নেয়া এবং ৪. মানসিক অশান্তি।

এদিকে রাজকে ডিভোর্স দেয়ার প্রসঙ্গে কাজী আবু সাইদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমাদের সঙ্গে পরীমণির পক্ষের মানুষ যোগাযোগ করেন। লেটারে উল্লেখিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর তার আইনজীবীর গুলশান অফিসে ডিভোর্স হয়। সেখানে আমার সহকারী আলী আশরাফও ছিলেন। আর পরদিন উত্তর বাড্ডার আলীর মোড়ের সাতারকুল রোডে আমার অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করা হয় ডিভোর্স নোটিশ। তারপর ওইদিনই দুপুর ১২টার দিকে রাজের গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় ডিভোর্স নোটিশ পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজের ভাই পরিচয়ে একজন আমার অফিসে এসেছিলেন। তিনি কাবিননামার কপি ও ডিভোর্স সংক্রান্ত ডকুমেন্টস নিয়ে গেছেন।

সবশেষ গত ১৬ আগস্ট মান-অভিমান ভুলে একত্রিত হয়েছিলেন এ তারকা দম্পতি। ছেলে রাজ্যের জন্মদিন পালনকালে একসঙ্গে দেখা মিলেছিল তাদের। পরে ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরীমণি-শরিফুল রাজের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন তাপস। এর মধ্যে একটি ছবিতে রাজকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায় পরীমণিকে।
পরীমণি এবং শরিফুল রাজ ‘গুণিন’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়েই সম্পর্কে জড়ান। এরপর প্রেম পর্ব কাটিয়ে বসে যান বিয়ের পিঁড়িতে। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পরীমণি ও শরীফুল রাজ। ২০২২ সালে এই দম্পতির সংসারজুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান।

২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরীমণির। তবে ‘রানা প্লাজা’ (২০১৫) সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। পরীমণির উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে মা, গুণিন, মুখোশ, বিশ্বসুন্দরী, স্বপ্নজাল, আমার প্রেম আমার প্রিয়া, রক্ত, মহুয়া সুন্দরী প্রভৃতি।

২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ। তবে পারিবারিকভাবে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি ঘরোয়াভাবে আবার তাদের বিয়ে হয়।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইতিহাসের এই দিনে: ১৯শে মে.২০২৪

পরীমণির ডিভোর্স ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে কবুল করলেন রাজ

প্রকাশিত সময় :- ০৩:৩০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত দম্পতি পরীমণি ও শরিফুল রাজ। বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল এ দম্পতির সংসারে। স্বামী শরীফুল রাজকে ডিভোর্স দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এক আইনজীবীর মাধ্যমে ডিভোর্স পেপারে সই করেছেন তিনি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ডিভোর্স পেপারে সই করে পাঠিয়েছিলেন পরীমনি।

শুক্রবার দুপুরে ডিভোর্স পেপার হাতে পাওয়ার পর শরীফুল রাজ বলেছেন,আমার প্রাক্তনের পাঠানো চিঠি (ডিভোর্স লেটার) হাতে পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ! তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি।

এসময় সন্তান রাজ্যর জন্য পরীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ। তিনি বলেন, তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে আমার জীবনের সেরা অর্জন রাজ্যকে উপহার দেয়ার জন্য।

জানা যায়, রাজের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঠিকানায় ডিভোর্স নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মূলত বিচ্ছেদপত্রে চারটি কারণ দেখিয়েছেন পরীমণি। ১. মনের অমিল হওয়া, ২. বনিবনা না হওয়া, ৩. খোঁজ না নেয়া এবং ৪. মানসিক অশান্তি।

এদিকে রাজকে ডিভোর্স দেয়ার প্রসঙ্গে কাজী আবু সাইদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমাদের সঙ্গে পরীমণির পক্ষের মানুষ যোগাযোগ করেন। লেটারে উল্লেখিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর তার আইনজীবীর গুলশান অফিসে ডিভোর্স হয়। সেখানে আমার সহকারী আলী আশরাফও ছিলেন। আর পরদিন উত্তর বাড্ডার আলীর মোড়ের সাতারকুল রোডে আমার অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করা হয় ডিভোর্স নোটিশ। তারপর ওইদিনই দুপুর ১২টার দিকে রাজের গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় ডিভোর্স নোটিশ পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজের ভাই পরিচয়ে একজন আমার অফিসে এসেছিলেন। তিনি কাবিননামার কপি ও ডিভোর্স সংক্রান্ত ডকুমেন্টস নিয়ে গেছেন।

সবশেষ গত ১৬ আগস্ট মান-অভিমান ভুলে একত্রিত হয়েছিলেন এ তারকা দম্পতি। ছেলে রাজ্যের জন্মদিন পালনকালে একসঙ্গে দেখা মিলেছিল তাদের। পরে ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরীমণি-শরিফুল রাজের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন তাপস। এর মধ্যে একটি ছবিতে রাজকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায় পরীমণিকে।
পরীমণি এবং শরিফুল রাজ ‘গুণিন’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়েই সম্পর্কে জড়ান। এরপর প্রেম পর্ব কাটিয়ে বসে যান বিয়ের পিঁড়িতে। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পরীমণি ও শরীফুল রাজ। ২০২২ সালে এই দম্পতির সংসারজুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান।

২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরীমণির। তবে ‘রানা প্লাজা’ (২০১৫) সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। পরীমণির উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে মা, গুণিন, মুখোশ, বিশ্বসুন্দরী, স্বপ্নজাল, আমার প্রেম আমার প্রিয়া, রক্ত, মহুয়া সুন্দরী প্রভৃতি।

২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ। তবে পারিবারিকভাবে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি ঘরোয়াভাবে আবার তাদের বিয়ে হয়।

নিউজবিজয়/এফএইচএন